নদনদীর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো বালুরচর।

in Steem For Traditionlast year (edited)


স্টিম ফর ট্রেডিশন

InCollage_20230810_134446672.jpg


ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে


আমাদের বাংলাদেশ হলো নদনদীর দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই নদনদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেই হিমালয় পর্বত থেকে নদ নদীর উৎপত্তি এবং বঙ্গোপসাগরে গিয়ে এই নদীগুলো পতিত হয়েছে।এসব নদীগুলো বর্ষাকালে অনেক পানিপূর্ণ থাকে আবার শীতকালে পানি কমে যায়।শীতকালে যখন পানি কমে যায় তখন এসব নদীতে চর দেখা যায়।আর এসব চর হল বালুর চর।

আমাদের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বালুরচর তেমন দেখা না গেলেও দক্ষিণের জেলা গুলোতে নদীর বালুরচর গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। এই চরগুলোকে বালুরচর বলার কারণ হলো মনে হয় যেন নদী থেকে ধবধবে সাদা বালু উপরে উঠে এসেছে।


20230810_133611.jpg


শীতকালে যখন এসব বালুরচর দেখা যায় তখন অনেক মানুষ এসব জায়গায় বেড়াতে আসেন। তারা তাদের সময় কাটাতে আসেন বালুরচর দেখতে। আমাকে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে যারা নদীতে মাছ ধরেন তাদের জন্য বালুরচর অনেক উপকারী। কারণ বালুর চর থাকার কারণে খুব সহজেই তারা জাল ফেলে মাছ ধরতে পারেন। এতে করে তাদের সময় অনেক কম লেগে যায় বালুরচর থাকার কারণে ছোট বাচ্চারাও সেখানে খেলতে পারে।শীতকালে তেমন পানি নদীতে থাকে না তখন বালুর চরের উপর হাঁটতে অনেক ভালো লাগে।পানি অল্প থাকায় নদীর পানিতে গোসল করা যায়।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png


20230810_133713.jpg

20230810_133638.jpg

আপনারা যে বালুরচর দেখতে পাচ্ছেন সেটি হল দিনাজপুর মোহনপুর রাবার ড্যামের ঠিক নিচে একটি বালুরচর।মূলত রাবার ড্যাম থাকার কারণে নদীর অপর পাশে পানি খুব কম আসে তাই বালুরচর উপরে উঠে আসে। এ সময় অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন আশেপাশের জেলা উপজেলা গুলো থেকে।তারা এখানে তাদের মূল্যবান সময় গুলো কাটান এছাড়া অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা সেখানে নদীতে গোসল করেন। ঈদের সময় আমি সেখানে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি যে অনেক মানুষ ঘুরতে এসেছে।বালুরচরে অনেকেই অনেক রকম ভাস্কর্য তৈরি করতেছে।
20230810_133732.jpg20230810_133540.jpg

বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা বালুর চর পেলে বালুর চরে তারা বালু দিয়ে ঘর তৈরি করেন। আবার বালুর টিলা তৈরি করেন কেউ কেউ।বালু খুড়ে পানি বের করেন। আমার নানার বাসা এই আত্রাই নদীর পাশাপাশি তাই আমিও ছোটবেলায় আসতাম আগে এই নদীতে। নদীর বালুচরে খেলতাম আমার মামা সহ গোসল করতাম।বিশেষ করে শীতকালে এই বালুরচর সবথেকে বেশি দেখা যেত মাঝে মাঝে একাই চলে আসতাম নৌকায় উঠতাম। আমার এক স্থানীয় মামা ছিল তিনি আমাকে নৌকায় করে নদীর এপার থেকে ওপারে যেতেন।


20230810_134012.jpg

20230810_133459.jpg


বর্তমানে নদীগুলোতে বালুরচর দেখা দিলে সরকার সেগুলোকে ইজারা দিয়ে দেয় মানুষকে। সেখান থেকে তারা বালু উত্তোলন করে এর ফলে সেখানকার বালুরচর গুলো আর থাকে না পানিতে মিশে যায়।


যাই হোক আপনারা কোথায় কোথায় এরকম বালুর চর দেখেছেন তা অবশ্যই আমাকে জানাবেন কমেন্টে? আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের সবাইকে ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRQ2cJZBsiyuMbbQNbt2XY3bPDP3soCEvgarH2Jwxn58HCSwZqnJoPtfVfPHherMXdd7WgN8njYmw78rCTC...923jDPN36y1mC6nREgXLxpVNKY67PEB4YJ8cskAjk61zvxTRrXgaQQvTunA3og4Yf8mwMEEke9xojaKLxamdxm2nQR1Pken3K2jviauVWtn2WPfY4gwfKMThHP.gif



