"STEEM FOR TRADITION"
স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ও আমার সালাম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। তো আজকে আমি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু শীতকাল সম্পর্কে আপনাদের সামনে কিছু ধারণা দেব। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের হল একটি ষড়ঋতুর দেশ। কারণ এদেশে ছয়টি ঋতু রয়েছে।এরমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু হলো শীতকাল।শীতকাল সম্পর্কে বলতে গেলে খুব কমই হবে।কারণ শীত আসে শূন্যতা ও জড়তা নিয়ে।এর মূল কারণ হলো নেই কোন বৃষ্টি,যেখানে ঝিমঝিম করে বৃষ্টি পড়ে বর্ষাকালে। নেই কোন ভেবসা গরম ,যেখানে গ্রীষ্মে খুব গরম পড়ে। শীতকাল মানেই শীতের এক অন্যরকম আমেজ । পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস হলো বাংলাদেশে শীতকাল।এই দুই মাসেই মূলত ত্রিব্য শীত অনুভূত হয় সারা দেশে।
প্রত্যেকটি ঋতুরই কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। শীতের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন,শীতকালে প্রচন্ড রকম ঠান্ডা পড়ে। কাত্তিক মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিক থেকে হিমালয় পর্বত থেকে শীতের সেই প্রচন্ড ঠান্ডা বইতে থাকে এবং তার সঙ্গে প্রচন্ড রকম বাতাস বইতে থাকে উত্তর দিক থেকে।বিশেষ করে সকালবেলা শীতের হিম ঠান্ডা টের পাওয়া যায় সব থেকে বেশি।তখন আকাশ কুয়াশা ভরা থাকে চারিদিকে।যেন মনে হয় মেঘের রাজ্য চারিদিকে যেন নিস্তব্ধ হয়ে থাকে।সবকিছু শুকিয়ে যায় প্রায় ।
এ সময় বলা চলে কৃষকেরা রবিশস্য ফসলের দিকে একটু বেশি মনোযোগী হয়।তারা রবিশস্য হিসেবে ভুট্টা, গম ,আলু ইত্যাদি ফসল ফলান।কারণ এ সময় রোদ তেমন পাওয়া যায় না আকাশে।তাই তারা রবিশস্য গুলোকে ভালোভাবে যত্ন নিয়ে জমিতে আবাদ করেন ।শীতকালীন আরও সবজি রয়েছে যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি। শীতকালে এসব ফসলের চাহিদা সবথেকে বেশি বেড়ে যায়।
শীতকালে মাঠ ,ঘাট, নদী ,নালা প্রায় সবকিছুই শুকিয়ে যায়।কারণ এ সময় জলীয় বাষ্পে খুব কম পরিমাণ পানি থাকে।তাই এসব পানির স্থল থেকে পরিবেশ পানি টেনে নেয় যার ফলে সবকিছু শুকিয়ে মনে হয় কাটা লেগে যায়।শীতকালে সব থেকে বেশি সমস্যার ব্যাপার হলো দারিদ্র মানুষদের জন্য। কারণ তারা শীতকালে তেমন ভালো কাপড় পায় না।যা দিয়ে তারা শীত নিবারণ করতে পারে। অনেকে প্রচন্ড শীতের কারণে বিভিন্ন রকম রোগের শিকার হয়।
শীতকালে বিভিন্ন রকম গ্রামে আচার অনুষ্ঠান করা হয়।এ সময় বিভিন্ন রকম পিঠাপুলি এর আয়োজন করা হয়।গ্রামে গ্রামে তখন ঘুম পড়ে যায় এসব অনুষ্ঠানের।বাড়ি ভর্তি আত্মীয়-স্বজন থাকে প্রায় বাড়িতে এক আলাদা অনুভূতি পাওয়া যায়।তখন ।শীতকাল সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের কারণ হলো উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য।কারণ উত্তরবঙ্গের সরাসরি শীতকাল প্রথম দিকে প্রভাব বিস্তার করে ভালো।
শীতকালে চারদিকে বিভিন্ন রকম ফুল ফোটে।নতুন নতুন দেখতে খুব চমৎকার লাগে সেসব ফুল।যেমন, গোলাপ,জবা,রজনীগন্ধা ইত্যাদি রকমের ফুল ফোটে। এ সময় পরিবেশ যেন এক অন্যরকম আনন্দ ঘন মুহূর্তে থাকে।
শীতকাল বড়লোক মানুষদের জন্য খুব ভালো হলেও তৃণমূলের লোকদের জন্য অনেকটা অস্বস্তির বিষয়।কারণ তাদের পরনের জন্য তেমন কোনো শীতকালীন বস্ত্র থাকে না।যার ফলে তাদের কোন মতে শীতকাল কাটিয়ে দিতে হয় ম।এছাড়াও তীব্র ঠান্ডায় জনজীবন অকেজো হয়ে পড়ে।মাঝে মাঝে শীতকালে রোগ একটু বেশি দেখা যায় সবার মাঝে। জ্বর, সর্দি ,কাশি ইত্যাদি রকম রোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে ছুটে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য |
*ছবিগুলো তোলা
হয়েছে*
Samsung Galaxy M10
আপনি বাংলাদেশের শীতকালের প্রভাব সমুহ নিয়ে সুন্দর ও চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করছেন। প্রতিটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। আর অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য করার জন্য
শীতকালের অন্যতম একটি প্রধান ফুল হচ্ছে গাদা ফুল৷ এই ফুলটির গন্ধ মিষ্টি। আর যখন অনেক ফুল একসাথে ফোটে তখন গাছের পাশে গিয়ে দাঁড়ালে খুব ভালো লাগে। সুন্দর পোস্ট লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য করার জন্য
শীতকালীন প্রভাব নিয়ে আপনি বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই আপনি। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফুল গুলো দেখলে ভালোই লাগে। আপনার উপস্থাপন যথেষ্ট ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে। 💞
ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ বিরল । ছোট বড় সবাই ফুল অনেক পছন্দ করে। আমাদের দেশে শীত কালে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফটে। সুন্দর ফুলের ফোটগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
শীতের রাজা ফুল। শীতের সময় বিভিন্ন রকমের ফুল ফুটে থাকে। সুন্দর হয়েছে
বাহ ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন তো আপনি