প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অবিরাম। সকলেই কেমন আছেন?, আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। কলার মোচাড় ঘন্টের রেসিপি নিয়েই হাজির হয়েছি
কলার যেসকল পুষ্টিগুন রয়েছে কলার মোচাতেও সেরকম পুষ্টিগুন রয়েছে। কলার মোচাতে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এরপর দেহ সুস্থ ও সবল থাকে। আমাদের সকলের এই কলার মোচার রেসিপি করে খাওয়া প্রয়োজন। এতে করে আমাদের শরীরে কোন রকম দূর্বলতা না আসার সম্ভবনা রয়েছে।
উপকরণের নাম | পরিমাণ
কলার মোচা | ১টি |
মরিচ | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমাণ মতো |
জিরা বাটা | ২চামুচ |
আলু | ৫০০গ্রাম |
হলুদ | ২চামুচ |
আদা | ১চামুচ |
তেল | ১২৫ গ্রাম |
প্রথমে কলার মোচা ভালভাবে বেছে নিলাম।
এরপর মোচায় পানি ঢেলে দিলাম যাতে মোচার কালো হয়ে না যায়।
এরপর ৫০০ গ্রাম আলু গুলো কুঁচিকুঁচি করে কেটে নিলাম। তারপর আলুগুলোতে পানি ঢেলে দিলাম।
এরপর মোচা ও আলুগুলো ভাল করে ধুয়ে পানি ছাড়িয়ে নিলাম।
এবার রান্না শুরু করা যাক, কড়াইতে পিয়াজ ঢেলে নেড়ে দিলাম যাতে পিয়াজে থাকা পানি গুলো চুসে নেয়।এরপর পিয়াজে ১২৫ গ্রাম তেল ঢেলে দিলাম।
পিঁয়াজ গুলো লাল লাল করে ভেজে নিলাম।
এরপর পিঁয়াজ লাল করে ভেজে নেয়া হলে আলু আর মোচা ঢেলে দিলাম।
এরপর সমস্ত রকমের মসলা বাটা ঢেলে দিলাম।
এরপর মসলা বাটা গুলো ভালভাবে নেড়ে দিলাম যাতে পুরো তরকারিতে ছড়িয়ে যায়।এরপর ১০ মিনিট কসে নিলাম।
এরপর ভালভাবে কসে নেয়া পর পানি ঢেলে দিলাম পরিমান মতো।
এরপর কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখলাম ১০ থেকে ১৫ মিনিট।১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে রান্না হয়ে যাবে।
এরপর ঢাকা খুলে তরকারির ঝোপগুলো রেখে নামিয়ে নিলাম।
অবশেষে তরকারি পরিবেশেন করার জন্য একটি চিনামাটির বাটিতে কলার মোচার ঘন্টো ঢেলে নিলাম।এই কলার মোচার কম বেশি সকলের প্রিয় খাবার। কলার মোচা ঘন্ট একটি সুস্বাদু নিরামিষ রান্না।এগুলো রুটি, পরোটার সাথে খেতে ভাল লাগে।গরম ভাতের সাথে খেলেও এর স্বাদের কোন তুলনা হয় না। তবে এই কলার মোচার ঘন্টো গ্রামের লোকজন বেশি খেয়ে থাকে।
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ রাহুল । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @rahul989। আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়াশোনা শেষ করছি এখন ব্যবসার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতেছি। আমি ফটোগ্রাফি অনেক ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। অংকন করতে ভালবাসি এবং তাছাড়া আমি ও নিজেই ভাল ভাল রান্না রেসিপি করি।সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
You can also vote for @bangla.witness witnesses
|
---|
কলার মোচার ঘন্ট আজকে প্রথম দেখলাম ভাই। নাম টাও প্রথম শুনলাম। আপনার পোস্টটি দেখে বুঝতে পারলাম রেসিপি টা আসলেই অসাধারণ। খাওয়ার অনেক ইচ্ছে জাগলো। আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অসাধারণ রেসিপি, কখনো কলার মোচার ঘন্ট খাওয়া হয় নাই, তবে দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক লোভনীয় খাবার। আপনার রেসিপি ফলো করে বাসায় একদিন চেষ্টা করবো দেখি পারি কিনা। আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
কলার মোচা রান্না করে খেতে বেশ মজার হয়। মোচার সাথে ছোট মাছ মিশিয়ে রান্না করলে বেশ মজা লাগে খেতে। আপনি বেশ চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি প্রতি টি ধাপ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক ভালো রান্না করেন এর কোনো জুড়ি নাই।কলার মোচার ঘন্ট আমি বানাই নাই কখনো তবে বানাই খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ভাই । যেকেউ চাইলে আপনার এই রেসিপির মাধ্যমে বানাতে পারবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার হল এই কলার মোচা। কলার মোচা আসলে খেতে খুব ভালো লাগে ভাই।আমি জীবনে হয়তো পাঁচ থেকে সাত বারের মতো এই কলামোচা খেয়েছি।মা ঘন্ট করতো।আপনার রেসিপিটি বেশ ভালোই হয়েছে ভাই ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে দেখে ভালো লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামাঞ্চলের অতি পরিচিত একটি কলার মোচার তরকারি। খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে আমি সাধারণত কলার মোচার ভাজি খেয়েছি শুটকি আলু বেগুন দিয়ে কিন্তু ঘন্টো কখনো খাওয়া হয়নি। কলার মোচার উপকারিতা অনেক যেমন মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে। মোচায় লৌহ থাকায় এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ সহায়তা করে। মোচার মধ্যে যেই পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায় তাতে সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আমিও বাড়িতে রান্না করার চেষ্টা করব।
সুন্দর কমেন্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এই রকম কলার মোচড় অনেক দিন থেকে খাওয়া হয় নাই। কলার মোচড় এর তরকারি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলা খুব সুন্দর হয়েছেই। আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কালার মোচার ঘন্ট কত খেয়েছি। কলা গাছে কালর মোচা থেকে কলা বের হওয়া শেষ হলে এই মোচাটি কেটে ফেলা হয়। সেটি দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু কলার মোচার ঘন্ট। এছাড়াও এই মোচা দিয়ে তৈরি করা হয় এক ধরনের বরা। যা খেতে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।