"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ।
তো বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক.... |
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলো এই সুপারি বাটা সস্তা। এবং গ্রামে এটি এতটাই প্রচলিত যে কি বলবো এমন কোন বাড়ি নেই যে এখন সেই বাড়িতে পান খায় না কারণ সবাই এখন পান খাওয়ার মতই একটি নেশাকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়ায়। এবং আগের মানুষটা এই সস্তা বেশি ব্যবহার করত কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এগুলো ধীরে ধীরে আমাদের এই সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এবং দৃশ্যে আপনারা যে সস্তাটি দেখতে পারতেছে এটি এতোই পুরনো যে আমার বয়সের থেকে এর বয়স অনেক বেশি হবে। এবং এই সস্তা গুলো দিয়ে সুপারি ফাঁকতে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং অতি দ্রুত সুপারি ফাঁকা যায়।
| |
কারণ এটি হলো আমার দাদীর সেই ছোট্টবেলার সস্তা এখনো রয়েছে। থাকার কারণও রয়েছে, আমার দাদী এতটাই পান খায় যে কি বলব। তাই তার পানের যত জিনিসপত্র আছে সব অনেক যত্ন সহকারে রেখে দেয় এবং রাখার জন্য একটি বাক্স রয়েছে। ওই বাক্সের মধ্যে পান, সুপারি, জর্দা ও চুন এমনকি যা কিছু প্রয়োজন সব ওখানে রেখে দেয়। আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসতেছি আমার দাদী এটি অনেক যত্ন সহকারে তার কাছে রেখে দেয়। এবং এই সস্তা গুলো অনেক পুরনো ঐতিহ্য। আমার মনে হয় এগুলো প্রায় নব্বই দশকের আগে তৈরি করা হয়েছে। কারণ আমি এই সস্তা গুলো ছোট থেকেই দেখে আসতেছি কিন্তু এখন আর বেশিটা দেখা যায় না এগুলো কারণ এখন মানুষ দিন দিন আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি করতেছে এবং এগুলোর ব্যবহার অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।
| |
তবে এই সস্তা গুলো আমরা এখনো কিছু কিছু দোকানে দেখতে পায়ে থাকি। এবং তারা তাদের কাজে লাগিয়ে এগুলোর মাধ্যমে সুপারি কেটে তা বাজারে বিক্রি করতেছে। এবং আমাদের বাজারে এক দোকানে এখনো তিন টাকা পান বিক্রি করে এক লোক এবং আমি যে দৃশ্যটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এর চেয়েও পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী সস্তা রয়েছে তার দোকানে। এবং সস্তাটি দেখতে এতটাই সুন্দর যে কি বলবো কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করার পরও ঐ সুন্দর সস্তাটির ফটো তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে কোন একদিন শেয়ার করার চেষ্টা করব। তাই আমি আমার দাদীর অনেক পুরনো সস্তাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন দেখা হবে পরবর্তী কোনো এক পোস্টে।
ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
🧡🧡🧡
আমার সম্পর্কে কিছু কথা:
আমি মো: খায়রুল ইসলাম। আর আমার ডাক নাম রিমন। আমি একজন ছাত্র। আমি লিখতে, পড়তে, খেলতে, ফটোগ্রাফি এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে শিখতে অনেক ভালোবাসি।..❤️..
can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
সুপারি কাটা যাঁতি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।আপনার দাদীর মত আমার দাদি ও প্রচুর পান খায়।আমাদের বাসায় ও এইরকম একটি সুপারি কাটার যাঁতি রয়েছে।যেটা দিয়ে দাদি সুপারি কাটে।গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এইরকম সুপারি কাটার যাতিঁ দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুপারি কাটার যাঁতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Twitter link..
https://twitter.com/Rimonkhan03/status/1689551644089085952?t=dbAy8VQHchlUJ3l7_j0EfQ&s=19
পান খেতে হলে সুপারি তো কাটতেই হয়। আর এই সুপারি কাটার জন্য জাতি ব্যবহার করা হয়। আঞ্চলিক ভেদে নাম পরিবর্তন হয়। অনেকে হয়তো সর্তা বলে থাকে। আমি নিজেও সর্তা বলি আমাদের আঞ্চলিক ভাষায়। আমার দাদিরো এরকম সর্তা ছিলো। যেটা এখন আমার বাবা ব্যবহার করে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
সুপারি কাটার যাঁতি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আমি জেনে অবাক হলাম যে এই আপনাদের এলাকায় একে সস্তা বলে।আমাদের গ্রামে আমরা এগুলোকে সত্তা বলি।আপনার পোস্টটি করে জানতে পারলাম যে আপনার দাদি প্রচুর পরিমানে পান খেতেন। আমাদের বাসারও সবাই খুবই পান খায়।এগুলো দিয়ে খুব সহজেই সুপারি কাটা যায়।গ্রামের প্রত্যেক বাসায় সুপারি কাটার যাঁতি রয়েছে। যাঁতির ছবিগুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে ।
ধন্যবাদ
আমার দাদি ছিল তিনিও প্রচুর পরিমানে পান খেতেন।তার পান খাওয়ার জন্য আলাদা করে একটি পান ডালা ছিল। তিনি যখন পান খেতেন তখন এই ডালা বের করে সবাইকে দিতেন।ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
সর্তা আমাদের ঐতিহ্যের একটি ছোঁয়া। অনেক যুগ ধরে সস্তা ব্যবহার রয়েছে। এমন একটি সর্তা আমাদের বাসায়ও রয়েছে। সুপারি কাঁটার জন্য আগেও সর্তা ছিলো এখনো সব জায়গায় সুপারি কাটার জন্য সর্তা ব্যবহার করা হয়। সর্তা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এছাড়াও আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার দাদিরও এইরকম একটি সত্তা রয়েছে।সেটি দিয়ে আমার দাদি সুপারি কেটে খায়।সেই সত্তাটি অনেক বছরের পুরনো। এটি হলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।সত্তা দিয়ে শুধু সুপারি কাটা হয় তা না ছোটবেলায় আমরা এটি দিয়ে আখ কেটে কেটে খেতাম। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের গ্রামের স্থানীয় ভাষায় এই সুপারি কাটার যন্ত্রটিকে ডাকা হয় শর্তা নামে। যদিও এটির বহুল প্রচলিত নামটি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আমার কাছে এটিকে অনেক রিক্সই একটি জিনিস মনে হয় কেননা যারা সুপারি কেটে অভ্যস্ত নয় তারা অনায়াসে সুপারির জায়গায় নিজের আঙ্গুল কেটে বসতে পারেন। যারা পান খায় তাদের কাছে এই যন্ত্রটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনেক সুন্দর একটি বিষয় বস্তু নিয়ে আপনি পোস্টটি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপারি কাটা সত্তা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। একটা সময় গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতেই এই সুপারি কাটা সত্তা পাওয়া যেতো। আমাদের বাড়িতেও ছিলো। আগকার মানুষ পান-সুপারি খুব খেতো। কিন্তু এখনকার জেনারেশনের লোকেরা পান সুপারি কম খায় তাই এই সত্তার ব্যবহারও দিন দিন কমে যাচ্ছে।