আসসালামু আলাইকুম
২৩ই- শ্রাবণ -১৪৩০ বঙ্গাব্দ
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি, আজ আমি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে আলোচনা করবো, চলুন শুরু করা যাক।
হেল্লো কাছের মানুষ জন, আমার ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে আলোচিত পোস্টে আপনাকে স্বাগতম, হামানদিস্তা আমাদের প্রাচীন যুগের একটি ঐতিহ্য, এটিকে কোথাও কোথাও হামু বলা হয় তবে বেশিরভাগ জায়গায় এটাকে হারমান বলে থাকে, হামানদিস্তা চেনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের সবাই এখন পর্যন্ত হামানদিস্তা ব্যবহার করে থাকেন, আমি যে হামানদিস্তার ফটোগ্রাফি গুলো ব্যবহার করেছি এটি অনেক পুরানো একটি, আমি ছোট থেকেই এই হামানদিস্তাটি আমাদের বাড়িতে ব্যবহার করা দেখে আসতেছি, অনেক মজবুত একটি হামানদিস্তা।
| |
এটি অনেক পুরনো একটি কাঠের তৈরি হামানদিস্তা, ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারতেছে হামানদিস্তাটির অংশ অনেকটা ক্ষয় হয়ে গেছে, ক্ষয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এটা অনেক বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে, হামানদিস্তা মূলত তিন প্রকার হয়ে থাকে, যেমন ধরেন কাট দিয়ে হামানদিস্তা তৈরি করা হয় আবার কাঁসা দিয়ে হামানদিস্তা তৈরি করা হয় এবং লোহা দিয়ে হামানদিস্তা তৈরি করা হয়, সব থেকে লোহার তৈরি হামানদিস্তা মানুষ বেশি ব্যবহার করে থাকেন, আমাদেরও একটি লোহা তৈরি হামনদিস্তা আছে, তবে আমি আপনাদের সাথে আমাদের প্রাচীনকালের হামানদিস্তাটি শেয়ার করলাম।
হামানদিস্তা দিয়ে আমরা মূলত ময় মসলা গুঁড়ো করে থাকি, গ্রাম অঞ্চল মানুষদের একমাত্র মসলাগুলো করার অস্ত্র হলো হামানদিস্তা, এছাড়াও আগের জামানার মুরুব্বিরা কাঁসা এবং লোহার তৈরি হামানদিস্তা দিয়ে পান সুপারি একত্র করে পিষে খেতেন, আমার নিজের দাদা-দাদী নানা-নানীরা এরকম হামান হামানদিস্তায় পান সুপারি পিষে খেতেন, তখন তো আমি ছোট ছিলাম মাঝে মাঝে আমিও তাদের পান সুপারি খেতাম, হামানদিস্তায় পিষে রাখা পান সুপারি খেতে সত্যি অনেক মজা লাগতো, তবে এখন আর কোথাও এমন দেখা যায় না, সেই সোনালী দিনগুলো আজ খুবই মিস করি।
এখন অবশ্য শহর অঞ্চলে হামানদিস্তার ব্যবহার কমে গেছে, এখন মসলা গুঁড়ো করার জন্য অনেক প্রযুক্তি রয়েছে, তাই দিন দিন হামানদিস্তার ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে, কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এখনো ডিজিটাল প্রযুক্তি না আসার কারণে সবাই হামানদিস্তা ব্যবহার করেন, তবে আর কয়েক বছর গেলে হামানদিস্তা বিলুপ্তি হয়ে যাবে, শহর অঞ্চলে এখন তো বেশি হামানদিস্তা দেখাই যায় না, হামানদিস্তার ব্যবহার শুধু গ্রাম অঞ্চলেই বেশি দেখা যায়, আমি চাই আমাদের জীবনটা যেন এরকম প্রাচীন ঐতিহ্য জিনিসপত্র দিয়েই কেটে যায়, আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করলাম।
পোস্টের বিষয় | ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা |
ক্যামেরা মডেল | realme 9i |
ফটোগ্রাফার | @rubayat02 |
লোকেশন | রংপুর বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে আলোচনা, সবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিলাম, দেখা হবে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
💞-খোদা হাফেজ-💞
আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।
you can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
কাঁঠের তৈরি এত পুরনো হামানদিস্তা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। হামানদিস্তা আমাদের অনেক কাজে লাগে। মশলা গুঁড়া করার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনি অনেক পুরনো একটি হামানদিস্তা নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সেটা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি। কাঁঠের তৈরি এত পুরনো একটি হামানদিস্তা আমাদের ঐতিহ্যের সাক্ষী। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
My Twitter link:-
https://twitter.com/Rubaiyathasan02/status/1688843893973057536?t=N5rGSgLW2Z1anVsl_9loSQ&s=19
হামানদিস্তা হলো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। হামানদিস্তা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে রান্না তৈরির উপকরণ গুলো সহজেই মিহি করা হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া
হামানদিস্তাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা অনেক বছরের পুরনো।এমন পুরনো হামানদিস্তা বর্তমানে খুবই কম দেখা যায়। আর এটার ডিজাইনটাও ইউনিক। গ্রামবাংলায় প্রাচীনকাল থেকেই হামানদিস্তায় মসলা গুঁড়ো করা হয়। তাছাড়া কবিরাজি চিকিৎসায়ও হামানদিস্তা ব্যবহার করা হয়। বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। হামান দিস্তাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক পুরাতন এবং কাঠের তৈরি। এগুলোর ব্যবহার এখন অনেক কমে গিয়েছে।আমাদের বাসায় দুটো হামান দিস্তা রয়েছে। তবে সেগুলো লোহার তৈরি। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া
হামানদিস্তা অনেক প্রাচীন একটি ঐতিহ্য। কোনো বিয়ে বাড়িতে বা বড় কোনো অনুষ্ঠানে এই হামানদিস্তা ব্যবহার করে মসলা বাটা হয়। আগেকার দিনের হামানদিস্তা আমাদের বাড়িতে একটি আছে আমার দাদি পান সুপারি পিসে খায়। এখন কাঠের বানানো হামানদিস্তা গুলো দেখতে সুন্দর হলেও টিকে থাকে না তেমন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
কাঠের তৈরি এমন হামানদিস্তা খুবই কম দেখা যায়। কেননা এই হামানদিস্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মসলা ভাঙ্গানো হয়। আর যুগ যুগ ধরে এই হামানদিস্তার ব্যবহার হয়ে আসছে। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কাঠের তৈরি হামানদিস্তা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম দেখা হল। হামানদিস্তা অনেক পুরনো একটি পদ্ধতি মসলা গুঁড়ো করার। কাঠের তৈরি হামানদিস্তা আপনি অনেক সুন্দর একটি আলোচনা করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু মনি
আপনার হামান দিস্তার ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি অনেক পুরনো।আমাদের বাসায় একটি হামার দিস্তা রয়েছে।তবে সেটা আপনার আমার দিস্তাটির থেকে আলাদা।আমার দিস্তা দিয়ে সাধারণত মসলা গুড়ো করা হয়। তবে প্রাচানকালে এই হামানদিস্তায় চালও গুড়ো করা হতো।আপনার পোস্টর মাধ্যমে আমি ভিন্ন ডিজাইনের একটি হামানদিস্তা দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মনি