গ্রাম অঞ্চলের বাঁশ বাগান ও বাঁশের কিছু ব্যবহার ।
বাংলাদেশ চিরসবুজের দেশ। সবুজে সমৃদ্ধ আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ আমাদের দেশ ও দেশের বাইরের মানুষজন। সবুজের এই প্রধান উৎস বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। এসব গাছপালার মধ্যে বাঁশ আমাদের সকলের পরিচিত এমন এক ধরনের গাছ যা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। চলুন আজকের আলোচনায় বাঁশ ও বাঁশের কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানা যাক।
প্রথমে আপনাদের সাথে আলোচনা করি বাঁশ বাগান নিয়ে। একটি বাঁশ বাগান থেকে প্রথমে আমরা যে উপকারটি পাই তা হলো- একটি বাঁশ বাগান থেকে আমরা অনেক সুন্দর ঠান্ডা বাতাস এবং অক্সিজেন পাই। বাঁশ অন্যান্য গাছের তুলনায় পরিমাণে অনেক কম পানি শোষণ করে। বাঁশের শেকড় একটি নির্দিষ্ট জায়গার মাটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকে। ফলে ভূমিধস এর মত ঘটনা বাঁশ বাগানের আশেপাশে কম ঘটে থাকে। এবার বাঁশের কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
বাঁশের বিভিন্ন ব্যবহারের মধ্যে বাঁশ দিয়ে তৈরি দরজার ব্যবহার গ্রামের বাড়িগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা যায়। গ্রামের বাড়ি গুলোতে সচরাচর বাঁশের তৈরি দরজা বানানো হয়। তবে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রকমের দরজা বানানো হয়ে থাকে যেমনঃহাঁস ও মুরগী দরজা সহ বিভিন্ন জায়গার নিরাপত্তার জন্য বাঁশের দরজা বিশেষ ভুমিকা পালন করে। বাঁশগুলো একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের সমান করে কেটে সুন্দর করে গাঁথা হয়। দরজাটি যেন মজবুত হয় সেজন্য দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হয়। দরজা গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে।
বাঁশের তৈরি এই জিনিসটিকে বলা হয় বানা।বর্ষাকালে পুকুরের মাছ যেন পুকুর থেকে বের হয়ে না যায় এবং অতিরিক্ত পানিও যেন পুকুরে না থাকে সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট জায়গা কেটে বাঁশের তৈরি বানা দিয়ে পুকুর পাড়ের সেই কাটা অংশটি আটকে দেয়া হয়। এতে পুকুরের মাছ পুকুরে আটকা থাকে এবং অতিরিক্ত পানিও এই বানার ছিদ্র দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। এক্ষেত্রে বাঁশ নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের সমান করে কেটে সুন্দর করে মাঠানো হয়। মাঠানো এই বাঁশের অংশগুলোকে আমাদের গ্রামের ভাষায় বলা হয় দোপি।দড়ির সাহায্যে দোপিগুলো সুন্দর করে একটার পর একটা সাজিয়ে গাঁথা হয়।
এছাড়াও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঘর তৈরি করা হয়। জ্বালানি হিসেবে বাঁশের পাতা সহ সম্পন্ন বাঁশটি ও ব্যবহার করা হয়। সর্বোপরি বলা যায় বাঁশ এর ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে বিদ্যমান। বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস আমরা আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করি।
আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে ।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। নিজ দেশ ও দেশের ঐতিহ্য কে ভালবাসবেন ,সম্মান করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
গ্রাম অঞ্চলের বাঁশ এর বাগান এবং বাঁশের ব্যবহার সম্পর্কে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন কাজে লাগে। বাঁশ শিল্পের পূণ্য সামগ্রী আমাদের গৃহস্থালির অনেক কাজে লাগে। সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
গ্রামের মানুষজন প্রতিনিয়ত বাঁশের ব্যবহার করে থাকেন, আপনি বাঁশ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করেছেন, বাঁশ দিয়ে আমরা এত পরিমান কাজ করি যেগুলো বলে প্রকাশ করার যাবেনা, এরপরেও আপনি অনেক সুন্দর কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু
বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাসা বাড়িতে সবথেকে বেশি বাঁশ ব্যবহার করা হয়। বাঁশের ডালি কুলা সবথেকে বেশি বাসার কাজে লাগে। আমাদের পুকুরেও আমরা বাঁশের চাটাই ব্যবহার করে থাকি। সুন্দর লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঁশ হল ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। সব থেকে বড় ঘাস হলো বাঁশ।বাঁশ আমাদের বিভিন্নভাবে কাজে লাগে।গ্রামের সৌন্দর্য হলো বাঁশঝাড়।বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হয়।যেগুলো গ্রামে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।বাজারেও বাঁশ বিক্রয় করা হয়। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/rumana4102/status/1689185879896809473?t=uiriRPeaAdjDBYAWbdM49Q&s=19
বাঁশের তৈরি সব জিনিস আমাদের দৈনন্দিন কাজে আসে। বাঁশ দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করি।বর্তমান আগের থেকে বাঁশ ঝাড় এখন খুব কম।সবাই বাঁশ ঝাড় কেটে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করতেছে।আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন আপু।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
গ্রামাঞ্চলে বাঁশ ও বাঁশের ব্যবহার কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার একটি পরিচিত ঘাস হল বাশ। এই বাঁশ দিয়ে অনেক কিছুই তৈরি করা হয় যা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাঁশবাগান সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।