গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পানির কুয়ো

in Steem For Traditionlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি হাজির হলাম নতুন একটি গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।

Picsart_23-07-07_21-14-23-841.jpg

আগেকার দিনে যখন পানির মোটর ছিলো না, নলকূপ ছিলো না তখন মানুষ কুয়ো থেকে পানি সংগ্রহ করতো। তখন মানুষের পান করার পানির একমাত্র উৎস ছিলো কুয়ো। মানুষ কুয়োর পানি দিয়েই গোসল করতো কুয়োর পানি দিয়েই রান্না-বান্নার কাজ করতো। মানে এখন মানুষ মোটরের পানি যেভাবে ব্যবহার করছে আগে মানুষ কুয়োর পানি দিয়ে সেই কাজগুলো করতো। আমাদেরও আগে কুয়ো ছিলো। তবে আমার বয়স যখন ২ বছর তখন কুয়োটা ভরাট করা হয়। তবে আমাদের পাশের বাড়ির চাচাদের কুয়োটা অনেকদিন যাবৎ ছিলো। ২০১৬ সালের দিকে তাদের কুয়ো ভরাট করে। ক্রিকেট খেললে ওদের কুয়োতে মাঝে মাঝে বল পড়ে যেতো। তখন পানি তোলার বালতি দিয়ে সেই বল তুলতাম


Picsart_23-07-07_21-13-20-980.jpg
Picsart_23-07-07_21-15-36-577.jpg
Picsart_23-07-07_21-12-26-903.jpg

তবে এখন আর গ্রামেও এই কুয়ো দেখা যায় না। যাদের বাড়িতে মোটর নেই তাদের বাড়িতে অন্তত নলকূপ আছে। তবে আমাদের গ্রামের তিনটি বাড়িতে এখনো কুয়ো আছে। তার মধ্যে আমার এক জেঠাতো বোনের বাড়িতে আছে। আজকে সকাল ১১ টার দিকে আমি ওদের বাড়ির ওই দিকে গেছিলাম ফুটবল খেলতে। ফুটবল খেলার পর ওদের বাড়িতে পানি খাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি যে কুয়ো। কুয়োটি ইট দিয়ে ঘেরা ছিলো। আর কুয়োর পানিতে যাতে ময়লা না পড়ে সেজন্য একটি ঢাকনা ব্যবহার করে থাকে। কুয়োর পানি অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে পান করার পর সেটা বুঝতে পারলাম। এখনকার দিনেও যে মানুষের বাড়িতে কুয়ো আছে এটা সত্যি অবিশ্বাস্য একটা বিষয়।


Picsart_23-07-07_21-11-59-666.jpg
Picsart_23-07-07_21-08-44-088.jpg

আমাদের বাড়ির পাশের যে চাচার পানির কুয়ো ছিলো তাদের কুয়োটা অনেক উপর পর্যন্ত ইট দিয়ে ঘেরা ছিলো। কিন্তু আমার এই বোনের বাড়ির কুয়োটা হাটু পরিমান ঘেরা। এদের এই কুয়োতে ছোটো বাচ্চা বা ছাগলের বাচ্চা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজকাল আধুনিকতার ছোয়ার আমাদের বাপ-দাদার আমলের ঐতিহ্যবাহী পানির কুয়ো হারিয়ে যাচ্ছে। এই পানির কুয়োগুলো আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করে। এগুলোকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। আজকালর বাচ্চারা এগুলো সম্পর্কে জানেই না যে আগে মানুষ কুয়ো থেকে পানি তুলে সেই পানি পান করতো। আমাদের উচিত নতুন প্রজন্মকে এই ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারনা দেয়া।


ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩
ক্যামেরা৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশনজমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr673527MWFPCsxERaZquGbUkHMV9WZ5MJwmXkTuv41F5Tq4AiFtFdLYgppcpWVNLwb...45PzVWAMcnH3yQBxf5fXNb4aF4ANTTkpXKaNkmtZGTkGBuPWrd7E3SfVFzVaxiHJgeTsGASc2ZrWcbGiPkcj8D1MPwYnifrMpkxFpyc2eASgEzhaJ8suX7YJTg.png

তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে


Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year 

ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে এরকম পানির কুয়ো অনেক দেখেছি। এই কুয়োর পানি অনেক খেয়েছি।বর্তমানে এগুলো আর তেমন একটা দেখা যায় না। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

আশির দশকে এইসব কূপ দেখা গেলোও বর্তমান সময়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামে দুই একটা দেখা গেলেও তা আর আগের মত ব্যবহার যোগ্য নেই। আপনি একটি ঐতিহ্যবাহী নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাইয়া এমন পোস্ট সচরাচর দেখা যায় না।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

আমার গ্রামের বাসায় ঘরের সঙ্গে একটি কুয়া ছিল।তবে বর্তমানে সেটি নেই বিলীন হয়ে গেছে।আগের মানুষের পানির একমাত্র উৎস ছিল এই কুয়ো।দারুন লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

Loading...
 last year 

এই ধরনের পানির কুয়া বর্তমানে আশেপাশে দু-পাঁচ গ্রামে দেখা যায় না বললেই চলে ৷ কিন্তু প্রাচীনকালের মানুষজন এই কুয়ার পানি দিয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করতো৷ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি ৷ ধন্যবাদ

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

একসময় এই কূপ বা কুয়াগুলোই ছিল বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস।বর্তমানে আমাদের দেশে এসব কুয়া থেকে পানি তুলে পান করা মোটামুটি বিলীন হয়ে গিয়েছে।মাঝে মাঝে কিছু জায়গায় এই কুয়া দেখা গেলেও সেখান থেকে পানি পান করেন না কেউই। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু

 last year 

বাহ্ চমৎকার পোস্ট করছেন ভাই। আগের যুগের মানুষের পানি সংগ্রহের একমাত্র মাধ্যম ছিলো এসব কুয়ো। এখন কালের বিবর্তনে কুয়ো বিলুপ্ত প্রায়। সুন্দর লিখছেন। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

পানির কুয়ো নিয়ে দারুণ লেখছেন।আগে গ্রাম অঞ্চলে পানির কুয়ো অনেক ছিল।আগে এই কুয়ো পানি খাওয়ার জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিল। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

পানির কুয়ো নিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট। এই পানির কুয়ো গ্রাম অঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। এই কুয়ো আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58495.77
ETH 2579.09
USDT 1.00
SBD 2.44