আসসালামু আলাইকুম
২৭ই- শ্রাবণ -১৪৩০ বঙ্গাব্দ
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে পাট থেক আঁশ সরানোর প্রাচীনকালের পদ্ধতি শেয়ার করব এবং পাটের আশঁ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
সোনালী আঁশ, আমাদের বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী সফল। পাট থেকে মূলত সোনালী আঁশ তৈরি হয়ে থাকে। সোনালী আঁশ আমাদের গ্রাম বাংলার এক প্রাচীন ঐতিহ্য। অনেক যুগ যুগ ধরে মানুষ এই সোনালী আঁশ চাষ করে থাকেন। এবং সেই সোনালী আঁশ বিক্রি করে অনেক ভালো আয় রোজগার করে থাকেন। সোনালী আঁশ দিয়ে আমাদের বাংলাদেশে অনেক শিল্প তৈরি হয়। তাই আমাদের দেশে সোনালী আঁশের প্রতি ল অনেক চাহিদা রয়েছে।
কৃষকরা প্রথমে পাট ক্ষেত চাষ করে থাকেন, সেই পাট যখন ধীরে ধীরে অনেক বড় হয়ে যায়, তখন পাটগুলো কেটে নদী বা নালার মধ্যে নিয়ে আসে। বিশেষ করে নদী বা নালা অঞ্চলে পাট ক্ষেতের চাষ অনেক বেশি হয়ে থাকে, কারণ পাট থেকে আঁশ সরানোর জন্য নদী এবং নালা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা পাট ক্ষেত কেটে আনার পর সেই গুলোকে নদী বা নালার মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বেশি দিন কাঁচা পার্টগুলো পানিতে থাকার কারণে যখন পোচে যায়, তখন সেই পাট গুলো থেকে সোনালী আঁশ সরানো হয। কাঁচা পাটগুলো ভিজিয়ে রাখার পর সেখান থেকে অনেক দুর্গন্ধ আসার কারণে কৃষকরা বাসা বাড়ির কাছ থেকে অনেক দূরে কাসা পার্ট গুলো জাগিয়ে রাখেন। এবং সেগুলো থেকে কয়েক দিন পর বাংলার ঐতিহ্য সোনালী আঁশ সরানো হয়।
|
| |
এখানে তিনজন ব্যক্তি পাট থেকে আশঁ সরানোর কাজ করতেছে। পাট থেকে আশঁ সরানোর কাজ সবার দ্বারাই সম্ভব হয় না, কারণ পাট থেকে আশঁ সরানোর সময় অনেক সাবধানে কাজ করতে হয়। না হলে আশের ভিতরে যে সিন্ডা থাকে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেক ধীরে শাস্তে পাট থেকে আঁশ সরানো হয়, এরপর শ্রমিকরা আঁশ গুলো একদিকে রাখেন এবং সিন্ডা গুলা অন্যদিকে রেখে দেন। কারণ সিন্ডা এবং আঁশ দুটিকে আলাদা আলাদা জায়গায় শুকাতে হবে। সিন্ডা আমরা সাধারণত জ্বালানির কাজে ব্যবহার করে থাকি। তাই সিন্ডার থেকে আমরা সোনালী আঁশ গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
পাট থেকে আঁশ সরানো বা আঁশ থেকে সিন্ডা বের করার যে পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি, এটি অনেক প্রাচীন যুগ থেকেই ধারাবাহিক ভাবে চলে আসতেছে। তবে এখন পাট থেকে আঁশ সারানোর অনেক পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি রয়েছে। কিছু চাষিরা তো শুরুতেই কাঁচা পেট থেকে আঁশ গুলো সরিয়ে আলাদা ভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখে। এরপর আঁশ গুলো কিছুদিন পর পানি থেকে তুলে শুকিয়ে নেন। এছাড়াও পাট থেকে আঁশ সরানোর আরো অনেক প্রযুক্তি রয়েছে, সেগুলো আমার জানা নেই।
|
| |
পাট ক্ষেত চাষ করার আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সোনালী আঁশ তৈরি করা। পাট থেকে আঁশ গুলো সরানোর পর সেগুলো ভালো করে রোদের মধ্যে শুকাতে হয়। আমাদের গ্রামে এভাবেই পুলের ওপর অথবা ঘাসের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে পাট শুকানো হয়। এখানে একটি বিষয় রয়েছে যার আঁশের কালার বেশি সুন্দর হবে তার আঁশ গুলোর দাম অনেক বৃদ্ধি পায়। তাই আঁশ গুলো শুকানোর সময় অনেক গুরুত্ব দিতে হয়, যেন দ্বিতীয়বার আঁশ গুলো ভিজিয়ে না যায়। সোনালী আঁশ দিয়ে আমাদের বাংলাদেশে অনেক কিছু শিল্প তৈরি করা হয়। যেমন:- বস্তা সুতলি-দড়ি ব্যাগ আঁশের পাপোশ ইত্যাদি। এবং আমরা সেই জিনিসপত্র গুলো দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে থাকি। এই ছিল আমার পাট এবং আঁশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
