প্রতিযোগিতার ১৩তম সপ্তাহ - পুরাতন মসজিদ।
বৃহস্পতিবার,
তারিখঃ ২৭ শে এপ্রিল ২০২৩ ইং
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেমন আছেন? পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন আজ আমি সবার মাঝে পূরাতন মসজিদ নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
এই পূরাতন মসজিদটি অনেক বছর আগের একটি মসজিদ। এই মসজিদ টি পাকিস্তান আমলের। পার্বতীপুর উপজেলার দক্ষিণ পাড়ায় এই জামে মসজিদটি নির্মাণ করেন মরহুম আলহাজ্ব মনির উদ্দিন প্রামানিক। তিনি ১৯৩৪ সালে এই মসজিদটি নিজ অর্থায়নে এলাকার মুসলিম ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি করেন। এই মসজিদের পাশেই তিনি শায়িত আছেন।
- প্রধান গেটঃ
এটি হলো মসজিদে প্রবেশ করার প্রধান গেট বা দরজা। মসজিদের ভিতরে অংশে বড় একটি জায়গা রয়েছে। তাছাড়া মসজিদের ভিতর ও বাহির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। মসজিদের বারান্দার সাথে ২ টি নারিকেল রয়েছে। তাছাড়া এখানে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বড় একটি মাঠের মতো জায়গা পড়ে আছে। যে কেউ গেলে এই মসজিদের পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়াও মসজিদের প্রধান গেটে সাইনবোর্ডে করে বড় অক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে। মসজিদটি কোন গ্রাম,কে নির্মাণ করেছে ও কত সালে তা নির্মাণ করা হয়েছে।
আমি এর আগেও অনেকবার এই মসজিদটি দেখেছি। কিন্তু কখনো ভিতরে প্রবেশ করে দেখা সম্ভব হয়নি। কয়েকদিন আগে আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধুর মিলে এই মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করি। মসজিদটি বাহিরে থেকে দেখতে যতটা সুন্দর তার থেকেও ভিতরের দিক টা আরো অনেক বেশি সুন্দর ও চমৎকার। এই মসজিদটি অনেক আগে তৈরি করা হলে ও এখনো নতুনের মতো আছে। মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে মুলত ছোট ছোট পাথর দিয়ে খোদাই করা। এছাড়াও মসজিদের ভিতরে নিখুঁত ভাবে কারুকাজ করে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। এই মসজিদের সাথেই মরহুম আলহাজ্ব মনির উদ্দিনের কবর।
মসজিদের ছাদে প্রবেশ করার জন্য ও কারেন্ট না থাকলে মুখ দিয়ে আযান দেওয়ার জন্য আলাদা করে একটি সুন্দর স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মসজিদটি অনেক আগের হলেও আমার কাছে সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক ভালো লেগেছে।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার পোস্ট দেখার জন্য ও পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি ২ জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিঃ
@shourovsarker
@smsaifullah
ক্যামেরা | Oneplus |
---|---|
ধরণ | পূরাতন মসজিদ |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @riyan1020 |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@riyan1020.
ঐতিহ্যবাহী পার্বতীপুরের দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ নিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। মসজিদ মুসলমানদের জন্য প্রধান ইবাদত খানা। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। পাকিস্তান আমলের এই মসজিদটি এখনো গর্বের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। মসজিদটি পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হলে এটি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ। মসজিদটির ফটোগ্রাফি যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি সুন্দর ভাবে আপনি বর্ণনাও করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
পার্বতীপুরের এই মসজিদটি বেশ পুরনো একটি মসজিদ।এই মসজিদটি পার্বতীপুরের ঐতিহ্যকে বহন করে। মসজিদটি সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি।ভাই ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ।
পার্বতীপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদ। ১৯৩৪ সালে এই মসজিদ স্থাপিত হয়।মার্বেল চিনা পাথর দিয়েই মসজিদ তৈরি করা হয়। মসজিদ তৈরি করেন মুনীর চৌধুরী। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন এবং ছবিগুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ঐতিহ্য বাহী মসজিদটি সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। মসজিদটি দেখতে বেশ নান্দনিক। এই মসজিদটি আমি হলদিবাড়ি যাওয়ার পথে দেখেছি। দেখে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদটি অবস্থিত পার্বতীপুর দক্ষিণ পাড়ায়।এই মসজিদটি অনেক পুরনো দেখতে বেশ সুন্দর। এই মসজিদটি চিনামাটির তৈরি। মসজিদটির পাশেই করব রয়েছে।আমি এই মসজিদে অনেক বার গেছিলাম।
ধন্যবাদ।
পার্বতীপুরে দক্ষিণপাড়ার এই মসজিদ টি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ। আর এই মসজিদ টি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি ভাই। ❤️❤️❤️
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ। এর কারুকার্য গুলো সত্যি দেখার মতন। অনেক সময় কাটিয়েছি এখানে। এখনো সেই আগের মত সৌন্দর্য নিয়েই টিকে রয়েছে। এরকম পুরাতন স্থাপনা গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ।