|| কনটেস্ট:- শুটকি মাছের রেসিপি || by @rimon03 ||
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার পোস্ট সকলের অনেক ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ। |
---|
নাম | উপকরণ |
---|---|
তেল | পরিমাণ মতো |
আদা | দুই পিস |
পিঁয়াজ | চার পিস |
রসুন | দুই পিস |
মসলা | পরিমাণ মতো |
শুটকি মাছ | পাঁচ পিস |
প্রথমে আমি গরম মসলা একটা বার্টিতে নিয়ে নিলাম। এবং তারপর বাটনাতে সুন্দর করে পিষে নিলাম। প্রথমে আমি গরম মসলা যেভাবে থাকে ওভাবেই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার আম্মু বলল এগুলো পিষে দিলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। তাই আমি এগুলো বাটনাতে করে পিষে দিলাম....
এবার আমি রসুন সুন্দর করে পরিষ্কার করে নেই। এবং পরিষ্কার করার পর একটা একটা করে খুলে নিয়ে পানিতে ধোয়ার পর এগুলো ও বাটনাতে সুন্দর করে পিষে নিলাম, রান্নায় দেওয়ার জন্য.....
তারপর এবার আমি ফ্রিজ থেকে আদা বের করে নিয়ে এসে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেই। এবং তারপর একটু কেটে এগুলোও বাটলাতে সুন্দর করে পিষে নেই রান্নাতে দেওয়ার জন্য।
এবার আমি কাঁচা মরিচ গুলো পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পর পিস পিস করে একটু কেটে নেই। এবং তারপর বাটনাতে সুন্দর করে পিষে নেই রান্নাতে দেওয়ার জন্য।
এবার আমি গরম মসলা, ফ্রিজ থেকে নিয়ে আসা আদা, কাঁচা মরিচ, রসুন যেভাবে রান্নার জন্য পরিপাটি করে নিয়েছে ঠিক সে রকম ভাবে পিঁয়াজ পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পর এগুলো পিস পিস করে কেটে নেই রান্নাতে দেওয়ার জন্য।
সবশেষে আমি পদ্মা মাছের শুটকি গুলো আগে একটি বাটিতে করে আঁশ গুলো উঠিয়ে নেই এবং তারপর গরম পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে নেই রান্নায় দেওয়ার জন্য।
তারপরে এবার আমি রান্না তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নেই সর্বপ্রথম আমি এখানে তেল গরম করে নেই এবং তেলের মধ্যে আমি পিঁয়াজ দিয়ে দেই। কারণটা হলো রান্নার জন্য আগে তেল গরম করে নিতে লাগে এবং তারপর এই গরম তেলে পেঁয়াজ ভাজিয়ে নিতে হয় রান্নার জন্য। আমিও ঠিক সেটাই করে নিলাম।
তারপরে এই গরম তেলে আমি পিঁয়াজ গুলো একটু নাড়াচাড়া করে সুন্দর করে রান্নার জন্য পরিপাটি করে নেই এবং তারপর আমি আগে যে কাঁচা-মরিচ গুলো বাটনায় সুন্দর করে পিষে নিয়েছিলাম সেগুলো এখানে দিয়ে দেই, রান্না সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য।
তেলের মধ্যে পিঁয়াজ এবং কাঁচা-মরিচ গুলো দেওয়ার পর এগুলো একটু ভেজে নেওয়া হয়েছে। তারপর এখানে রান্না সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য আগে পিষে রাখা আদা, রসুন এবং গরম মসলার গুড়াগুলো এখানে দিয়ে দেওয়া হয়। একে বারে সবকিছু যা যা রান্নার জন্য আগে তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল তাই তাই।
এবং সবশেষে আমি এখানে হলুদ এবং লবণ দিয়ে দেই তারপর সম্পূর্ণ রান্নাটি তৈরি করার জন্য এগুলোর একটু সুন্দর ভাবে রান্না করে নেই। কারণ রান্নার মূল বিষয় হলো ময়-মসলা এবং বাকি যা যা আছে সেগুলো সুন্দর করে আগে রান্না করে নেওয়া হয়। এবং এরপর আসল বিষয়টি এখানে যুক্ত করে সম্পন্ন রান্না তৈরি করা। কারণটা হলো রান্না কে সবচেয়ে লোভনীয় করে তোলে মসলা এবং তেল। যা রান্নার কালার এনে দেয় এবং রান্নাটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগে।
তারপর এবার আমি মসলা, রসুন, পিঁয়াজ, আদা এবং কাঁচা মরিচ এগুলো সুন্দর করে তেলে ভাঁজার পর এখানে আমি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া শুটকি মাছগুলো এই তেলের মধ্যে দিয়ে দেই। তবে এখানে মজার বিষয় হলো আমি আগে আম্মুর হাতে রান্না খেয়েছিলাম শুটকি মাছের ভুনার। কিন্তু আজকে আমি একটু নিজেই রান্না করলাম কারণ আমি মাঝে মাঝেই রান্না করতে অনেক ভালোবাসি কারণ রান্না করা অনেক ভালো। যদি বাসায় কেউ না থাকে তাহলে নিজে রান্না করে খাওয়া যাবে। এবং নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ার মজায় অন্যরকম পাওয়া যায়।
তারপর সবশেষে আমি রান্নায় সবকিছু দেওয়ার পর একটু ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রেখে দেই রান্নাটি যেন সম্পূর্ণ হয়ে যায় এর জন্য। এবং এই রান্নাটি আমি তৈরি করি গ্যাসের চুলাতে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা এখন আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল এবং আধুনিক সবকিছুই ব্যবহার করতেছি। রান্নার জন্য এখন আমাদের আর আগুনের তাপে যেতে হয় না ঘরের ভিতরে বসেই রান্না করা সম্ভব।
অবশেষে আমি আমার রান্নাটি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ। এবং এই রান্নাটি তৈরি করতে আমার প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লেগেছে। এরকম রান্না আগে আমি কখনো করিনি শুধু আমি আগে লুডুস রান্না করতে পারতাম আর ডিম ভাজা ছাড়া কোন কিছুই রান্না করতে পারতাম না। আজকে প্রথম এরকম সুন্দর একটি রেসিপি রান্না করলাম। এবং যা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরেছি।
আমাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,
ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
বিষয় | শুটকি মাছের রেসিপি |
লোকেশন | পার্বতীপুর, বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
...
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Thank you vaiya
My Twitter link...
https://twitter.com/Rimonkhan03/status/1701844388048142512?t=cJ9947mWPsquTmMYXoZgLA&s=19
প্রথমত আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।শুটকি মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। শুটকি মাছের এমন রেসিপি দেখা যায় না।আপনার রেসিপিতে আপনি মনে হয় বেশ ভালই মসলা দিয়েছেন খেতে অনেক সুস্বাদু হবে অনেক।সত্যি ভাই আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
শুটকি সবার পছন্দের একটি খাবার। শুটকি খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শুটকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। শুটকি আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে বেশ পরিমাণে পাওয়া যায়। সেখানে শুঁটকি মাছের দাম অনেক কম হয়ে থাকে। সেই শুটকিগুলো আমাদের এদিকে যখন নিয়ে আসা হয় সেগুলোর দাম অনেক বেড়ে যায়। অথচ দক্ষিণ অঞ্চলে এই শুটকিগুলোর দাম অনেক কম এবং সেখানে ভালো মানুষ শুটকি পাওয়া যায়। আমাদের উত্তর অঞ্চলে তেমন ভালো শুটকি পাওয়া যায় না। এখানে ভালো শুটকি নিতে হলে সৈয়দতপুর শহরে গিয়ে সেখানে আরৎ রয়েছে সেই আরৎ এ অনেক ভালো মানের শুটকি পাওয়া যায় এবং দাম একটু কম পাওয়া যায়। আমি মাঝে মাঝে সেখান থেকে শুটকি কিনে নিয়ে আসি। বাড়িতে আমরা বিভিন্ন তরকারি শুটকি দিয়ে খেতে পছন্দ করি। আমার সব থেকে ভালো লাগে শোল মাছের শুটকি। শোল মাছের শুটকি বেশ মজাদার হয়। শোল মাছের শুটকি ভুনা করলে বেশ দারুন লাগে খেতে। তাই আমি শুটকি কিনতে গেলে আগে শোল মাছের শুটকি কিনে নেই। শোল মাছের শুটকি বেশ চমৎকার একটি শুটকি। আপনারা বাজার থেকে এটি কিনে নিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন এর টেস্ট অন্যরকম। আপনি আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কোন জিনিসটি কি পরিমাণে দিতে হবে তা আপনি ধাপে থাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আশা করি আপনার রান্না অনেক চমৎকার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
শুটকি মাছের রেসিপি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুঁটকি মাছের রেসিপি দেখতে অসাধারণ লাগতেছে। তবে আমার কাছে শুঁটকি মাছের তরকারি তেমন একটা ভালো লাগে না। শুঁটকি মাছের ভর্তা খেতে ভীষণ মজা লাজে। ধাপগুলো সাজিয়েছেন সুন্দর করে।
@md-sajalislam.
শুটকি মাছের রেসিপি নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। উত্তরাঞ্চলের মানুষ শুটকি বেশ পছন্দ করে। পদ্মা মাছ আমি কখনোই খাই নি, আর পদ্মা মাছের শুটকি খেয়েছি কি না তাও মনে নেই। খুবই সুন্দরভাবে শুটকি মাছের রেসিপিটি দেখিয়েছেন। কন্টেস্টের জন্য শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ওয়াও চোখ ধাঁধানো একটা রেসিপি দেখলেই যেন খেতে ইচ্ছে করতেছে। আর এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি তুলেছেন যে বলার বাইরে যার কারণে দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগতেছে। হামাক একদিন দাওয়াত দিয়ে খিলান এই রেসিপিটা বাহে! যাইহোক অনেক সুন্দর হয়েছে অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আমাদের সাথে
বাহ চমৎকার রেসিপি, শুটকি মাছ আমার খুবই পছন্দের খাবার। তাই আমি বাসায় মাঝেমধ্যে শুটকি মাছ খেয়ে থাকি। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। পদ্মা মাছের শুটকি কখনো খাওয়া হয়নি, আপনার রেসিপিটা অনেক লোভনীয়। একদিন বাসায় পদ্মা মাছের শুটকি রান্না করার চেষ্টা করবো। আপনার রেসিপি ফলো করে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
শুটকি মাছের আপনি দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। শুটকি মাছ মোটামুটি সবাই পছন্দ করেন। এটি আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মাছের শুটকি পাওয়া যায়। আপনার রান্নার পদ্ধতিটি অনেক সহজ। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে এই রান্নাটি আপনি করেছেন। আপনি চমৎকার ও স্পষ্ট কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনি রান্নার পদ্ধতিটি ধাপে ধাপে সুন্দর ও সাবলীলভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। এজন্য আমাদের বুঝতেও কোন অসুবিধা হচ্ছে না। রান্নাটি দেখেই মনে হচ্ছে যে অনেক মজাদার হয়েছে। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই। শুঁটকি মাছের যেকোনো রেসিপি আমরা অনেকেই খুব পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে আপনার শুঁটকি মাছের রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটি অনেক মজাদার হয়েছিল।এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই রেসিপি পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