ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি গ্রামাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জিনিস নিয়ে আলোচনা করবো। যেই ঐতিহ্যবাহী জিনসটি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি হলো হামানদিস্তা। তো চলুন শুরু করা যাক। |
---|
হামানদিস্তা হলো এক ধরনের সরল যন্ত্র। এটি সাধারনত লোহা দিয়ে তৈরি একটি গোলাকার বাটি ও একটি লম্ব দন্ড। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী জিনিস। একটা সময় ছিলো যখন গ্রামের মানুষের কাছে এই হামানদিস্তা নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস ছিলো। এই হামানদিস্তার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে করা হয়। আগেকার দিনের কবিরাজরা এই হামানদিস্তায় গাছ গাছড়ার লতাপাতা ও শিকড় পিসে রস বের করতো যেটা দিয়ে তারা চিকিৎসা করতো। শুনেছি যে আমার দাদার নাকি অনেকগুলো হামানদিস্তা ছিলো এবং আলাদা আলাদা হামানদিস্তায় তিনি আলাদা আলাদা রোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা আলাদা ঔষধ বানাতেন। একটা সময় তার নাকি অনেক নাম ডাক ছিলো। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে আমার দাদার কাছে ছুটে আসতো।
ছোটবেলায় আমার দাদার ওই হামানদিস্তাগুলো আমি দেখেছিলাম। কিন্তু এখন আর নেই সেগুলো। হয়তো ফেলে দিয়েছে নয়তো কোনো এক বস্তায় ভরে রেখেছে। বর্তমানে আমাদের বাড়িতে এই হামদিস্তাটি আছে যেটি আমার আম্মু গরম মসলা গুড়া করার কাজে ব্যবহার করে থাকে। আগেকার দিনে গ্রামের মহিলারা কোনো কিছুর গুড়া বা পেস্ট করার জন্য এই হামানদিস্তা ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে অনেক মেশিন বের হয়েছে। যার ফলে ওখন আর আগের মতো হামানদিস্তার ব্যবহার দেখা যায় না। এখন মানুষ মেশিনের সাহায্যেই তাদের কার্য সম্পাদনা করে। আমাদের এলাকায় হামানদিস্তাকে হামু গাইন বলে।
হামানদিস্তা মূলত তিন প্রকার হয়ে থাকে। লোহার তৈরি, কাঠের তৈরি ও কাসার তৈরি। তবে লোহার তৈরি হামানদিস্তাই বেশী প্রচলিত। কাঠের তৈরি হামানদিস্তা অনেক বড় করে বানানো হয়। মূলত এই কাঠের তৈরি হামানদিস্তা চাল গুলো করা, সিদল বানানোসহ আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগে গ্রামের বাজারগুলোতে হাটের দিনগুলোতে বাজারে লোহার তৈরি অনেক জিনিস পাওয়া যেতো তার মধ্যে হামানদিস্তাও ছিলো। কিন্তু এখন আর সেগুলো সহজেই পাওয়া যায় না। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এগুলো। এখন এই হামানদিস্তা পেতে হতে যেতে হয় কামারের কাছে। গিয়ে বানিয়ে নিয়ে আসতে হয়। আর অনেক মেলাতে এখনো এই হামানদিস্তা দেখা যায়। এই হামানদিস্তা আমাদের ঐতিহ্য। এটাকে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
---|---|
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | জমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। |
---|
Vote for @bangla.witness
আমি প্রায় তিন প্রকার হামানদিস্তা দেখেছি।গ্রাম বাংলার একটি অন্যতম ঐতিহ্য হলো হামানদিস্তা। এটি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মসলা জাতীয় গুড়ো করা হয়।এছাড়াও পান খাওয়ার জন্য এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
Tweeter link : https://twitter.com/saikat01718/status/1687488603604303878?t=hCwMQ1dfJMPc3JNPPeGlYQ&s=19
ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। আমাদের বাসায় ও একটা হামানদিস্তা রয়েছে। অনেক আগের পুরাতন। এই হামানদিস্ত দিয়ে রান্নার বিভিন্ন উপকরণ মিহি করা হয়।
ধন্যবাদ ভাই
হামানদিস্তা অনেক প্রাচীন যুগ ধরে আমাদের মাঝে রয়েছে, আপনি ঠিকই বলেছেন লোহার তৈরি হামানদিস্তা বেশি ব্যবহার করা হয়, হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন, পোস্টি সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
প্রাচীনতম একটি ব্যবহার যোগ্য জিনিস ছিলো হামানদিস্তা যা এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনার দাদা তাহলে কবিরাজ ছিলেন। সেইজন্য বলি আপনি গাছুয়া আর লতাপাতা নিয়ে এতো পোস্ট কেমনে করেন। আপনি কিছি শিখতে পারেন নাই ভাই?
🤣🤣🤣🤣আমার আব্বুর বিয়ের আগেই আমার দাদা মারা গেছে। আমার দাদা কবিরাজ ছিলেন না। একজন শিক্ষক ছিলেন। আর ঔষধ বানানো ছিলো তার পার্ট টাইম জব।
আর একটুর জন্য তোমার দাদার থেকে তুমি শিখতে পারো নাই 😁😁। ভাই ব্রাদারদের আর কাজ হইলো না 😁
হামানদিস্তা আমাদের ঐতিহ্যের ছোঁয়া, হামানদিস্তা এখনো আমাদের গ্রামের লোকজনদের কাজে লাগে, হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। হামানদিস্তা দিয়ে গ্রাম গঞ্জের মানুষ বহু আগে থেকেই মসলা পিষে, আমাদের বাড়িতেও হামানদিস্তা রয়েছে, আগের দিনের মানুষ বড় বড় অনুষ্ঠানে হামান দিস্তা দ্বারা গুড়া করতো, আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই
হামানদিস্তা আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য। আর যত দিন যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে এই হামানদিস্তার ব্যবহার কমে যাচ্ছে। বর্তমানে সবাই ইলেকট্রনিক মেশিন দিয়ে হামান দিস্তার কাজ করা হয়। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
হামানদিস্তার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসতেছে।তবে বর্তমানে ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। হামানদিস্তা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। আমাদের বাসায় দুটো হামানদিস্তা রয়েছে। মাঝে মাঝে চাউলের গুড়া করা হয়। ভালো লিখেছেন,শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই