হস্তশিল্পের একটি অংশ ঝিনুকের তৈরি জিনিস।
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি @rahulkazi, #bangladesh. থেকে।
ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে। |
---|
সামুদ্রিক ঝিনুক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রকার জিনিস।
আমরা প্রায় সবাই সামুদ্রিক ঝিনুক চিনে থাকি। যদিও উত্তরবঙ্গে সেটি পাওয়া যায় না দক্ষিণবঙ্গের সামুদ্রিক এলাকা গুলোতে সবথেকে বেশি ঝিনুক পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ঝিনুক খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ হিসেবে পরিচিত।বিশেষ করে ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন প্রকার জিনিসগুলো শুধু বাংলাদেশী নয় বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
ঝিনুকের তৈরি মালা।
লোকেশন
যেসব দেশের সমুদ্র নেই সেসব দেশে এসব ঝিনুকের বিভিন্ন প্রকার জিনিসপাতির বেশ চাহিদা রয়েছে।তাই তারা আমাদের দেশ ও সামুদ্রিক যেগুলো দেশ রয়েছে সেগুলো থেকে এইসব জিনিস রপ্তানি করে। এর মধ্যে রয়েছে ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন প্রকার মালা বিভিন্ন প্রকার অলংকার বিভিন্ন প্রকার কারো কাজের জিনিস। যেমন কেউ কেউ ঝিনুকের মালা দিয়ে ঘর তৈরি করে,ছোট ছোট খেলনা জিনিস আরো অনেক কিছু।
দাম ১০০ টাকা =৪ স্টিম | দাম ৫০ টাকা = ২ স্ট্রিম |
---|
এইসব জিনিসের ভেতর সবথেকে বেশি দেখা যায় ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন প্রকার মালা যা মেয়ে মানুষদের জন্য সবথেকে বেশি আকৃষ্টের একটি জিনিস।কারণ তারা সব থেকে বেশি মালা ব্যবহার করে অলংকার হিসেবে।
গ্রামীণ মেলায় ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন প্রকার জিনিসের রিভিউ। |
---|
বেশ দুই মাস আগে আমি আমাদের দিনাজপুর জেলার এক ঐতিহ্যবাহী মেলা গোয়ালহাট মেলায় গিয়েছিলাম।সেখানে গিয়ে আমি ঢুকতেই একটি দোকানে ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন রকম মালা ও জিনিসপাতি দেখতে পাই।তবে সবথেকে বেশি মালাটি আমি দেখতে পাই। জিনিসপাতির ভিতর দেখতে পেয়েছিলাম ঘর তৈরি করে রেখেছে বিভিন্ন প্রকার। পাখি, ফুল,ঝিনুক দিয়ে তৈরি করে রেখেছে তারা। দেখে খুব ভালো লাগলো দোকানগুলোতে বেশ ভালোই ভিড় ছিল। ক্রয় ক্ষমতার ভিতরেই ছিল সবারই তাই মানুষ কিনেছিল সেগুলো।
ঝিনুকের তৈরি টোপর। | ঝিনুকের তৈরি মাথার বেন। |
---|
একটি দোকানে আমি গেলাম যাওয়ার পর সেখানে দেখলাম যে ঝিনুক দিয়ে বেশ সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে।একটি টোপর, টোপরটি দেখতে খুব ভাল লাগতেছিল।আসলে এগুলো যারা তৈরি করে তাদের অনেক সৃজনশীলতা রয়েছে অনেক দক্ষতা রয়েছে।আমি বুঝতেই পারলাম না যে কেমন করে তারা এসব জিনিস তৈরি করে।
এরপর আমি আরেকটি খেলনার দোকানে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম যে ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন প্রকার ডিজাইনের বাড়ি তৈরি করা রয়েছে। তাদের উপরে পুঁথির কাজ করা হয়েছে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল সেই বাড়িটি।নিতে ইচ্ছে করতেছিল কিন্তু নিলাম না।এইসব জিনিসের তৈরি জিনিস গুলো সাধারণত মানুষ বাড়িতে তাদের ঘরের সোভা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করে। ঘরের কোথাও দেয়ালে বা ড্রেসিং টেবিল বা সাধারণত টেবিলে এসব জিনিস রাখা হয়।এতে ঘরটি দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
তবে সব থেকে বেশি একটু আমাকে যা ভালো লেগেছে তা হল ঝিনুকের তৈরি এসব জিনিসের উপরে অনেক পুঁথির কাজ করা হয়েছে। হস্তশিল্পীর এই কাজটি অনেক জায়গায় করা হয় আমাদের দেশে।আর ঝিনুকের ওপর এসব কাজ করার ফলে যেন মনে হচ্ছে ঝিনুকের একটি আলাদা ভাব চলে এসেছে।ঝিনুকটি দেখতে খুব সুন্দর ও মার্জিত লাগতেছিল।
- ঝিনুক সাধারণত পাওয়া যায় সামুদ্রিক অঞ্চলে।ওইসব জায়গায় এসব কিছু তৈরি করা হয়। যেমন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ইত্যাদি
- নদী এলাকাগুলো ঝিনুকের তৈরি জিনিস তৈরিতে খুব বিখ্যাত।
- নদীমাতৃক দেশে হাওড়া বাওড়াএলাকাগুলোতে ঝিনুক পাওয়া যায়।সেখানে তারা খুব অল্প পরিমাণে এসব জিনিস তৈরি করে।
ঝিনুকের তৈরি বাচ্চাদের ক্লিপ, ছোট ছোট ব্যান আরো হরেক রকমের জিনিস।
যাইহোক উত্তরবঙ্গের মানুষ এসব জিনিস খুব কমই চেনে। যেহেতু এগুলো বড় বড় নদী, হাওর ও সমুদ্রের জিনিস তাই এইদিকের মানুষের একটু আকৃষ্ট থাকে এইসব জিনিসের প্রতি।আমাদের এদিকে প্রায় প্রতিটি মেলায় এসব জিনিস দেখা যায়। তবে একটি কথা কি বর্তমানে এসব জিনিসের চাহিদা খুব কমে যাচ্ছে দিন দিন। যার মূল কারণ হিসেবে বলা চলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব জিনিস আর তেমন মানুষ তৈরি করে না।যদিও সমুদ্র এলাকায় এখনো কিছু কিছু জায়গায় এইসব ঝিনুকের তৈরি জিনিসগুলো তৈরি করা হয়।
সবকিছু প্রস্তুতকারক,
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি। |
---|
