ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি বিশ্রামের জন্য টং।
আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি ভাল আছেন। আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী বাশেঁর তৈরির টং নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।
গ্রামাঞ্চলে সবথেকে বেশি দেখা যায় এই বাঁশের তৈরি টং। এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়।প্রথমে একটি পোক্ত বাশঁকে কেটে আনা হয়।তারপর সেটিকে ভালোভাবে কাটা হয়। বাঁশগুলোকে কেটে কেটে বাতা তৈরি করা হয় এবং সেই বাতা গুলোকে অনেকে খিল দিয়ে জোড়া লাগান।আবার অনেকে দড়ি দিয়ে জোড়া লাগিয়ে টং তৈরি করেন।যুগ যুগ ধরে এই ঐতিহ্যবাহী টং এর প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে।টং এ বসে থাকার মজাই আলাদা।
আপনারা যে বাঁশের তৈরি টং দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আমাদের গ্রামেই দোকানের পাশে একটি টং। এই টং টি আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল এবং প্রতিবছর এটি সংস্কারের কাজ করা হয়। আমার দাদু এটি তৈরি করেছিল প্রথমে কাঠ দিয়ে।পরে এটিকে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। পাশে একটি দোকান রয়েছে দোকানটি হলো আমার এক চাচার। দোকানে কেউ কিছু নিয়ে খেলে সে টং এ বসে খায়। মূলত গ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে দুপুরের দিকে মানুষ বিশ্রাম করার জন্য এই টং ব্যবহার করে থাকে।
এটি হলো একটি বড় মাপের টং। বাংলাদেশে আরো ছোট মাপের বসার জন্য টং দেখা যায়।মূলত গ্রামীণ অঞ্চলে চায়ের দোকানের সঙ্গে এই টং গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। যেগুলোতে মানুষ বসে বসে আড্ডা দেয়।এলাকার খবর যদি জানতে চান তাহলে এই টং এ বসে থাকবেন কিছু না কিছু তো অবশ্যই জানতে পারবেন।টং হলো আমাদের দেশের এক ঐতিহ্য তবে বর্তমানে দিনদিন এগুলো বিলুপ্তির পথে।যার প্রধান কারণ হলো বিনোদনের অনেক মাধ্যম মানুষের কাছে রয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বাঁশের তৈরি টং গুলো গ্রামেই বেশি দেখা যায়, বলতে গেলে এটি গ্রামের একটি অংশ, কেউ বাঁশ দিয়ে টং বানায় আবার কেউ কাট দিয়ে, তবে উদ্দেশ্য একটাই বিশ্রাম করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি ঐতিহ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
Twitter share
বাঁশের তৈরি টং গ্রামগঞ্জের আড্ডাখানা। বাঁশের তৈরি মাচা বা টঙ্গে রাত্রিবেলা সবাই মিলে বসে আড্ডা দেওয়া হয়। জি ভাই ঠিক বলেছেন চায়ের দোকানের পাশে এইসব টং বেশি দেখা যায়। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গাছের নিচে এই টং দেখা যায়। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ও বয়সের মানুষ ক্লান্তি মেটানোর জন্য একটু বিশ্রামের জায়গায় হিসেবে এখানে আড্ডা দেয় বা বসে। আমাদের এলাকাতেও এরকম টং দেখেছি।আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঁশের তৈরি টং নিয়ে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। আমাদের বাসার সামনেও এইরকম একটি টং রয়েছে। প্রতিদিন বিকেলবেলা আমরা এই টং এ বসে আড্ডা দেই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঁশের টং নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন।প্রচন্ড গরমে টং একটি আরাম এর জায়গা। বিভিন্ন গাছের নিচে বা বাঁশঝাড়ের নিচে টং তৈরি করা হয়। গ্রামে এই টং সবারই মিলনায়তনের একটি জায়গা। আগে গ্রামে প্রত্যেক বাড়ির সামনেই একটি করে টং ছিল। আমাদের বাড়ির বাইরে একটি সমিতির ঘর ছিল। তার পাশে একটি বড় টং ছিল। সেখানে গরমে আমরা সবাই বসে থাকতাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গরম কালীন সময়ে একমাত্র প্রশান্তির জায়গা হল আমাদের গ্রাম অঞ্চলে তৈরি বাঁশের টং। এই টং গুলোতে সাধারণত অনেক লোকজন তাদের সময় অতিবাহিত করে। এই টং গুলো সাধারনত বড় গাছের নিচে কিংবা বাঁশ বাগানের নিচে বানানো হয়ে থাকে যাতে করে ছায়া পাওয়া যায় এবং প্রকৃতির বাতাস পাওয়া যায়। আমাদের ছোট্ট এলাকাটাতে অনেকগুলো বাঁশের তৈরি টং রয়েছে যেগুলোতে বসে নারী পুরুষ একত্রে গল্প করি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনকার সময়ে বিদ্যুতের যে অবস্থা কাজী সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না রাতেও থাকে না জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গেছে। তার একমাত্র অবলম্বন হলো এই টং। আমাদের এলাকায় বাঁশের তৈরি বেশ কয়েকটি টং আছে। রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা তখন আমি সেখানে গিয়ে আড্ডা দেই। আড্ডা জমানো যায় টঙে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঁশের তৈরি এই ধরনের টং সাধারণত গ্রামে অনেক মানুষ ব্যবহার করে। এই টং এ বসে গ্রামের মানুষ আড্ডা দেয়। সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে।