কোন কিছু পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত এই দাঁড়িপাল্লা এখন বিলুপ্তির পথে||
প্রিয় ব্লগার বৃন্দ,
প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের জিনিস আমাদের পরিমাপ করতে হয়।আর পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের পাল্লা। আজকে আমার আলোচনায় আপনাদের সাথে শেয়ার করা এই পাল্লাটি আমরা সবাই চিনি। হয়তো আমাদের পরের প্রজন্ম এই জিনিসটাকে আর চিনবে না। এসব পাল্লা দিন দিন বিলুপ্তির পথে। আজ থেকে দশ বছর আগেও বিভিন্ন ধরনের জিনিস পরিমাপ করার জন্য এই পাল্লা ব্যবহার করা হতো। তবে বর্তমানে এখন আর এই পাল্লার ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। এই পাল্লার দুই দিকে দুইটি লোহার তৈরি পাল্লা রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের শক্ত দড়ি দিয়ে দাড়ি(মাঠানো বাঁশের তৈরি এই অংশটিকে দাড়ি বলা হয়) এর সাথে যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ পাল্লাটি।
এখনো দৈনন্দিন আমাদের বিভিন্ন জিনিস পরিমাপ করার প্রয়োজন পরে । কিন্তু এসব জিনিস পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল পাল্লা। লোহার এই দাঁড়িপাল্লা গুলো সাধারণত ব্যবহার করা হতো ধান ও চাল পরিমাপ করার কাজে। ধান ব্যবসায়ীরা এই পাল্লা দিয়েই তাদের ব্যবসার কাজের জন্য কিনতে যাওয়া ধান ওজন করতো। শুধু ধানের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয় এ পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শস্য ওজন করে ক্রয় বিক্রয় করা হতো কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী বস্তায় করে সংরক্ষণ। এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাল্লা গুলোর ব্যবহার দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিজিটাল পাল্লার ব্যবহার এখন অনেক বেশি দেখা যায়।
যেকোনো পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ওজন বা পরিমাপ এর গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যেকোনো পণ্যের ওজন নিয়ে যেন ঝামেলা তৈরি না হয় সে কারণেই এসব পাল্লা গুলো ব্যবহার করা হয়। অনেক পুরনোই পাল্লাটি দিয়ে ওজন করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপের পাথর ব্যবহার করা হতো। যেগুলো ৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫০০ গ্রাম ১০০০ গ্রাম বা এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত যে কোন কোন পরিমাণ সঠিক রাখতে পারে। পাল্লা দুটির একদিকের পালায় নির্দিষ্ট পরিমাণের জন্য পাথর ও অন্য পাল্লায় সেই পন্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বসিয়ে পণ্য বিক্রি ও ক্রয় করা হতো।ওজনটি সমান হয়েছে কিনা সেটা যাচাই করার জন্য পাল্লা দুটি সমান ভাবে অবস্থান করছে কিনা এ ব্যাপারটি লক্ষ্য করা হতো এবং পাশাপাশি লক্ষ্য করা হতো দাড়িটি একদম সমান বা বরাবর আছে কিনা।
তবে প্রযুক্তির প্রভাব এখন এতটাই বেশি যে আমরা সব ক্ষেত্রেই আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার খেয়াল করতে পারি। এই প্রযুক্তি গুলো আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে ডিজিটাল পাল্লা গুলোতে এমন ভাবে ওজন করা হয় যে এক গ্রাম ওজন কম বেশি হলেও সেটি বোঝা যায়। কাজেই ক্রেতা ও বিক্রেতা দের মধ্যে ওজন নিয়ে কোন ঝামেলা সৃষ্টি হয় না। এখন প্রায় সব কিছু পরিমাপ করার জন্যই ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি ,ধান চালের ব্যবসার জন্য ক্রয়-বিক্রয়কৃত ধান চাল কিংবা অন্যান্য সব ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ডিজিটাল পাল্লা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এসব পাল্লার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও আমরা দাঁড়িপাল্লার সেই ব্যবহারগুলো হারিয়ে ফেলেছি। দাঁড়িপাল্লা এখন বিলুপ্তির পথে।
এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়।আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদেরকে ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেন আমরা আমাদের ঐতিহ্য গুলোকে ভুলে না যাই এই ব্যাপারে সবাই সচেতন থাকবেন।
ধন্যবাদান্তে,
আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা সম্পূর্ণ আলোচনা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ডিভাইস Redmi Note 11 ফটোগ্রাফার @rumana12 লোকেশন দিনাজপুর
@rumana12
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://twitter.com/rumana4102/status/1697194059897688352?t=0AjX_vyEOFJaAqDAGCCOAA&s=19
আগেরকার যুগে দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার ব্যাপক ছিল। গ্রামের কোন কোন বাসায় বা ব্যবসায়ীরা ধান পরিমাপ করার জন্য এই ধরনের বড়পাল্লা ব্যবহার করা হতো। আবার গ্রামের দোকানগুলোতে এই পাল্লা ব্যবহার করা হতো। এখন আর আগের মতো এই দাঁড়িপাল্লা দেখা পাওয়া যায় না। এখন বর্তমানে ডিজিটাল পাল্লায় সব কিছু ওজন করা হয়।
বর্তমানে প্রযুক্তির ভিড়ে প্রায় হারিয়ে গেছে এই দাঁড়িপাল্লা।১০ বছর আগেও এই পাল্লা ব্যবহার করে ওজন পরিমান করা হতো। কিন্তু এই পাল্লা বর্তমানে ধান ব্যবসায়ী ছাড়া কারো কাছে দেখতে পাওয়া যায় না। এই পাল্লাতেও নিখুঁত ভাবে পরিমাপ করা যায়। আমার বাসায় এমন একটি পাল্লা আছে আপু। আপনি দাঁড়িপাল্লার পরিমাপ নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
পোস্টে আরো ২-৩ টা ছবি ব্যবহার করুন। পোস্টের মান বৃদ্ধিতে মার্কডাউন করুন।।।
দাঁড়িপাল্লা আমার গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। আপনি ঠিকই বলেছেন দাঁড়িপাল্লা এখন একবারই বিলুপ্তর পথে। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার কারণে এখন কেউ দাঁড়িপাল্লা ব্যবহারই করেনা। তবে মাঝে মাঝে গ্রাম অঞ্চলের কিছু হাট বাজার গুলোতে দেখা যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলোতে ১ গ্রাম ওজন ও কম বেশি না হওয়ার কারণে সবাই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। দাঁড়িপাল্লা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
দাঁড়িপাল্লা অনেক প্রয়োজনীয় মাধ্যম।কয়েক বছর আগেও এই দাঁড়িপাল্লা অনেক বেশি ব্যবহার হতো কিন্তু এখন ধান ব্যবসায়ী ছাড়া এই দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে দেখতে পাওয়া যায় না। তবে আমার কাছে এখনো এই দাঁড়িপাল্লার পরিমাপ অনেক নিখুঁত মনে হয়। আপনি বেশ পুরাতন একটি পরিমাপ করার পদ্ধতি নিয়ে পোস্ট করেছেন। এমন সুন্দর পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলতে চাই দাঁড়ি পাল্লা নিয়ে বিস্তারিত অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।ঠিকই বলেছেন আমারও মনে হয় পরের প্রজন্ম এ দাঁড়ি পাল্লা চিনবে না,এটি দিন দিন বিলুপ্তির পথে।যেমনটা বলেছেন বর্তমানে এ লোহার দাঁড়ি পাল্লা কম দেখা যায়।এ ধরনের দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে ধান ও চাল পরিমাপ করা হয়।এখন ডিজিটাল পাল্লা বের হয়েছে যা দোকানে বা অনেকে নিজের বাসায়ও কিনে রাখে।যুগের সাথে সাথে পুরোনো সব জিনিস উঠে যেয়ে নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে।আপনার পোস্ট পড়ে অনেকেই উপকৃত হবে।আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আগেকার সময়ে দেখা যেত যেকোন জিনিসপত্র মাপার কাজে এই দাঁড়ি পাল্লা ব্যবহার করা হতো। আর প্রত্যেকের বাড়িতেই এই দাঁড়ি পাল্লা বিশেষ কাজে লাগত। আমাদের বাসায়েও দাঁড়ি পাল্লা আছে তবে বর্তমান সময়ে কালের পরিবর্তন হওয়ায় দাঁড়ি পাল্লার ব্যবহার তেমন দেখা যায় না। আগেকার সময়ে ধান মাপার কাজে এই দাড়ি পাল্লা ব্যবহৃত হতো। দাঁড়ি পাল্লা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।