মসলা গুঁড়ো করার কাজে অনেক আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসা যন্ত্র "সাম"
ঐতিহ্যমূলক পোস্ট 🤗Hello Bloggers 🤗 |
|---|
ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারে মসলা এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মসলার ব্যবহারে বাঙ্গালীদের খাবার হয়ে ওঠে ভিন্ন স্বাদের। বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের রান্নায় বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করে। সব রান্নায় সব ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় না। আর এসব মসলা কখনো কখনো ভেজে কিংবা কখনো কখনো গোটা আবার কখনো কখনো গুঁড়ো করে ব্যবহার করা হয়।
মসলা গুঁড়ো করার কাজে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ও মালামাল। যেমন মসলা গুঁড়ো করার জন্য শিল পাটা, মাটির তৈরি তাওয়া এবং সাম ছাড়াও অত্যাধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। মসলা গুঁড়ো করার কাজে সাম অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করা হয়। সাম লোহার তৈরি। এর দুইটি অংশ যার দুটিই লোহার তৈরি।যার একটি অংশে মসলা রেখে অপর অংশ দিয়ে সেই মসলার উপর আঘাত করা হয়। এবং একটা সময় মসলাটি গুড়ো হয়ে যায়।
সাম এর ব্যবহার শুধুমাত্র মসলা গুড়ো করাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাম অন্যান্য জিনিস বেটে গুড়ো করার কাজে ব্যবহার করা হয়। সাম ব্যবহার করে চাল থেকে আটা তৈরি করা হয়। মরিচ বেটে গুড়া করা, আদা -রসুন বেটে তরকারির কাজে ব্যবহার করার জন্যও সাম ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বড় কোন অনুষ্ঠানের রান্নার আয়োজনে যখন অনেক ধরনের মসলা গুঁড়ো করতে হয় তখন সাম এর ব্যবহার সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে সাম এর ব্যবহার দেখি। অনুষ্ঠানটির একটি বিয়ে ছিল। সেখানে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় মসলা এই সাম এর মাধ্যমে বেটে গুঁড়ো করা হয়। সেখানে দেখা সামটি অনেক বড় ছিল । একজন লোক আদা রসুন থেকে শুরু করে সব মসলাই এক এক করেই সাম এর মাধ্যমে গুড়ো করছিলেন এবং হাতা দিয়ে তুলে অন্য একটি বাটিতে সংরক্ষণ করছিলেন। মসলাগুলো খুব সুন্দর ভাবেই গুড়ো হচ্ছিল। যদিও মসলাগুলো গুড়ো করতে বেশ শক্তি ক্ষয় হচ্ছিল। সামটি বেশ পুরনো ছিল।
সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফেরার সময় মনে হল সাম এর কয়েকটি ছবি তুলে রাখলে হয়তো কোন একদিন কাজে আসবে। সেখান থেকে কয়েকটি ছবি সংগ্রহ করা এবং আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
আশা করি ,আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে ।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।সকলে ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন। নিজ দেশ এবং দেশের ঐতিহ্যকে ভালবাসবেন ,সম্মান করবেন এবং যত্নে রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমাদের এলাকায় এটিকে হামানদিস্তা বলে।আমাদের বাসায় দুটো রয়েছে। একসময় এগুলোর ব্যবহার অনেক বেশি ছিল।বর্তমানে ব্লেন্ডারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে এগুলোর ব্যবহার কমে গিয়েছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন।শুভকামনা রইল
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ছবি দেখে আমি প্রথমে বালতি মনে করেছিলাম পরে বুঝতে পারলাম যে এটা মসলা গুরো করার যন্ত্র যার নাম 'সাম'। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এগুলো অনেক পুরনো। আমি এর আগে কখনো এই যন্ত্রটি দেখিনি। এই ঐতিহ্যগুলো এখন আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে গেছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামে এই সাম কে হামানদিস্তা নামে চিনে থাকে। হামানদিস্তা দিয়ে রান্নার উপকরণ গুলো পিষে মিহি করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের এলাকায় এর আঞ্চলিক নাম হামানদিস্তা, হামানদিস্তা দিয়ে সহজে মসলা গুড়া করে তরকারি রান্না করা হয়। আগের দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হামানদিস্তা দিয়ে মশলা গুড়া করা হতো, তবে আপনার কাছে সাম নামটা শুনে ভালোই লাগলো। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এই যন্ত্রটির নাম যে সাম তা আমার জানা ছিল না। আমাদের এলাকায় আমরা এটাকে হামানদিস্তা বা হামু বলে থাকি। এটা দিয়ে মসলা বাটা সহ নানা ধরনের কাজ করা হয়। সিদল তৈরি করার কাজেও এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে হামানদিস্তায় মসলা গুড়ো করা হয়। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের বাসায় ও এই সাম রয়েছে। যা আমাদের এখানে হামানদিস্তা নামে পরিচিত। এই হামানদিস্তা দিয়ে রান্না করার সকল মসলা জাতীয় মিহি করা হয়।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাম নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপু।আগের যুগে সাম অনেক ব্যবহার হত।বড় কোনো অনুষ্ঠান হলে এই সাম ব্যবহার করে।সাম দিয়ে আমরা মসলা বা মরিচ ইত্যাদি এগুলো গুড়ো করি।আপনি সাম নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Twitter share link-
https://twitter.com/rumana4102/status/1684867005973966848?t=DwFOQa6bsi6t4oBvhpHivQ&s=19
অনেক দিন পর এসব জিনিস পত্র দেখলাম আপু, হয়তো আর কয়েক বছর গেলে এসব জিনিস পত্র বিলিন হয়ে যাবে, পত্রটি নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, ফটোগ্রাফিও অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের এলাকায় এটিকে বলা হয় হামানদিস্তা। আসলে এক এক জায়গায় এক এক নামে পরিচিত। এই হামানদিস্তা সাধারণত তরকারি জাতীয় মসলাগুঁড়া চূর্ণবিচূর্ণ করা হয় হামানদিস্তার মাধ্যমে। এই হামানদিস্তা সাধারণত গ্রামাঞ্চলে কমবেশি সকলের পরিচিত ও বাড়িতে আছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।