পোস্টের বিষয় | ঐতিহ্যবাহী সোনালী আঁশে |
ক্যামেরা মডেল | realme 9i |
ফটোগ্রাফার | @rubayat02 |
লোকেশন | রংপুর বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের ঐতিহ্যবাহী সোনালী আঁশ নিয়ে কিছু কথা। সবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিলাম, দেখা হবে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
💞-খোদা হাফেজ-💞
আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।
you can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
আপনাদের এলাকার মতো আমাদের এলাকায়ও এইভাবে পাটগাছ থেকে আশঁ সরানো হয়।সরানো আশঁ রোদে ভালোভাবে শুকায়ি বাজারজাত করা হয়।এবং এর পাটখড়ি জ্বালানি হিসবে ব্যবহার করা হয়।পাটগাছ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে গন্ধ বের হয় সেটা আমি একদম সহ্য করতে পারি না।পাটগাছ থেকে আশঁ সরানোর পদ্ধতিটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া
My Twitter link:-
https://twitter.com/Rubaiyathasan02/status/1690253781366403072?t=BICzTS6DaAzhBlAeKZrkWQ&s=19
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাট গাছকে একটা নির্দিষ্ট সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে পাট খড়ি ও পাট আলাদা করা হয়। পাট পঁচানোর সময় পঁচা পাট গুলো দুর্গন্ধ ছড়ায়। যা বায়ু ও পানি উভয় দূষিত করে।পাট চাষিরা বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাট কাটার পর পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য। তারপর সেই পাট রৌদ্রে শুকিয়ে তৈরি করা হয় সোনালী ফসল, যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। এবং আমাদের দেশে পাট শিল্পের পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে । সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আমাদের এলাকাতেও পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর সেগুলোকে কাপড় যে রকম করে শুকায় সেরকম করে মেরে দেওয়া হয়। পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর যে পাটকল এগুলো থাকে সেগুলো রোদে শুকাতে দেওয়া হয় গোল করে। পাটের আঁশ ছাড়ানোর এই পদ্ধতিটি সেই প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে প্রচলিত আছে এবং কোনরকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো সেভাবেই কাজটি সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে
আমাদের দেশের সোনালি আঁশ হলো পাট। পাট আমাদের একটি ঐতিহ্য। আমাদের এলাকায় আমি আগে কাঁচা গাছ থেকে পাট ছাড়ানো দেখিনি। তবে নদীতে বা নালাতে ডুবিয়ে তারপর পাট ছাড়ানো দেখেছি। পাটের তৈরি বস্তা আমাদের দেশে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। পাটের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্রের বেশি চাহিদা রয়েছে ইউরোপের দেশ গুলোতে। পাট নিয়ে আপনি সুন্দর তত্ব দিয়েছেন ভাই।
আমাদের দেশের ঐতিহ্য হলো এই সোনালী পাট। এবং আমরা সেই ছোটকাল থেকেই দেখে আসতেছি পাট যখন একেবারে কাটার উপযোগী হয় তখন কেটে বোঝা করে বেঁধে নদীতে রাখা হয় কিছুদিন এবং তারপর এগুলো থেকে আশ বের করে ভেতরের অংশটুকু রোদে শুকানো হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি এবং অনেক সুন্দর ভাবে তাও উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে