ঐতিহ্যবাহী তালপাতার পাখা যা দিন দিন বিলুপ্তির পথে।
আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি তালপাতার পাখা নিয়ে আপনাদের সামনে কিছু উপস্থাপন করব আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
আমাদের গ্রামীন ঐতিহ্যের এক অন্যতম অংশ হলো পাখা। পাখা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে সাধারণত বাঁশ দিয়ে পাখা বানানো হয় তবে এর ব্যতিক্রম হল তাল পাতা দিয়ে পাখা বানানো।পাখা আমরা প্রায় সবাই চিনে থাকি।প্রাচীনকাল থেকেই পাখা দিয়ে বাতাস করা হয় বিশেষ করে গরমের সময় এই তালপাতার পাখার ব্যবহার সব থেকে বেশি দেখা যায়। গরমে যখন সবার নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় তখন পাখা দিয়ে বাতাস করে শরীরকে ঠান্ডা রাখা হয়।
আমরা প্রায় সবাই তালপাতার পাখা চিনে থাকি।যারা সাধারণত গ্রামে বসবাস করি আমরা এটি আরো ভালোভাবে চিনবো। তালপাতার পাখা বানানোর জন্য প্রথমে তালগাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করা হয়। সেটিকে কেটে ছোট সাইজ করা হয় এবং ভালো করে এর মাথা কে সেলাই করা হয়।পাখার উপরে সেলাই করার কারণ হলো পাখাটি যেন মজবুত থাকে এবং নষ্ট না হয়। এতে পাখাটি টিকে থাকে অনেকদিন। তালপাতার পাখা দেখতে আমাকে অনেক ভালো লাগে। আমার আগে একটি তালপাতার পাখা ছিল তবে বর্তমানে সেটি হারিয়ে গেছে।
আপনারা যে পাখাটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হল তালপাতার তৈরি একটি পাখা। এই পাখাটির ছবি আমি তুলেছি এক বড় ভাইয়ের বাসায়।বেশ কয়েকদিন আগে আমি তার বাসায় গিয়েছিলাম সেখানে আমি এই তালপাতার পাখাটি দেখতে পাই। পাখাটি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে বেশ কয়েক মাস হয়েছে তিনি পাখাটি কিনেছেন। তবে এ ধরনের তালপাতার পাখা বর্তমানে বিভিন্ন স্টেশনে হকাররা বিক্রি করে থাকেন। খুব অল্প দামেই এসব পাখা পাওয়া যায়। আমি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অনেকবার দেখেছি হকারেরা সেখানে তালপাতার পাখা বিক্রি করতেছে।
পাখা হলো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আমাদের উচিত এই জিনিসটিকে আরো টিকিয়ে রাখা। তবে আমার মনে হয় হয়তো কয়েক যুগ পর এই পাখা জাদুঘরের স্থান পাবে।
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
একটা সময় যখন বিদ্যুৎ ছিলো না তখন এই তালপাতার তৈরি হাতপাখাই ছিলো বাতাস করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। তবে এখন আর এই তালপাতার তৈরি হাতপাখা তেমন একটা দেখা যায় না। তালপাতার তৈরি হাতপাখা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তালপাতার হাত পাখা খুবই কম দেখা যায়। তবে এই পাতার পাখা টেকসই হয় অনেক দিন।
Twitter share
তাল পাখার বাতাস অনেক শীতল। তাল গাছ এর ডাল থেকে তাল পাখা তৈরি করা হয়। তাল পাখা আমাদের গ্রামীন ঐতিহ্যের একটি অংশ। গরমের পরম শান্তি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পাখা এখন বিলুপ্তপ্রায়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐতিহ্যবাহী তালপাতার পাখা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন।একসময় তালপাখার ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে একেবারে কমে গিয়েছে। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐতিহ্যবাহী তাল পাতার পাখা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।দিনের পর দিন ঐতিহ্যবাহী হাত পাখা বিলুপ্তির পথে।আগের দিনে সবার ঘরে ঘরে হাত পাখা ছিল।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তাল পাখার তৈরি পাখা অনেকদিন পর চোখে পড়লো। আগেরকার যুগে তালের তৈরি পাখা বাতাস খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাল পাতার তৈরি পাখা তেমন একটা চোখে পড়ে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
তাল পাতা দিয়ে তৈরি পাখার ব্যবহার আগে ব্যাপক ছিল। তালের পাতা দিয়ে তৈরি পাখা আগে বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু বর্তমানে তালের পাতার তৈরি পাখা তেমন দেখতে পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।