আসসালামু আলাইকুম
২৯ই- শ্রাবণ -১৪৩০ বঙ্গাব্দ
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে চাল গুঁড়ো করা মেশিন নিয়ে আলোচনা করবো।
হ্যালো কাছের মানুষজন, আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের মাঝ থেকে ঐতিহ্যের অনেক কিছু জিনিসপত্র বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো ঢেঁকি। প্রাচীন কালের মানুষজন আগে চাল, গম, ভুট্টা, ইত্যাদি গুঁড়ো করত ঢেঁকির মাধ্যমে। আর এখন সেই ঢেঁকি পুরো মাত্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এখন চাল, গম গুঁড়ো করার জন্য নানান ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাইর হয়েছে। তার মধ্যে আমি যেই মেশিনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি এটি হলো চাল গুঁড়ো করার অন্যতম একটি মাধ্যম। এই মেশিনের মাধ্যমে আপনারা সহজেই চাল, গম, ভুট্টা গুঁড়ো করতে পারবেন। তবে দেশ উন্নত হওয়ার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কাজ করতে পারি। এটি আমাদের জন্য অনেক ভালো একটি ব্যবস্থা।
| |
এই চাল গুঁড়ো করা মেশিনটি আমরা প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি। এবং এক মেশিনে কয়েক প্রকার পন্য গুঁড়ো করার কারণে একটু সমস্যা হয়। যেমন একটু আগে একজন ব্যক্তি ভুট্টা গুঁড়ো করেছিল। আর এখন একজন মানুষ চাল গুঁড়ো করতে এসেছে। এই কারণে যে ব্যক্তির মেশিন তিনি মেশিনটিকে ভালো করে পরিষ্কার করতেছে যাতে করে চালের গুঁড়ার সাথে ভুট্টার গুঁড়ো যেনো মিশে না যায়। এই কারণে অন্য কোন পণ্য গুঁড়ো করার পর, ভালো করে মেশিনটি পরিষ্কার করে নিতে হয়। এই মেশিনটি মূলত মডার দিয়ে চলে। তাই অল্প সময়ের মধ্যে যে কোন পন্য গুঁড়ো করা সম্ভব। আমার জানামত এমন চাল গুঁড়ো করা মেশিন গুলো প্রায় সব এলাকাতেই দেখা যায়। ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি উঠে যাওয়ার পর গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা সবাই এই মেশিন ব্যবহার করে থাকেন।
| |
আগের জমানায় সব মানুষই পিঠা খাওয়ার জন্য ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতো, এবং ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতে অনেক সময় লাগতো। কিন্তু এখন আর তেমন সময় লাগে না। চার পাঁচ কেজি চাল মাত্র এক দুই মিনিটেই এই চাল গুঁড়ো করা মেশিনের মাধ্যমে গুঁড়ো করা সম্ভব। এর কারণে মানুষ এখন বেশি পরিশ্রম করতে চায় না, আর পরিশ্রম করবেই বা কেনো এক দুই মিনিটেই যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে পরিশ্রম করার কি দরকার। আমার দেখা মতো এই মেশিনে সব সময়ের জন্য মানুষের ভিড় থাকে। কারণ এখন মানুষ সহজ পদ্ধতি পেয়ে সব সময় বাড়িতে পিঠা বা ভুট্টার গুঁড়ো খেয়ে থাকেন।
দেশে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি আসার কারণে মানুষের অনেক উপকার হলেও হারিয়ে যাইতেছে আমাদের মাঝ থেকে অনেক ঐতিহ্য। যে ঐতিহ্য একবার হারিয়ে যায় আমরা চাইলেও আর সেই ঐতিহ্য ফ্রিয়ে আনতে পারব না। আপনারা লক্ষ্য করবেন দেশে নানান প্রকার প্রযুক্তি আসার কারণে, এখন মানুষ হয়ে গেছে রোবট আর রোবট হয়ে গেছে মানুষ, এখন মানুষের কাজ সবসময় মেশিন করে থাকে। আর মানুষ রোবটের মত দাঁড়িয়ে থাকে। তাই মানুষের পরিশ্রম অনেকটা কমিয়ে গিয়েছে। যা পরিশ্রম করে শুধু গ্রাম অঞ্চলের মানুষরাই একমাত্র নিজের ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করেন। তবে আর বেশি দিন নয় খুব শীঘ্রই গ্রামের মাঝেও আধুনিকতার প্রযুক্তি চলে আসবে। প্রিয় বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করলাম।
পোস্টের বিষয় | চাল গুঁড়ো করা মেশিন |
ক্যামেরা মডেল | realme 9i |
ফটোগ্রাফার | @rubayat02 |
লোকেশন | রংপুর বাংলাদেশ |
