ঐতিহ্যবাহী শিকা বিলুপ্ত প্রায়
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। শিকা গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। আগেকার সময়ে দেখা যেত প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রান্নাঘরে শিকা ঝুলিয়ে রাখা হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই এখন পর্যন্ত প্রচলিত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শিকা। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল বলতে গ্রামগুলোতে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। আগেকার সময়ে দেখা যেত গ্রামঞ্চলের মেয়েরা আপন মনে তৈরি করতেন নানান শিল্প কর্ম। এই শিল্পকর্মের মাঝে লুকিয়ে আছে বাঙ্গালী নারীর হাজারো স্বপ্ন এবং গ্রামাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় অনেক স্মৃতি । আমাদের দেশের পাটের চাষাবাদ হয়ে থাকে। তবে এই পাট আমাদের নকশি শিকার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন। আগেকার সময়ে দেখা যেত অনেক নারীরা তারা বিকেল বেলা অবসর সময়ে এই নকশি শিকার কাজে ব্যস্ত থাকতো। এই নকশি শিকা আমাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
গ্রামাঞ্চলের সুপরিচিত হলো লোকশিল্প এই শিকা। গ্রামের মেয়েরা নিজ হাতে তৈরি করে থাকেন রঙিন সুতার পাট বা পাটের রশি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তবে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যেত পাটের রশির চটের উপর রঙিন সুতো দিয়ে নকশা তৈরি করতেন। তবে শিকা মুলত লোকশিল্পের নিদর্শন বলা যায়। গ্রাম-বাংলার মেয়েরাই প্রকৃতপক্ষে শিকা তৈরির একমাত্র কারিগরি বলা যায়। সংসারের সব কাজে করে নিজের মনকে উজার করে সাজিয়েছে এই শিকা গুলো। শিকা তৈরি করা হয় পাট দিয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য কাজে লাগিয়ে। আগেকার সময়ে মাটির বাড়িতে কিংবা চাটির বাড়িতে রান্নাঘরে এই শিকা ঝুলতে দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে নকশি শিকা। বর্তমান সময়ে আর চোখে পড়ে না শিকা। শিকা দেখে নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টস্বাধ্যের ব্যাপার। ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আমার বিশ্বাস যে তারা হয়তে শিকা কি জানেই না। তবে হয়তো অনেকেই চারুকলা বইয়ে পড়তে পারে। গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা সাধারণত পাট দিয়ে তৈরি করেন এরপর যখন বিভিন্নরকমের কারুকার্যকে কাজে লাগানো হয় তখন তাকে নকশি শিকা বলে থাকি।
শিকা গুলো সাধারণত রান্না ঘরে ঝুলানো থাকে। তবে অনেকেই থাকার ঘরে শিকা ঝুলিয়ে রাখে।শিকা মুলত আমাদের রান্নার কাজে লাগে। রান্না ঘরে শিকা ঝুলানো থাকে ভাত, তরকারি রাখলে বিড়াল কিংবা পিঁপড়ার মতো ছোট একটি প্রানীর হাতে থেকে খাবার গুলো রক্ষা পাওয়া যায়।শিকা তৈরিতে পাট আর বাঁশের বাতার প্রয়োজন আছে। শিকায় রাখা হয় হাড়ি পাতিল গুলো। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রায় ১০ বছর আগে যখন আমার দাদি বেঁচে ছিল তখন এরকম শিকার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের জিনিস রাখতাম। কিন্তু প্রায় চার-পাঁচ বছর থেকে সেটা আর কোথাও দেখতে পাই না। তবে আপনার পোস্টে দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া। শিকা এর ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। যদিও গ্রামের বাড়ি গুলোতে এখনো একটা দেখতে পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই পোস্ট টি শেয়ার করছেন। পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ।
আগের দিনের রান্নাঘরের শিকা ব্যবহার করা হতো, বিড়াল কিংবা কুকুর এর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য রান্না করা হাড়ি পাতিল ঝুলিয়ে রাখা হতো। পাট দিয়ে শিকা তৈরি করা হতো। গ্রাম গঞ্জের প্রত্যেকটি বাড়িতে থেকে থাকতো, দুধ দোহন করে শিকায় তুলে রাখা হতো। ছোটবেলায় আমিও শিকায় দুধ রাখতে দেখেছি। ঐতিহ্যবাহী শিকা নিয়ে দারুন লিখেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী শিকা যা আমাদের গ্রাম অঞ্চলে শিকিকা বলে থাকি। এগুলো এখনো আমাদের বাড়িতে অসংখ্য পরিমাণে রয়েছে। তবে এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে এই ঐতিহ্যবাহী শিখা। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের এখনো কিছু কিছু বাড়িতে রান্না ঘরে কিংবা ঘরের ভিতরে বিড়ালদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তরকারি কিংবা ভাত উপরে রাখা হয়। এই শিখা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা অনায়াসে বানিয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে এরকম শিকা অনেক দেখেছি। এখন আর সেরকম দেখা যায় না। ধীরে ধীরে আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফিতে এরকম শিকা দেখতে পেরে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
টুইটার লিংকঃ
https://twitter.com/Rahul989132/status/1683409736111382528?t=a1KGX26Q9tS3ujpVrkzX0g&s=19
শিকা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই পাটের তৈরি শিকার ব্যবহার ছিল।কিন্তু এখন আর এই শিকার ব্যবহার তেমন দেখা যায় না। আমাদের বাসায় এই রকম দুটি শিকা এখনো রয়েছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় যখন পড়াশোনা করতে বসতাম না তখন প্রায় শুনতে হতো, "পড়াশোনা কি শিকায় তুলে রেখেছো ?" এই সেই শিকা যেখানে শূন্যের মাঝখানে কোন জিনিস ঝুলিয়ে রাখা হয় । বর্তমানে এই শিকার ব্যবহার শুধুমাত্র ফুলের গাছ ঝুলানোর ক্ষেত্রে দেখা যায়। আর অন্য কোথাও এগুলোর ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।