ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় মজাদার চটপটি
স্টিম ট্রাডিশন কমিউনিটি |
---|
আসসালামু আলাইকুম,
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।চটপটি খাবারটি আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার বটে। চটপটি অনেক সস্তা দামে পাওয়া যায়। তবে চটপটি খাবারটি বেশ সুস্বাদু ও মজাদার খাবার।চটপটি কমবেশি সকলের পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবারের তালিকায় রয়েছে।
আমরা সকলেই জানি যে,চটপটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। আমাদের দেশে বসবাসকারী এমন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা চটপটি খাবারটি খাননি।চটপটি খাবারটি তুলনামূলকভাবে দামে কম হওয়ায় সকল ধরনের মানুষের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম।এছাড়াও অন্য খাবারের মতো না হওয়ায় এই খাবারটি বেশি জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং যেসব এলাকায় জনবসতি বেশি হওয়ার পরও চটপটি বেশি জনপ্রিয়।
চটপটির উৎপত্তি শুরু হয় বাংলাদেশে। তারপরও আমরা শুনেছি যে,চটপটি উৎপত্তিস্থান ভারত ছিলো কিন্তু বাংলাদেশ বা ভারতে চটপটি বেশ জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। তবে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে এই চটপটি ঐতিহ্যবাহী খাবার নামে পরিচিত। চটপটি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই চটপটির দোকান গুলো ভ্রাম্যমাণ দোকান নামে পরিচিত। এই দোকান গুলো রাস্তার পাশে,পার্কেে,কলেজের সামনে বা কোন অনুষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে দোকান দিয়ে চটপটি তৈরি করে বিক্রি করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে কিছু কিছু রেস্তোরাঁ বা কফিশপেও এই চটপটি বিক্রয় করে বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের কাছে এই খাবারটি বেশ পছন্দের কারন এই চটপটি দাম সস্তা হওয়ায়।শহরাঞ্চলে চটপটি ব্যাপক জনপ্রিয় বটে। শুধু শহরাঞ্চল নয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রামাঞ্চলেও এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ এই চটপটি সাধারণত অনেকেই বাসায় বানিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে বাসায় বানানোর থেকে দোকানে গিয়ে খাওয়ায় ভাল। কারন সস্তা মূল্য এবং সহজলভ্য।
চটপটি যেভাবে বানানো হয়। চটপটির প্রধান উপকরণ
গুলোর মধ্যে হচ্ছে কাবুলি মটর ডাল,আলু, ডিম, ধনেপাতা, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন,জিরা,গোল মরিচ ইত্যাদি এই চটপটি তৈরির প্রক্রিয়া। চটপটি বানানোর পদ্ধতি গুলো বেশ সহজ। এটি তৈরি করার জন্য কাবুলি মটর ডাল প্রথমে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে নিতে হয়। তারপরে কাবুলি মটর ডাল এবং আল সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে পাতলা হয়ে থাকে। এরপর কাঁচা পিয়াজ, মরিচ, ডিম সিদ্ধ কুচি, জিরা এবং ধনিয়া গুরা, ধনিয়া পাতা কুচি এবং গোল মরিচ, লবণ মেশাতে হয়। সবশেষে ফুসকার গুড়ো করে ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই সহজে চটপটি তৈরি করা হয়।আসলে বাড়িতেও চটপটি বানিয়ে খাওয়া যায়। হাটে-বাজারে মুলত চটপটির অনেক দোকান দেখা যায়। চটপটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি।চটপটি মুলত সবধরনের লোকের জনপ্রিয় খাবার বলা যায়। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আপনি ঐতিহ্যবাহী খাবার চটপটি নিয়ে সুন্দর লেখছেন ভাই।চটপটি বর্তমান সব জায়গায় জনপ্রিয় অর্জন করছে।আমরা কম বেশি সবাই চটপটি পছন্দ করি।আমি নিজেও এই চটপটি খুব পছন্দ করি।আপনি চটপটি নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন। চটপটি কিভাবে তৈরি হয় তার সুন্দর বর্নণা পেশ করেছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
চটপটি খেতে আমারও অনেক ভালো লাগ। চটপট করে তৈরি করা যায় দেখেই মনে হয় এটির নাম চটপটি (হাহা)। চটপটির উৎপত্তিস্থল যে ভারত সেটি আমি জানতাম না আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আসলে বাংলাদেশ এবং ভারত প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় এই দুটি দেশের খাবারের মধ্যে রয়েছে অনেক মিল । ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে।
টুইটার লিংকঃ
https://twitter.com/Rahul989132/status/1691415177860943872?t=r_VjO8ueP-LnL3WLXVuw2Q&s=19
বর্তমানে এই চটপটি আসলেই অনেক বেশি জনপ্রিয় খাবার। আমাদের এলাকায় এই ঐতিহ্যবাহী খাবারটি প্রতি বাটি নেয় ৩০ টাকা করে। আবার যদি কেউ গরুর হাড় দিয়ে খেতে চায় তাহলে দাম নেয় ৬০ টাকা। আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান প্রজন্মের অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার চটপটি।
ধন্যবাদ।
মূলত চটপটির উৎপত্তি ভাই ভারত উপমহাদেশে। তবে আমার মতে কলকাতাতে হওয়ার কথা।যাই হোক চটপটি খেতে অনেক ভালো লাগে শহরে গেলে মাঝেমধ্যে চটপটি খাওয়া হয়। টক যদি আরও একটু বাড়াই দেওয়া হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
চটপটি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে।বাইরে গেলে বা বাসায় বিকালের নাস্তার আয়োজনে এটা অনেকেরই পছন্দের তালিকায়।আমার ও অনেক পছন্দ চটপটি।আপনার উপস্থাপন করা সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ।
চটপটি আমার কাছে অনেক প্রিয় খাবার, মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান চটপটির দোকান থেকে চটপটি কিনে খাই। সৈয়দপুর বেশ কয়টি ভ্রাম্যমাণ চটপটির দোকান রয়েছে। বিমানবন্দর সড়কে , এবং ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সামনে চটপটির দোকানের চটপটি অনেক সুস্বাদু। আপনি চটপটি তৈরীর প্রক্রিয়াও বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আপনি দুইটা কমেন্ট করছেন। একটা ডিলেট করেন।
চটপটি আমার কাছে অনেক প্রিয় খাবার, মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান চটপটির দোকান থেকে চটপটি কিনে খাই। সৈয়দপুর বেশ কয়টি ভ্রাম্যমাণ চটপটির দোকান রয়েছে। বিমানবন্দর সড়কে , এবং ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সামনে চটপটির দোকানের চটপটি অনেক সুস্বাদু। আপনি চটপটি তৈরীর প্রক্রিয়াও বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ।