"STEEM FOR TRADITION"
HELLO
Date:28.12.2022
স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ও আমার সালাম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। ।এই কমিউনিটি আমাদের ঐতিহ্যের দিকগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আমার পোস্টটি করবো। আজকে আমি গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘরের কথা বলব।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভাল লাগবে।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি |
মাটির ঘর বা বাড়ি গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে খুব পরিচিত একটি বিষয়।কারণ এটি বাংলার ঐতিহ্যকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরে ।গ্রাম বাংলার কিছু ঐতিহ্যের মধ্যে মাটির বাড়ি হল অন্যতম। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুন রয়েছে যা একে এক অনন্য ঐতিহ্যতা দান করে। মাটির বাড়ি শুধুমাত্র গ্রাম বাংলাতেই পাওয়া যায়।বাংলাদেশ ছাড়াও মাটির বাড়ি সাধারণত দেখা যায় সব থেকে বেশি ভারতে এরপর মায়ানমার, নেপাল ইত্যাদি স্থানে।
| |
মাটির বাড়ি তৈরি প্রক্রিয়াটি বেশ সহজেই বলা চলে। পুকুর থেকে তোলা পলিমাটি ও দোয়াশ মাটি দিয়ে মাটির বাড়ি তৈরি করা হয়। পুকুর থেকে তোলা পলিমাটি ও দোআঁশ মাটি এ ব্যবহার করা হয়।মাটির বাড়ি তৈরি করতে কোন ইঞ্জিনিয়ার এর দরকার হয়না। সাধারণত গ্রামের মানুষই তাদের গ্রামের মাটির বাড়ি তৈরি করে ।একটি মাটির বাড়ির বৈশিষ্ট্য হলো পুরো বাড়িটির বা ঘর গুলোর দেয়াল গুলো মাটি দিয়ে তৈরি হয়। নিচেও মেঝেতে মাটি থাকে। জানালাগুলো সাধারণত দুটি বা একটি তৈরি করা হয়। জানালা গুলোতে ব্যবহার করা হয় সাধারণত লোহা তৈরি ছোট ছোট লাঠি বা বাঁশের তৈরি কোনছে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে বাঁশের তৈরি কোনছে ব্যবহার করা হয় ।আবার কেউ কেউ কাঠের তৈরি জানালাও ব্যবহার করে।ঘরের উপরে থাকে সাধারণত বাস ও খড়ের তৈরি চালা ও চালার নিচে থাকে একটি বড় তালা বা ছোট ঘর।যেখানে সাধারণত বিভিন্ন প্রকার পেঁয়াজ, ঝাল, মসলা বা আলু ইত্যাদি রাখা হয়।
মাটির ঘরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি শীতের সময় সাধারণত গরম অনুভূত হয় এবং গরমের সময় শীত অনুভূত হয়। তাই আগের দিনে মাটির বাড়ি সবার কাছেই খুব প্রিয় ছিল ।আমাদেরও একটি মাটির বাড়ি ছিল সেখানে আমি ছোটবেলাতে প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়েছি।মাটির ঘরের সামনে থাকে বারান্দা বা গ্রাম্য ভাষায় যাকে বলা হয় চালী।
বর্তমানে মাটির বাড়ি গ্রামাঞ্চলে তেমন দেখা যায় না।সবাই এখন ইটের তৈরি বাড়ি করতেই ব্যস্ত।আসলে সবাই এখন নগরায়নের পথেই যেতে চায়।এই মাটির বাড়ি তাই এখন বিলুপ্তের পথে।
পরিশেষে
🙂 যুগ যুগ ধরে বাংলার ঐতিহ্যকে বহন করে এই মাটির বাড়ি। মাটির বাড়ির এসব বৈশিষ্ট্য কাউকে ভালো লাগে আবার কাউকে লাগেনা। তাই সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাটির বাড়ি ও বিলুপ্তির পথে। 🙂
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য |
*ছবিগুলো তোলা
হয়েছে*
Samsung Galaxy M10
এই মাটির তৈরি বাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে। এখন আর এই মাটির তৈরি বাড়ি খুব কমে দেখা যায়। মাটির তৈরি বাড়ি এসির সমতুল্য। আপনি অনেক সুন্দর ও চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে মাটির বাড়ি খুবই কম দেখা যায়। মাটির বাড়ি আমাদের একটি ঐতিহ্য। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
মাঠির বাড়ি এখন নাই বললেই চলে৷ আগে পার্বতীপুরে থাকতে দুই তিনটি মাটির বাড়ি দেখেছিলাম৷ ঐগুলো এখন পাকা হয়ে গেছে৷ পার্বতীপুরে একটি মাটি দিয়ে তৈরি মসজিদ আছে৷ মাটির বাড়িতে শীতকালে গরম ও গমর কালে ঠান্ডা থাকে৷
মাটির এখন তেমন দেখা যায় না। মাটির বাড়িঘর এখন বিলুপ্ত াপ্রা। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
মাটির ঘরবাড়ি এখন তেমন একটা দেখা যায় নাহ ভাই। তবে আপনার উপস্থাপন ভলো ছিল। মাটির বাড়ি নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে 💞
ছোটবেলায় এরকম মাটির বাড়ি প্রায় প্রত্যেক গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতে দেখা যেত।উত্তরাঞ্চলে যেহেতু বড় হয়েছি তাই মাটির বাড়ি অনেক দেখেছি এখানে। কিন্তু বর্তমানে মাটির বাড়ি খুঁজে পাওয়া সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। ঐতিহ্য নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই এগিয়ে যান
আমাদেরও মাটির বাড়ি ছিলো কয়েক বছর আগে ভেঙে পাকা বাড়ি করা হয়েছে। আপনার ছবি দেখে আমার পুরান বাড়ির কথা মনে পড়ল।
মাটির তৈরি বাড়িঘর আর দেখা পাওয়া যায় না। খুবই কম আছে মাটির তৈরি বাড়িঘর।