"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ।
তো বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক.... |
প্রথমে আমরা এখানে পরিমাণ মতো মরিচ, পিয়াজ, রসুন, আদা, তেল এবং বিরিয়ানি তৈরি করতে যেসব মসলা লাগে তা সবগুলোই আমরা আমাদের এলাকার মাঝে যে টং রয়েছে ঐ টংয়ে সবকিছু নিয়ে আসলাম। তারপর এগুলো রান্নার জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি করলাম। এবং তারপর রান্নার মূল কাজে করার জন্য আমাদের এক পরিচিত চাচার বাড়িতে চলে আসলাম বিরিয়ানি তৈরি করার জন্য। কারণটা হলো টং এর আশে-পাশে তেমনটা ভালো জায়গা ছিল না রান্না করার জন্য তাই আমরা রান্না সম্পূর্ণ করার জন্য এক চাচার বাড়িতে আসলাম।
আপনারা দৃশ্যে দেখতে পারতেছেন এখানে কিছু মাংস দেখা যাচ্ছে। এই মাংসগুলো আমাদের বিরিয়ানিতে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এবং এখানে প্রায় বারো কেজি মাংস রয়েছে। এবং এগুলো হলো ব্রয়লার মুরগীর মাংস প্রথমে আমরা ব্রয়লার মুরগী নিয়ে এসেছি এবং তারপর এগুলো এনে জবাই করে পিস পিস করে কেটে ছোট করে নিয়েছি রান্নার জন্য একেবারে পরিপূর্ণ ভাবে। এবং পিস পিস করে কাটার পর এগুলো পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
তারপর এবার আমরা রান্না তৈরি করার জন্য মাটি খুঁড়ে একটি চুলা বানিয়েছি এবং চুলার উপর হান্ডি দিয়েছি আমাদের এলাকায় এগুলোকে হান্ডি বলা হয়ে থাকে। এবং বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানের বাড়িতে এগুলোতে করেই রান্না করা হয়ে থাকে। আর আমরা যদি কখনো পিকনিক খেয়ে থাকি তাহলে এগুলোতে করেই রান্না করে থাকি। আমরা এগুলো দোকান থেকে একবার নিয়ে এসেছি আর দেইনি কারণ আমরা মাঝে মাঝেই পিকনিক খেয়ে থাকি তাই এগুলো দেওয়া আর হয় নি।
আমাদের এখানে বিরিয়ানি তৈরি করার জন্য প্রথমে মাংসগুলো সুন্দর করে রান্না করে নিয়েছে। আমি বলেছিলাম যে ভাই প্রথমে কি মাংস রান্না করতে হবে উত্তরে বড় ভাই বলেছিল যে হ্যাঁ প্রথমে মাংস রান্না করে নিলে অনেক সুস্বাদু হবে এবং খেতে অনেক মজার হবে। তাই সে প্রথমে মাংসগুলো অনেক সুন্দর করে রান্না করে নিয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে মাংসগুলো অনেক সুস্বাদু লাগতেছে আসলেই কিন্তু খেতে অনেক মজা হয়েছিল। প্রথমবার আমি এরকম ভাবে বিরিয়ানি তৈরি করা দেখলাম আজকে। প্রথমে দেখি তো তেমনটা মনে হয়েছিল খেতে তেমনটা মজা হবে না। কিন্তু যখন রান্নাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল তখন খেতে অনেক সুস্বাদু লেগেছে।
| |
এবং তারপর সবশেষে বিরিয়ানির চাল গুলো গরম পানি করে একটু হালকা করে সিদ্ধ করে নিয়েছে। তারপর চাল একটু সিদ্ধ হওয়ার পর তার উপর মাংস দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করার পর সুন্দর একটি বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। এবং বিরিয়ানি উপর থেকে দেখতে যতটা সুন্দর ছিল খেতেও তার চেয়ে দ্বিগুণ সুস্বাদু হয়েছিল। একান্ত আমার কাছে এই বিরিয়ানি খেতে অনেক সুস্বাদু লেগেছে। আসলে এই বিরিয়ানি তৈরি করার মূল কারণ ছিল পিকনিক খাওয়া। এবং এই পিকনিক হওয়ার উদ্দেশ্য আবার আরও একটি কারণে ছিল। সেটি হলো আমাদের এলাকায় আমরা সিনিয়র জুনিয়র একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিলাম এবং আগেই বলা হয়েছিল কোন দল জিতবে কোন দল হারবে সেটা কোন বিষয় নয়। আমরা সবাই মিলে বড় পরিসরে পিকনিক খাওয়ার একটি আয়োজন করব এটাই কথা ছিল এবং আমরা সেটি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। আসলে এলাকার সবাই মিলে একসঙ্গে পিকনিক খাওয়ার মজাটাই অন্য রকম লাগে। তো বন্ধুরা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দেখা হবে আবার কোন এক গল্পে।
ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
🧡🧡🧡
আমার সম্পর্কে কিছু কথা:
আমি মো: খায়রুল ইসলাম। আর আমার ডাক নাম রিমন। আমি একজন ছাত্র। আমি লিখতে, পড়তে, খেলতে, ফটোগ্রাফি এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে শিখতে অনেক ভালোবাসি।..❤️..
