ইট ভাঙ্গার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি।
প্রিয় ব্লগার বৃন্দ,
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বর্তমান সময়ে আমরা প্রতিটি কাজ সফল সম্পন্ন করার জন্য কোনো না কোনো বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে দিয়েছে। নিত্যদিনের সকল কর্মকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের জিনিস অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফসল। প্রযুক্তি আমাদের সকল কাজকে কয়েক গুণ সহজ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনি এক আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব । যে প্রযুক্তি কয়েক দিনে সম্পন্ন করতে হবে এমন একটি কাজকে অল্প কিছু সময়ে শেষ করে ফেলতে পারে।
ইট আমাদের অনেক পরিচিত একটি জড় বস্তু। ছোট ছোট দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় অট্টালিকা পর্যন্ত তৈরি করা হয় এই ইটের সাহায্যে। রাস্তাঘাট পাকার কাজে কিংবা মেঝে ঢালাই এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ইট এর খোয়া। সম্পূর্ণ বা গোটা ইট কে ভেঙে ইট এর খোয়া বানানো হয়। ইটের খোয়াকে 'গিঠি'ও বলা হয়। যেকোনো ধরনের নির্মাণ কাজে ঢালাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় রড ,সিমেন্ট ,বালু ও ইটের খোয়া। বড় কোন বিল্ডিং বা রাস্তা পাকা করার কাজে এই খোয়ার ব্যবহার ও গুরুত্ব অনেক বেশি। ইটের খোয়া তৈরির জন্য অনেক আগে থেকেই যে পদ্ধতিটি ব্যবহৃত হয়েছিল সেটি হলো হাতুড়ি দিয়ে কোন ইটকে আঘাত করে ভেঙে টুকরো টুকরো করা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে অনেক বেশি সময় অপচয় হত। আর এতে পেশি শক্তি ক্ষয় হত। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে।সবকিছুতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে । অত্যাধুনিক বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। যেসব প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করছে।
নিত্য নতুন সব আবিষ্কারের মধ্যে ইট ভাঙ্গার জন্য ব্যবহৃত মেশিনটির আবিষ্কার আমাদের সেই হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙ্গার মত কঠিন কাজটিকে আরো অনেক সহজ করে দিয়েছে। ইট ভাঙ্গার এই মেশিনটি ডিজেল চালিত। এই মেশিনটির সাহায্যে অল্প সময়ে অনেক ইট ভাঙা যায়। মেশিনটি মানুষের সময়ের অপচয় ও কষ্টকে অনেক অংশে কমিয়ে দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মেশিনটি কয়েক হাজার ইট ভাঙতে সক্ষম। এ মেশিনটি সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না। তবে আমাদের গ্রামের রাস্তাটি পাকা করার জন্য সরকার থেকে একটি বাজেট হয়েছে। সেই কাজের জন্যই প্রয়োজনীয় ইটের খোয়া তৈরি করতে এই মেশিনটি আমাদের এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
আমাদের রাস্তার কাজে বরাদ্দকৃত সাত হাজার ইট এই মেশিনটির দ্বারা ভাঙ্গা হয়েছে। সকাল দশটা থেকে শুরু করে বিকাল চারটা পর্যন্ত সাত হাজার ইট সফলভাবে ভাঙ্গা হয়েছে মেশিনটির মাধ্যমে। যদি হাতুড়ি দিয়ে সাত হাজার ইট ভাঙ্গার কাজ কিছু মানুষকে করতে দেয়া হতো তবে সাত থেকে দশ দিন সময় লেগে যেত। এই মেশিনটি আমাদের কতটা সময় এর অপচয় রোধ করেছে তা আমরা বুঝতেই পারছি। আমার কাছে সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে সেটি হল-ইটের সবচেয়ে ছোট বা মিহি অংশটি তৈরি হয়েছিল সেটা আলাদাভাবে পড়ে যাচ্ছিল আবার একটু বড় ইটের ভাঙ্গা গুলো আলাদাভাবে পড়ছিল আবার স্বাভাবিকভাবে যেই আকারের খোয়া প্রয়োজন সেই অংশগুলো আলাদা জায়গায় পড়ছিল।কাজের সহজেই ইটের বড় অংশটি আবার মেশিনে দিয়ে ছোট করে নেয়া যাচ্ছিল। মেশিনটির এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য আশীর্বাদ ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিশাপও বয়ে আনে। মেশিনটি চলাকালীন মাঝে মাঝে কালো ধোয়া নির্গত হচ্ছিল। যেকোনো কালো ধোঁয়া আমাদের পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বায়ুতে মিশে আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও বায়ুকে দূষিত করে। যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হলে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত করতে হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে পারে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করা উচিত। তবেই আমরা আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান গুলোকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে পারবো এবং আমরা সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবো। কোন প্রযুক্তি যেন আমাদের কাছে অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায় এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হওয়া উচিত।
আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা সম্পূর্ণ আলোচনা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদান্তে,
ডিভাইস Redmi Note 11 ফটোগ্রাফার @rumana12 লোকেশন দিনাজপুর
@rumana12
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কঠিন কাজ সহজ ভাবে করা যায়। আগেকার দিনে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙার কাজ অনেক বেশি কষ্টের ছিলো কিন্তু ইট ভাঙা মেশিন বাহির হওয়ার পরেই আমাদের কাজ গুলোকে সহজ করে দিয়েছে। দিন দিন বড় বড় দালানকোঠা তৈরি হচ্ছে আর এই দালানকোঠা তৈরির কাজকে সহজ করেছে এই ইট ভাঙার মেশিন। আপনি একটি সুন্দর বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন আপু।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
https://twitter.com/rumana4102/status/1693915398809534835?t=x8P9dd0NBwVlBm_Gj_Qldg&s=19
এই মেশিন টি আবিষ্কারের ফলে মানুষের কষ্টের অবসান ঘটেছে। আবার কাজের ক্ষেত্রে মানুষের সময়ও কম লাগতেছে। তাই দিন দিন এই মেশিনের চাহিদা বাড়তেছে। অনেক সুন্দর লিখেছেন আর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন আধুনিক যুগ, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এই আধুনিক মেশিনটি স্থাপন করা হয়েছে। আগে ইট ভাঙ্গার জন্য হাতুড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ভাঙ্গা হতো। তাতে অনেক সময় লাগতো। ইঞ্জিন চালিত এই মেশিনের সাহায্যে অল্প সময়ে অনেক ইট ভাঙ্গা যায়। এই মেশিনটি আবিষ্কার এর ফলে শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই মেশিনের সাহায্যে সাইজ অনুযায়ী খোয়া তৈরি করা যায়। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জনতা। শুভকামনা রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ইট ভাঙ্গার এই মেশিনটি আমার মনে হয় অনেক ভালো একটি আবিষ্কার। কেননা আগে ইট ভাঙ্গার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী শ্রমিক এই কাজটি করতো তবে এই মেশিনটি আবিষ্কার হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো ইট ভাঙ্গার কাজ শেষ হয়ে যায়।
যদিও এটির শব্দ বেশ বিকট এবং কানে লাগার মত তবুও ভালো । ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
ইট ভাঙ্গার এ মেশিনটি অনেক উপকারী।মনের মতো করে আকার দেয়ার এ মেশিনটি অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি।বর্তমান যুগে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাচ্ছে, সব রকমের কাজের জন্য মেশিন বের হয়েছে।আপনি ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত উপস্থাপন লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
এটা সত্য যে এই আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করে আমাদের দেশের অনেক মানুষের একটু হলেও কষ্ট কমে এসেছে কারণ যখন এই মেশিন ছিল না তখন এই ইট হাতে ভাঙ্গানো হতো কতই না কষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আধুনিক প্রযুক্তি ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে সুন্দর লেখছেন।আমাদের দেশ বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তিতে চলতেছে।আগের যুগে আমরা ইট ভাঙ্গা চুড়া করতাম হাতুড়ি দিয়ে। বর্তমান আধুনিক মেশিন বের হয়ে এগুলো মেশিন দিয়ে সবাই ইট ভাঙ্গতেছে।তবে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙ্গা অনেক কষ্টকর একটা কাজ ছিল যা আমাদের এখন সহজ করে দিয়েছে।আপনি আধুনিক প্রযুক্তি মেশিন নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এই ইট ভাঙ্গা প্রযুক্তি আসার কারণে মানুষের কষ্ট অনেকটা কমে গিয়েছে। প্রাচীন যুগে মানুষরা অনেক কষ্ট করে নিজের হাতে ইট ভাঙতো। তবে এখন আর তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। অল্প সময়ের মধ্যে এই মেশিনের মাধ্যমে অনেক ইট ভাঙ্গা সম্ভব। দেশ যত ডিজিটাল হতে চাই তত মানুষের পরিশ্রম কমে যাইতেছে। ইট ভাঙ্গা মেশিন নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু
পোস্টি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।