ঐতিহ্য বাহি কুটির শিল্প
আসসালামু ওয়ালাইকুম
আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি গ্রামের মহিলারা কিভাবে বাড়িতে বসে কুটির শিল্প তৈরি করে অর্থ উপার্জন করে তারা তাদের চাহিদা মেটায়।
গ্রামের মহিলারা বাড়িতে বসে নানা রকম কুটির শিল্প তৈরি করে, তারা হোগলা পাতা দিয়ে নানা রকম জিনিসপত্র বানায়, এই হোগলা পাতা দিয়ে, ঝুড়ি, ম্যাড, বালতি, পাপোশ, ছুটকেস,ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানিয়ে থাকে,হোগলা পাতা কেটে, ফিতা দিয়ে মেপে তারপর এগুলো আবার সিএম, ইঞ্চি হিসেবে যেটা বানাতে যতটুকু মাপের প্রয়োজন সে অনুযায়ী বানাতে হয়, এই হোগলা পাতার কাজ চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এই কাজের মাধ্যমে অনেক গরীব অসহায় মানুষ তাদের চাহিদা মেটায়, দৈনন্দিনের প্রয়োজনেও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে হোগলা পাতার পাটির ব্যবহার রয়েছে হোগলা পাতা কুটিরশিল্পের উপর নির্ভর করে গ্রামের মহিলারা জীবিকা নির্বাহ করছ।
কিন্তু এখন তা হচ্ছে না, এগুলো এখন মেশিনের দারা উৎপাদন করা হচ্ছে , তাই এগুলোর চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে, মানুষের হাতে বানানো কুটির শিল্পের তৈরি জিনিসপত্র এখন আর দেখা যাচ্ছে না , মেশিনের দারা যে জিনিস হচ্ছে তা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাই মানুষ এখন হাতে বানানো কুটিরশিল্প নয় মেশিনের দারা কুটির শিল্প তুলে ধরেছে।
তারা এগুলো বানিয়ে দেশের নানান জায়গায় এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে, তারা কিছু টাকার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে থাকে, তার মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে, কখনো মাথার উপরে রোদ বৃষ্টির মাঝেও তাদের কাজ করতে হয় শুধু কয়েকটা টাকার জন্য , কিন্তু তারপর ও তারা তাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না, তারা এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে, তারা চায় তাদে এই কাজ যে নো দেশের বিভিন জায়গায় হোগলা পাতার কাজ দেখা যায়।
এই হোগলা পাতা গুলো গ্রামের মহিলাদের কাছে থেকে বানানো হয় তারপর এগুলো আবার ভালো করে মেশিনে মেরামত করতে হয়, এতে নানা রকম ডিজাইন করা হয় কাপড় বসানো হয় সুতা দিয়ে লক করা হয় এটি ভালো করে প্যাকেট তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
এই হোগলা পাতা গ্রামের মহিলাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তারা এই কাজ করে তাদের চাহিদা মেটায় পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়, তারা এই হোগলা পাতার কুটিরশিল্প চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তারা চায় তাদের এই শিল্প তুলে ধরতে, ইত্যাদি।
এই ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প টি আমি আমাদের গ্রামেও দেখেছি। বর্তমানে শহরেও এগুলো বিক্রি করা হয়, তবে গ্রামের থেকে শহরে এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এবং শহরে এগুলো অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিস হিসেবে বিক্রি হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
এই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে হোগলা পাতা এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম। নতুন একটি বিষয় অভিজ্ঞতা হলো। দাড়ি কমার ব্যবহারটি আরেকটু ভালো করলে পোস্টটি আরো সুন্দর লাগবে আপু। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু । আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
প্রথমে সেলুট জানাই সমাজে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের কর্মজীবন এবং হোগলা পাতা থেকে এত সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র বানানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্য। তাড়াও বিদেশে রপ্তানি হলে আমাদের দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পায়। ভালো উপস্থাপনা করেছেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ
বাহ্ ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প নিয়ে সুন্দর উপস্থাপন করছেন। এ শিল্প গড়ে ওঠাতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা হয়েছে। কুটির শিল্প আমাদের ঐতিহ্য। যেখান থেকে অনেক মহিলা স্বাবলম্বী হতে পারে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য
ধন্যবাদ
কুটির শিল্প ধীরে ধীরে গ্রামঅঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছে। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
কুঠির শিল্প আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য। আর এই কুঠির শিল্প আমাদের দেশে অনেক চাহিদা রয়েছে। নতুন হিসাবে অসাধারণ পোস্ট করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
কুটির শিল্প বাংলাদেশের এক ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে শিল্প এ দেশে চলে আসতেছে যা গ্রামীণ সমাজ ও মানুষের এক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।কিন্তু বর্তমানে এই শিল্প হারিয়ে গেছে দিনদিন যেন নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমি আজকে প্রথম এই কুটির শিল্প দেখলাম, আপনি কুটির শিল্প নিয়ে অসাধারণ লেখছেন, আমাদের গ্রামে এইরকম জিনিস দেখি নাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