ঝিনুকের তৈরি জিনিস ও মালা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আপনার তোলা প্রতিটা ছবি আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে, আগের মানুষ এই ঝিনুকের তৈরি মালা বা জিনিস গুলো ব্যবহার করতো।আমার এক আপু ঝিনুকের মালা ছিল সে কোথাও ঘুরতে গেলে সে ঝিনুকের মালা টি পরতো।আর এই ঝিনুকের তৈরি মালা পরলে তাকে অনেক সুন্দর দেখায়।তবে এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো এখন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাজ থেকে। আর এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো কোন মেলায় বা কোন ভ্রমন স্থানে দেখা যায়। আমি কিছু দিন আগে আমার নানার বাসায় গেছিলাম তখন আমরা কয়জন বন্ধু মিলে এক মেলায় ঘুরতে গেছিলাম তো তখন আমি এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে পাই। আর এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো দেখতেও খুব সুন্দর লাগে,আর যারা এই এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো ব্যবহার করে তাদের কাজ থেকে একটি ঝুন ঝুন আওয়াজ আসে আর এই আওয়াজটি আমার খুব ভালো লাগে। তবে এখন এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো দেখা যায় না। আর এখন এগুলো ব্যবহার করে তা আমার যানা মতে বলতেছি এখন বেশির ভাগ হিন্দু এই ঝিনুকের তৈরি জিনিস গুলো ব্যবহার করে। আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
ঝিনুক শিল্প নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ছোটবেলায় আমরা ঝিনুকের তৈরি হেয়ার ব্যান্ড মাথায় দিয়েছিলাম। আমার বড়আব্বু কক্সবাজার থেকে এগুলো এনেছিলেন। তিনি একটি বড় ঝিনুকও নিয়ে এসেছিলেন। ঝিনুক শিল্প বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। এগুলো এখন মেলায় বা শো পিছের দোকানে পাওয়া যায়। আগে মানুষ প্রচুর ব্যবহার করতেন।কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় এগুলোর চাহিদা বহুগুণ কমে গেছে। এখন রাবার বা স্টোনের তৈরী জিনিসের কদর বাড়ার ঝিনুকের তৈরী জিনিস গুলোর কদর কমে গেছে। ঝিনুক শিল্প নিয়ে আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
ঝিনুক শিল্প বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। এগুলো এখন মেলায় বা শো পিছের দোকানে পাওয়া যায়। আগে মানুষ প্রচুর ব্যবহার করতেন।কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় এগুলোর চাহিদা বহুগুণ কমে গেছে।আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্তাপনা করেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
ঝিনুক তৈরি হস্তশিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।ঝিনুকের তৈরি মালা, ব্যান্ড দেখতে অনেক সুন্দর। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
ঝিনুকের তৈরি মালা নিয়ে অসাধারণ পোস্ট। ঝিনুক এর হস্তশিল্পের প্রতিটি জিনিস অসাধারণ। সমুদ্র থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করে সমুদ্র পারের জনগোষ্ঠী মালা তৈরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে, এসব মানুষ এর কাজ ভোর বেলায় ঝিনুক সংগ্রহ করা। প্রতিটি কারুকাজ ফুটিয়ে তুলেছেন নিখুঁত ভাবে, তবে এসব হস্ত শিল্প এখন সাড়া বাংলাদশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
ঝিনুক দিয়ে তৈরি জিনিসগুলো দেখতে বেশ সুন্দর হয়। বিভিন্ন মেলায় কিংবা দোকানে এই ঝিনুকের তৈরি মালা শোপিস ব্রেসলাইট ব্যান্ড বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করা হয়। দাম যে খুব কম তা নয় কিন্তু এর সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। আপনি ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে অসাধারন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি বেশ সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেন এবং সাজিয়ে গুছিয়ে ফুটিয়ে তোলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
বাংলাদেশের সবথেকে বেশি শামুক ঝিনুক পাওয়া যায় কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। ঝিনুকের তৈরী এই মালা গুলো মেয়েদের অনেক পছন্দের হয়ে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর বলেছেন সেই সকল মালাতে আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর তথ্য উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
এই কথাটি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন।
চট্টগ্রামে ঝিনুকের তৈরি এরকম জিনিস আমি অনেক দেখেছি। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন মেলার মধ্যেও অনেক দেখা যায় এগুলো। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি ভাই আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলে বেশি শামুক ও ঝিনুক পাওয়া যায়।এটি একটি হস্তশিল্পের অন্তর্গত। ছোটবেলা থেকে আমরা ঝিনুকের তৈরি অনেক জিনিসপত্র ব্যবহার করেছি।এর মধ্যে মাথার ব্যান্ড হেয়ার ক্লিপ ও শোপিস অন্যতম। ঝিনুকের তৈরি সব সময় দেখতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সমুদ্রের কিছু সৌন্দর্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।