can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
মাঝে মধ্যে পিকনিক খাওয়া সকলেরই উচিত।এতে করে মন থেকে আনন্দ অনুভব হয়।আমাদেরও মাঝে মধ্যে পিকনিক করা হয়।আপনাকে ধন্যবাদ আপনার আনন্দের মুহুর্ত এতো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
My Twitter link...
https://twitter.com/Rimonkhan03/status/1691693597534617707?t=Cx24zg4uCnyeFnr_nT1VCQ&s=19
গ্রামের সবাই মিলে মাঝে মাঝে এরকম পিকনিক করা হয়। রাতের বেলা সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন,ফটোগ্রাফি গুলোও খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। আগে আমরা স্কুল কলেজে পিকনিক খাইতাম। বর্তমানে আমার বন্ধুরা বাহিরে থাকার কারনে আর খাওয়া হয় না। তবে আপনারা তো অনেক জন মিলে খেয়েছেন পিকনিক। ১২ কেজি মাংস দিয়ে ৪০-৫০ জন খেতে পারবে। খেলা নিয়ে পিকনিক করলে তা অনেক মজার হয়। কালার দেখে মনে হচ্ছে রান্না অনেক মজার হবে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আসলেই গ্রামের সবাই মিলে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। এতে সবার সাথে একটি ভালো সময় কাটানো যায়। আমাদের গ্রামেও প্রতিবছর প্রায় সবাই মিলে পিকনিকের একটি বড় আয়োজন করা হয়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। কিন্তু এটা তো কোন কনটেস্টের বিষয় ছিল না ভাই। সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের সবাই মিলে পিকনিক খাওয়া হল গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য ।বিশেষ করে বছরের শেষের দিকে যখন সবাই বাড়িতে আসে তখন মাঝে মাঝে গ্রামের সবাই এক সঙ্গে মিলে পিকনিক খাওয়া হয়।বিশেষ করে রাতের বেলায় এই আয়োজন সবথেকে বেশি করা হয়। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। আমরা আমাদের গ্রামের বন্ধুরা মিলে মাঝে মাঝে পিকনিক খেতাম। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। মিলেমিশে থাকলে জীবন সব সময় সুন্দর হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। মনে হচ্ছে আপনার বিরিয়ানি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ফুটবল খেলে জিতার টাকা দিয়ে তোরা পিকনিক খাইছেন তাই না। প্রথমে শুনছো হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক খাইবেন তারপরের জন্য বয়লার তাই আর যাও নাই। সেই খাওয়া দাওয়া হয়েছে তাই না দেখে মনে হচ্ছে ভালোই খাইছেন।
এলাকার সবাই মিলে পিকনিক খাওয়ার মজায় আলাদা। আমরাও মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে পিকনিক খাই।আপনি সুন্দর ভাবে বিরিয়ানি তৈরি করার বিস্তারিত আলোচনা করছেন।বিরিয়ানির কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।