মেয়েদের শখের একটি জিনিস চুরি ও ঝুমকা

চুরি হলো মেয়েদের শখের একটা জিনিস। মেয়েদেরকে চুরি গিফট করলে তারা অনেক খুশী হয়। আজকাল যেকোনো ধরনের মেলায় এইরকম অনেক চুরির দোকান দেখা যায়। চুরির দোকান না থাকলে মেলাই হয় না। কারন মেলাগুলোতে দোকানদারদের প্রধান কাস্টমার হলো মেয়ে মানুষ। আর মেয়ে মানুষের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হলো চুরি। এইবছর রংপুরে বানিজ্য মেলাতে গিয়ে অনেকগুলো চুরির দোকান দেখেছি। আমার ভাগ্য ভালো যে আমার গার্লফ্রেন্ড নেই। নাহলে সেই মেলাতেই আমার হাজার টাকা চলে যেতো। গিয়েছিলাম আমার রুমমেটের সাথে। যেসময় মেলা হয়েছিলো তখন আমি রংপুরে মেসে থাকতাম।

চুরির সাথে ঝুমকাও মেয়েদের অনেক পছন্দের একটা জিনিস। আজকাল এরকম অনেক মেয়ে পাওয়া যাবে যারা টিফিনের টাকা না খেয়ে টাকা জোগাড় করে চুরি ঝুমকা কিনে থাকে। আমার যদি গার্লফ্রেন্ড থাকতো তাহলে আমি তাকে অনেকগুলো চুরি আর ঝুমকা কিনে দিতাম। কিন্তু কপাল খারাপ কেউ নেই আমার। রংপুরে বানিজ্য মেলায় যখন আমার বন্ধুর সাথে আমি গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম মেলার ভিতর খালি মেয়ে আর মেয়ে। আর মেলাতে সবকিছুই মেয়েদের জিনিসের দোকান। ছেলেদের কেনাকাটা করার জন্য পুরা মেলা মিলে মোটে ৪-৫ টা দোকান মাত্র। কি আর করার আমি শুধু সবকিছুই দেখেই গেলাম। চুরির দোকানগুলোতে মেয়েরা অনেক ভীড় করছে দেখছি।

একটা চুরির দোকানে দেখলাম তেমন লোকজন নেই। সেখানেই মোবাইলটা বের করে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। সত্যি বলতে আমার যদি গার্লফ্রেন্ড থাকতো আর সে যদি আমার সাথে মেলায় যেতো তাহলে অবশ্যই তাকে আমি চুরি আর ঝুমকা নিয়ে দিতাম। মেয়েদের রাগ ভাঙানোর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো উপহার দেয়া। আর চুরি উপহার দিলে তো কথাই নেই। আমার একটা বান্ধবী আছে ওর অনেকগুলো চুরি। যেখানেই চুরি দেখে সেখানেই কিনে। শুনেছি তারা নাকি ৫০ জোড়ারও বেশী চুরি আছে। তারপরও সে চুরি কিনে। এ থেকেই বোঝা যায় যে মেয়েদের চুরি কতোটা পছন্দের।