গ্রামীণ মেলাতে কাঠের তৈরি নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র।
আসসালামুয়ালিকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করতেছি ভালই আছেন। আজকে আমি গ্রামীণ মেলায় আমার কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো হল কাঠের তৈরি বিভিন্ন রকম ঘরোয়া জিনিস।বিশেষ করে রান্নার কাজে এসব জিনিস ব্যবহার করা হয়।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
বেশ কয়েক মাস আগে শীতের সময় আমাদের এলাকায় একটি গ্রামীণ মেলা বসেছিল যার নাম হলো গোয়ালের মেলা।মেলাটি বেশ বড় সেই মেলাতে বিভিন্ন রকম দোকানপাট আসে।সেই ঐতিহ্যবাহী মেলাতে আমি গিয়েছিলাম দুই থেকে তিনবার। সেখানে গিয়ে আমি বিভিন্ন রকম দোকানপাট দেখতে পাই এর ভেতর অন্যতম হলো ঘরোয়া জিনিসপত্রের দোকান।ঘরোয়া জিনিসপত্রের ভেতর অন্যতম হলো রান্নার কাজে ব্যবহার করা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র। আমি মেলাতে ঢুকে প্রথমে অনেকক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করি ঘোরাঘুরি করার পর মেলার দোকানপাটের মাঝের অংশে যাই। সেখানে আমি বেশ ভালোই দোকানপাট দেখতে পাই কাঠের তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিসের।
সেখানে প্রায় সাত থেকে আটটি দোকান ছিল কাঠের তৈরি জিনিসের। আমি একটি দোকান থেকে ফটোগ্রাফি করি। দোকানে আমি প্রথমে যে জিনিসটি দেখতে পাই তা হল পিঠা বানানোর জন্য পিড়ি। গোল গোল সাদা রুটি বানানোর জন্য এই পিড়িগুলো ব্যবহার করা হয় আমাদের গ্রামীণ সমাজে।এসব পিঠা বানানোর পিড়ির ওপর পিঠার দলা রেখে বেলোন দিয়ে গোল গোল করা হয়।আমরা প্রায় সবাই এটিকে চিনে থাকি। সেখানে সেই সাত থেকে আটটি দোকানের প্রায় সবগুলোতেই পিঠা বানানোর পিড়ি ছিল এবং তার পাশেই আমি বেলোন দেখতে পাই। ছোট-বড় অনেক রকমের বেলোন সেখানে পাওয়া যেত।
এছাড়াও আমি আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করি সেটি হল যে কাঠের তৈরি ঘুটনি। আমরা গ্রামীণ ভাষায় এটিকে ঘুটনি বলে থাকি। বিশেষ করে কলাইয়ের ডাল রান্না করার সময় এই জিনিসটি ব্যবহার করা হয়। এটি হাত দিয়ে ঘোরানো হয় তরকারির উপরে এতে তরকারিটি মিহি মিহি হয়ে যায়। মেলাতে আমি কাঠের তৈরি বিভিন্ন রকম ফুলদানি দেখতে পাই। অনেক রকম ফুলদানি সেখানে ছিল তবে সবথেকে বেশি চাহিদা ছিল কাঠের পিড়ি ও বেলুনের।কারণ এই জিনিসগুলো মেলা ছাড়া তেমন পাওয়া যায় না।
মেলাতে আমি নিত্য প্রয়োজনীয় কাঠের তৈরি আরো অনেক জিনিসই দেখতে পাই। কিন্তু আমি সবগুলোর নাম তেমন জানি না। কাঠের তৈরি অনেক রকমের বাটি আমি দেখতে পাই ছোট-বড় প্রায় সব রকমের বাটি সেখানে ছিল। আবার সেই বাটি গুলোতে বিভিন্ন রকম কারু কাজ করা ছিল। দেখে বেশ ভালই লাগতেছিল।
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
কাঠের তৈরি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। আগে মানুষ এগুলোই ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন কালের ক্রমে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ এখন স্টীল এর জিনিসপত্র ব্যবহার করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রত্যেকটি জিনিসই নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। এই জিনিসগুলো গ্রামীণ মেলায় বেশি বিক্রি হয়। আর এগুলোর দাম ও হাতের নাগালের কাছে থাকে। অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামীণ মেলাতে কাঠের তৈরি নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঠের তৈরি আসবাবপত্র নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।মেলার মধ্যে এগুলো বেশি দেখা যায়। কাঠের মধ্যে তারা দারুন ভাবে নকশা তৈরি করে।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/kazirahul25804/status/1677295171539726337?t=p6DG0cuHnhc5H5IvUGSjJQ&s=19
অবশ্যই কাঠের তৈরি আসবাবপত্রগুলো অনেকটাই মজবুত এবং টেকসই হয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতে প্রায় অনেকগুলো কাঠের তৈরি জিনিসপত্র রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা কাঠের জিনিসপত্র গুলো সত্যিই রান্না করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর এই উপকরণগুলো বেশিরভাগ মানুষ মেলা থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।