নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে শখের কাচের চুড়ি
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের আমার ছালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাচের চুড়ি অন্যতম। কাচরে চুড়ির কদর কমে গিয়েছে। কালের বিবর্তন এসব কাচের চুড়ি বা রেশমি চুড়ির আর তেমন দেখা যায় না।
চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ শুনলেই মনে হয় যেন কোথাও মেলা বসছে। চুড়ির সাজ প্রাচীন ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম এদেশের। আগেকার লোকের রীতি ছিল কাঁচের চুড়ি বর পক্ষ নিয়ে না আসলে কনের পক্ষের সাথে সমস্যার সৃষ্টি হতো। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে মানুষের পরিবর্তন এসেছে। তবে চুড়িতে দেখা মিলে বিভিন্ন বৈচিত্র্য। চু্রি পড়া নিয়ে কারো কোন বিধিনিষেধ ছিল না। তবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে যেভাবে পারে চু্ড়ি পরত। চুড়ি থাকলে সাজটাই অন্যরকম লাগে।চুড়ি হাতের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় বটে।
বাংলার নববর্ষ, পূজা, ঈদ,এবং যে কোন জাতীয় দিবসেও নারীর হাতে চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ বেজে উঠত। যেকোন উৎসব বা অনুষ্ঠানে কাচের চুড়ির জনপ্রিয়তাই ছিল অন্যরকম।কাচের চুড়ির পাশাপাশি অন্যান্য আরো চুড়ির জনপ্রিয় ছিল। প্রাচীনকালে দেখা যেত সিন্ধু সভ্যতা থেকে নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাচের চুড়ির প্রচলন ছিল।তবে মধ্যযুগে এসে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।তবে নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকমের রঙ বেরঙের কাচের চুড়ির ছিল।
ছোটবেলায় দেখতাম গ্রামে গ্রামে ফেরিওয়ালা আসতো বিভিন্নরকমের জিনিসপত্র নিয়ে আর ডাক দিতো চুড়ির লাগবে না কি কাচের চুড়ি, বিভিন্ন রকমের চুড়ি যদি আগেকার দৃশ্য গুলো আর তেমন চোখে পড়ে না। সেই সময়ে ফেরিওয়ালা কাছে ভিড় লেগে যেত কাচের চুড়ি নেয়ার জন্য। সাজ আর পোশাকের বিবেচনা করলেই কাচের চুড়ির ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেছে।তবে সাজ করার জন্য অনেকেই কাচের চুড়ি পড়ে থাকে। এখনো দেখা যাই অনেকেই চুড়ি পড়ে না। তবে কাচের চুড়ি গুলো মেয়েরা যন্ত সহকারে রেখে দিয়েছে স্মৃতি হিসেবে।আগেকার মতো আর ফেরিওয়ালাদের আর গ্রামগঞ্জে দেখা যায় না। কাচের চুড়ির দাম ছিল ৩০-৫০ টাকার মধ্যে হয়তো।তবে কাচের চুড়ির নকশা অনুযায়ী। তবে একদম সাধারণ কাচের চুড়ি বা রেশমি চুড়ির দাম সাধারণ চুড়ির মতোই প্রতি ডজনে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
সময়ের সাথে সাথে মানুষের পরিবর্তন ঘটেছে। তবে বর্তমান সময়ে এই কাচের চুড়ির আর দেখা যায় না। যদিও বা দেখা যায় তাহলে হয়তো আলমারিতে সাজিয়ে রাখার দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই না।আগেকার সময়ে কাচের চুড়ির কদর ছিল আর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চুড়ি পড়তো। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
ঠিক বলেছেন ভাই। বর্তমানে এইসব চুড়ি খুব কম ব্যবহার করে। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে এসব জিনিস ভুলে গেছে।অসাধারণ একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই,শুভকামনা রইল
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কাঁচের চুরি আমার ও অনেক পছন্দের। সুন্দর ছবি তুলেছেন। আপনার লেখাটি পড়ে ভালোই লাগল।
ধন্যবাদ।
আসলে ভাই মেয়েদের সৌন্দর্য এই কাঁচের চুড়ির মাধ্যমেও বাড়ে। কথায় আছে মেয়েদের হাতে চুড়ি আর ছেলেদের হাতের বি*** একেবারেই অসাধারণ কমিউনিকেশন। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ।
নারীর রুপ সজ্জার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চুড়ির কোন বিকল্প নেই। শাড়ীর সাথে চুড়ি পড়লে সকল নারীদের সুন্দর লাগে। বিশেষ করে কাঁচের চুড়ি। চুড়ি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ।
নারীর রুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাঁচের চুড়ির জুড়ি নেই। কাঁচের তৈরি চুড়ি মেয়েদের পড়লে অসাধারণ লাগে। তবে কাঁচের চুড়ির শব্দটি শুনতে ও ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচের চুড়ি পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।এগুলো সব ধরনের মনোহারী দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। চুরি মূলত মেয়েদের শখের একটা জিনিস। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নারী শাড়ি আর চুড়িতেই নারী, নারীর সৌন্দর্যের চুড়ির ভূমিকা অপরিসীম। কাচের চুড়ি নারীদের অনেক পছন্দের। চুড়ি নিয়েও অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মেয়েরা হাতে চুরি পড়তে বেশ পছন্দ করে। চুরি হাতে পড়লে মেয়েদের দেখতে বেশ চমৎকার লাগে।মেলায় বিভিন্ন রকমের চুরি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।