ঐতিহ্যবাহী পোস্ট: গ্রাম বাংলার খড়ের পালা।
আসসালামুআলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভাল আছেন। আজকে আমি গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খড়ের পালা সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
আমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। আর গ্রামীণ মানুষের প্রধান পেশা হলো কৃষিকাজ।আমাদের দেশের কৃষকের প্রায় ৯০% মানুষ ধান চাষ করে থাকে। বছরে দুটি মৌসুমে এই ধান চাষ করা হয়। কারন আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। আর এই ভাত আসে ধান গাছ থেকে, ধান বাদে গাছের বাকি অংশটুকু কে বলা হয় খড়।যখন কৃষকেরা ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসে তখন ধান মাড়াই করা হয় এবং খড়গুলোকে আলাদা করা হয়।খড়গুলোকে আলাদা করে সেগুলো দিয়ে খড়ের পালা তৈরি করা হয়। গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য হলো এই খড়ের পালা।
খড়ের পালা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে গ্রামবাংলায়।সাধারণত দুই প্রকার খড়ের পালা দেখা যায়, ধান মাড়াই করার পর খড়গুলোকে ভালো করে সাজিয়ে সেগুলোকে বাঁধা হয়। খড় সংগ্রহ করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় কাড়ি। আবার খড় এমনিতেও সংগ্রহ করা হয় একে সাধারণত খড় বলা চলে। গ্রামবাংলা সাধারণত বাড়ির আঙ্গিনায় বা বাড়ির খোলাতে খড় সংগ্রহ করা করা হয়। প্রথমে খড়গুলোকে সারিবদ্ধ ভাবে মাটির নিচ থেকে নিয়ে আস্তে আস্তে করে উপরে উঠানো হয়। শেষের দিকে ভালো করে ছাউনি দেওয়া হয় খড়ের পালাতে যেন বৃষ্টির পানি ভিতরে না ঢুকতে পারে।
আপনারা যে খড়ের পালা গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হলো আমাদের বাড়ির পাশেই খড়ের পালা।বেশ কয়েকদিন আগে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম তখন আমি সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করি। সেখানে পাশে দেখতে পেয়েছিলাম যে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলা করতেছে।খড়ের পালার চারিদিকে বাঁশের তৈরি বেড়া দেওয়া হয়েছে। যেন ছাগল হাঁস মুরগি ঢুকতে না পারে। মাঝে মাঝে এই খড়ের পালা থেকে খড় চুরি হয়ে যায়। বিশেষ করে রাতের বেলা মানুষ এসে চুরি করে নিয়ে যায়। এসব খড়ের পালা গুলো তৈরি করা হয় খড় সংগ্রহ করার জন্য। পরে যাতে গো খাদ্যের জন্য এসব খড় ব্যবহার করতে পারে।
গ্রামবাংলায় গো খাদ্য হিসেবেই এসব খড় ব্যবহার করা হয়। আবার আগুন জ্বালানোর জন্য খড় ব্যবহার করা হয়।রান্না করার জন্য খড় ব্যবহার করা হয়।খড়ের অনেক প্রকার ব্যবহার রয়েছে আমাদের দেশে।যাইহোক খড়ের পালা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://twitter.com/kazirahul25804/status/1688157280016179200?t=yo37rKKyRg5-JknQRkw8Rw&s=19
আপনি দারুণ একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।খড়ের পালা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ধান চাষ করে এবং ধান গুলো মাড়াই করার পর খড় গুলো থেকে যায়।খড়ের পালা গ্রামের এক সৌন্দর্য।আপনি সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খড়ের পালা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এই খড়ের পালা।গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই খড়ের পালা দেখা যায়। ধান মাড়াই করে খড় রোদে শুকিয়ে এগুলো পালা করে রাখা হয়।এবং পরর্বতীতে এগুলো গরুর দানাদার খাদ্য কিংবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া খড়ের পালা নিয়ে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামে যারা কৃষি কাজ করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে প্রায় এরকম একটি খড়ের পালা থাকে। গ্রামের মানুষেরা এসব খড় সংরক্ষণ করে রাখে পরবর্তী সময়ে গুরুকে খাওয়ানোর জন্য অথবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য। খড়ের পালা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার খড়ের পালা গ্রামের ঐতিহ্য, ধান কাটার পর ধান মাড়াই করে রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণের জন্য পালা করে রাখা হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খড়ের পালা গুলো গ্রামের সৌন্দর্য নির্দেশ করে। এটি গ্রামের সৌন্দর্যকে উত্তম রূপে ফুটিয়ে তোলে। খড়ের পালায় খড় সংরক্ষণ করে সারা বছর গরুদের খাওয়ানো হয়। তাছাড়া এই খড়গুলো চুলা জ্বালানোর কাজেও ব্যবহার করা হয়। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই এমন খড়ের পালা রয়েছে। তবে খড় শুকানো অনেক কঠিন একটি কাজ। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এই খড়ের পালা বা গাদাগুলো গ্রামবাংলায় অনেক আগে থেকেই চলে আসছে এবং এখনো প্রতিটি গ্রামে এটি দেখা যায়।মূলত সারা বছর গরুর খাবার সংরক্ষণের জন্য এই গাদা তৈরি করা হয়ে থাকে। এখান থেকে খড় নিয়ে সারা বছর গরুকে খাওয়ানো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামবাংলায় ধান কাটাই মাড়াই করার পরে খড় সংরক্ষণ করার জন্য এমন পালা আকারে রাখা হয়। খড় পালা আকারে রাখার ফলে অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এবং গবাদিপশু ভালোভাবে খেতে পারে। পালা আকারে খড় রাখলে সহজে পানি প্রবেশ করতে পারেনা যার কারনে অনেকদিন ভালো থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।