এই ছিলো আমার আজকের আধুনিকতার প্রযুক্তি চাল গুঁড়ো করার মেশিন নিয়ে আলোচনা, আবারও সবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিলাম, দেখা হবে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
💞-খোদা হাফেজ-💞
আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।
you can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে এসব মেশিন আমাদের কাছে এসেছে।আগে চালগুড়ো করা হতো ঢেকি দিয়ে তবে কয়েক দশক থেকে চাল গুড়ো করার মেশিন দিয়ে চাল গুঁড়ো করা হয়। ভবিষ্যতে হয়তো আরো নতুন প্রযুক্তি আসবে। দারুন লিখেছেন আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
My Twitter link:-
https://twitter.com/Rubaiyathasan02/status/1690946163116216320?t=bgV_szuxrkVEQ5sRYEME-g&s=19
আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা ধীরে ধীরে আমাদের ঐতিহ্যকে ভুলে যাচ্ছি। এখন ঢেঁকি এর ব্যবহার একদম নেই বললেই চলে। সবাই এখন এই মেশিনের সাহায্যেই চাল গম ভুট্টা গুঁড়া করে। তবে এই মেশিনটি অনেক তাড়াতাড়ি যে কোন শস্য দানা গুঁড়া করতে সক্ষম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু মনি
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মেশিন বের হয়েছে। আগের যুগে সব মানুষ অনেক পরিশ্রম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।বর্তমানের মানুষ অনেক সুখে শান্তিতে রয়েছে।আধুনিক প্রযুক্তি দিন দিন বৃদ্ধি হওয়াতে ঐতিহ্য গুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এখন সব জায়গায় এইরকম গম,ভুট্টা গুঁড়ো করার মেশিন বের হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
এখন আধুনিক যুগ, এই যুগে মানুষ আর কষ্ট করতে চায় না। আগের দিনে, চালের গুঁড়া, গমের ছাতু, করার জন্য ঢেঁকি ব্যবহার করতো। এখন আর ঢেঁকি দেখা যায় না। ঢেঁকি গ্রাম অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন মানুষ চালের গুঁড়া করার জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করে। আধুনিক মেশিনে চালের গুড়া গমের আটা করতে খরচ কম হওয়ার জন্য, মানুষ এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সুন্দর লিখছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আগেরকার দিনে চাল,গম,ভুট্টা ইত্যাদি গুড়ো করা হতো ঢেঁকিতে।এতে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় হতো।কিন্তু এই কাজটিতে অনেক সহজ করে দিয়েছে এই মেশিনটি।এই মেশিনগুলো বিদ্যুৎ চালিত।এই মেশিনের সাহায্য খুব অল্প সময়েই চাল,ভুট্টা গুড়ো করা হয়। আমাদের এলাকায় এইরকম কয়েকটি মেশিন রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আমরা এখন আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যগুলো ধীরে ধীরে ভুলে যেতে চলেছি। এবং যতই দিন যাচ্ছে মানুষ প্রযুক্তির ওপর ঝুঁকে পড়তেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আপনি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে ভাই। ঈদের আগে চাল ভাঙতে অনেক বেশি সময় গেলে যেতো। মায়েদের অনেক বেশি কষ্ট হতো। কিন্তু এখন তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। ২ মিনিটেই চাল ভাঙতে পারে। তবে আমার মতে কিছু পরিমান হলেও ঢেঁকিতে চাল ভাঙা উচিত এতে করে একটি ঐতিহ্য টিকে থাকবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন ঢেঁকি একবারেই বিলুপ্ত। যেটি ছিল আমাদের প্রাচীনকালের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চাল গুঁড়ো করা প্রযুক্তি আসার কারণে এখন কোথাও ঢেঁকি দেখা যায় না। আপনি এই চাল গুড়া করা মেশিন সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। এছাড়াও আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার। শুভকামনা রইল আপনার জন্য