FB_IMG_1673841505965.jpg
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।

Black & White Minimalist Business Logo.png


You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year (edited)

আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে একটি শাখা নদী বয়ে গিয়েছে। সেই নদীর বালুময় পাড়ে কত খেলেছি তার হিসাব নেই। নদীর পানি যখন শুকিয়ে যেত তখন সেখানে বালু থাকত প্রচুর পরিমাণে এবং সেখানে গিয়ে আমরা নানা ধরনের খেলা খেলতাম। আপনার শেয়ার করা ছবিটিতে যে বালুর ক্যাসেলটি দেখা যাচ্ছে সেটি ছোটবেলায় আমিও অনেক বানিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

Loading...
 last year 

জ্বী ভাইয়া ছোট বাচ্চারা বালুর চরে বালু দিয়ে অনেক রকমের ঘর তৈরি করে এবং এই বালু খুরে কখনো কখনো পানি বের করে ছোটবেলার এই দৃশ্যগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ভাবে কেটে যায়। আপনার এই পোস্টটি পরে আমাদের বানার খাইলে বালা খুরে পানি বের করার ছোটবেলার দৃশ্য মনে করলো ভাইয়া। এরকম সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বালুর চরে হাঁটতে আমার খুবই ভাল লাগে। আপনি মোহনপুরের বালুর চরের ছবিগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আগে দিনাজপুরে প্রমদ তরি বলে একটা পার্ক ছিল।এখন নাকি সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে বালুর চরের উপর বসার জায়গা থাকত।আমি বন্ধুদের সাথে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। উত্তরাঞ্চলে যখন নদীর চর বের হয় তখন অনেকেই সেখানে ফসল চাষ করেন। আপনি ঠিকই বলেছেন অনেকেই বালুরঘর তৈরি করে।অনেকেই আবার নাম লিখে রাখে।সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বালুচর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমরা ছোটবেলায় বালুচর গিয়ে এভাবে বালু দিয়ে উঁচু উঁচু ঢিপি বানাতাম। অবশ্যই এটা ঠিক বলেছেন বালুচর হলে যারা মাছ ধরে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। অনেকেই আছে যারা নদীর মাঝে বিক্রি করে নিজের সংসার চালায়। আপনি অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর ছিলো।শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশে অসংখ্য নদ নদী রয়েছে।ঠিক বলেছেন নদ নদীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে বালুর চর । আমার বাসা টাঙ্গাইলে, টাঙ্গাইল যমুনা নদী পরবর্তী শহর। যমুনা নদীতে অসংখ্য বালুচর রয়েছে। বালু বিক্রি করা হয়ে থাকে চর থেকে। যে কোন গৃহ বাড়ি নির্মাণের সাহায্য করে। সুন্দর লিখছেন ভাই। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।নদীর এই বালুচরগুলো গরমের সময় প্রচন্ড রোদে এতটাই গরম হয় যে খালিপায়ে এর উপর দিয়ে হাটা বেশ কঠিন। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতেও অনেক বড় বালুচর আছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ছোটবেলায় বালুর চরে অনেক হেঁটেছি।বালুর চরে খালি পায়ে হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে।আমার ফুপির বাসা কাঁকড়া নদী থেকে কাছেই। আমার ফুপির বাসা কাঁকড়া নদী থেকে কাছেই।আপনার পোস্টটি পড়ে সেই স্মৃতিগুলোই মনে পড়ে গেল।ধন্যবাদ ভাইয়া মোহনপুর বালুচর নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

পানি কমে গেলেই ভেসে উঠে বালুচর। আমি দিনাজপুর যাওয়ার সময় দেখলাম নদীতে মেশিন লাগিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বালু চলে অনেকেই ঘুরতে যায়। বিশেষ করে রাবার ড্রামের সামনের একটি বালুচর আছে সেখানে অনেক মানুষের সমাগম দেখতে পাওয়া যায়। বালু চরে আসলে ফুটবল খেলতে অনেক মজা লাগে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65663.89
ETH 2670.06
USDT 1.00
SBD 2.91