যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল পোস্ট অফিস
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা । সকলেই কেমন আছেন? সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন ছিল পোস্ট অফিস বা ডাকঘর।
বাংলাদেশের একসময়কার জনপ্রিয় ছিল পোস্ট অফিস বিশেষ সেবা। পোস্ট অফিসে চিঠি আদান-প্রদান করা হয়। তবে পোস্ট অফিসকে সাধারণত চিঠিঘর বলা হয়। আগেকার সময়ে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল পোস্ট অফিস। আগেরকার সময়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খবরাখবর আদান-প্রদানের একমাত্র পন্থা ছিল চিঠি। পোস্ট অফিসে অনেক চিঠি জমা হতো আর সেই চিঠি গুলো মানুষের মাঝে পৌঁছাইতো পিয়নের মাধ্যমে। পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন পিয়ন। আর পিয়ন বাড়ি বাড়ি এসে সাইকেলর বেল বাঁজাইতো আর ক্রিং ক্রিং শব্দে দৌঁড়ে গিয়ে চিঠি নিতো। আগেকার সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একমাত্র ছিল পোস্ট অফিস।আগেকার সময়ে মোবাইল ফোন ছিল না। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোয়ায় মোবাইল ফোনের ছোঁয়ার মানুষ চিঠিপত্র লিখে ভূলে গিয়েছে। শিল্পী মনির গানে শোনা যেত,চিঠি লিখেছে বউ আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে, লন্ঠন জ্বালাইয়া নিভাইয়া ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে এই গানটির সাথে পোস্ট অফিসের অনেক মিল।
আমাদের এলাকায় পোস্ট অফিস নেই বললেই চলে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে আমি ভবের বাজার যাওয়ার সময় রাস্তার পাশেই এই পুরনো ভবনটি দেখা যায় সেটি হলো পোস্ট অফিস। এই পোস্ট অফিসটি অনেক পুরনো। এই পোস্ট অফিসটি আমার জানামতে,এখনও চলে। তবে এই পুরনো ভবনটি একতলা বিশিষ্ট এবং দুটি কক্ষ রয়েছে। তবে এই ভবনটি অনেক পুরনো আর ধংস বিশেষ। আমি এই পোস্ট অফিসটির ছবি কাছে গিয়ে তুলি। আর পোস্ট অফিসটির চারপাশে ঘুরে দেখলাম। আমাদের এলাকায় আর এই রকম পুরনো পোস্ট অফিস নেই।
এরপর আমি এখানকার স্থানীয় লোকের কাছে থেকে শুনি এই পোস্ট অফিসটি ব্রিটিশ আমলেই তৈরি করা হয়। এই পোস্ট অফিসটি মন্মথপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছেই অবস্থিত। ছোটবেলায় দেখতাম পোস্ট অফিস থেকে পিয়ন সাইকেল নিয়ে বাড়ি বাড়ি চিঠি দিত। তবে দেখা যেত এই চিঠির আশায় অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকতো কখন চিঠি এসে পৌঁছেবে। এই চিঠি আসতে সময় লাগত ১৫ দিন বা ১ মাস ও সময় লাগত। সাইকেলর আওয়াজ পেলেই বাড়ি থেকে ছুটে গিয়ে দেখতে চিঠি এসেছে না কি। আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল পোস্ট অফিস। কালের বিবর্তনের হারিয়ে যেতে বসছে এই পোস্ট অফিস গুলো। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিভাইস | ভিভো ওয়াইটুয়েন্টি |
---|---|
ফটোশুট | পোস্ট অফিস বা ডাকঘর |
ক্যামরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @rahul989 |
লোকেশন | দোবলগাছী,যশাই হাট,পার্বতীপুর |
ফটো তোলার সময় | দুপুর ১ টায় |
---- | ---- |
আগের যুগের যোগাযোগের মাধ্যম পোস্ট অফিস এখন আর দরকার পড়ে না। এখন আধুনিক যুগ এখন সবকিছুই হাতের নাগালে তাই আর পোস্ট অফিসের বেশি দরকার হয় না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আগেকার দিনে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যোগাযোগ করত মানুষ চিঠির মাধ্যমে। সআইকেলের বেল এর কিরিং কিরিং আওয়াজ করে বলত চিঠি লাগবে ভাই চিটি এমনভাবে চিৎকার আর শুনতে পাওয়া যায় না প্রযুক্তির ব্যবহারে আজ বিলুপ্তির পথে পোস্ট অফিস।
ধন্যবাদ।
আগে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন ছিল পোস্ট অফিস। কোনো ব্যক্তি যদি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চিঠির মাধ্যমে কথা বলতে চাইতো তাহলে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
এই পোস্ট অফিস অনেক আগের। বর্তমানে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী। পোস্ট অফিসটি সংস্কার করে এখানে কোন মিউজিয়াম তৈরি করলে অনেক মানুষ তা দেখতে আসবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগের যুগে যোগাযোগ করার জন্য এখনকার মত মোবাইল ফোন ছিলনা।ছিলনা কোন তাড়াতাড়ি যাওয়ার মত যানবাহন।তখন ছিল পোস্ট অফিস এবং এই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সারাদেশে যোগাযোগ করা হতো চিঠির মাধ্যমে। দারুন লিখেছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
টুইটার লিংকঃ
https://twitter.com/Rahul989132/status/1667575377336893440?t=0utLDOmqLHRRbwIgLHU05g&s=19
আধুনিক যুগে প্রবেশ করে আমরা এখন সবকিছু সহজেই করতে পারি।আগে ডাক যোগে চিঠি সহ অনেক কিছু আদান প্রদান করতাম।কিন্তু এখন সব অনলাইন এ করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট অফিস এখনো রয়েছে, তবে আগের মতো আর কার্যক্রম নেই। ছোটবেলায় অনেক চিঠি এই পোস্টঅফিসের মাধ্যমে পাঠিয়েছি। বর্তমানে চাকরির আবেদন বা বিশেষ কোন কাগজ ছাড়া পোস্ট অফিসে কিছু আসে না। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল।
প্রাচীন কালে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল পোস্ট অফিস। এর মাধ্যমে চিঠি দিয়ে আগেরকার মানুষ তথ্য আদান-প্রদান করতো। আপনার তোলা এই পোস্ট অফিসের ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক পুরনো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট অফিস নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।