গ্রামবাংলার রীতি অনুযায়ী বিয়ে অনুষ্ঠিত
স্টিম ট্রাডিশন কমিউনিটি |
---|
আসসালামু আলাইকুম,
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
আমাদের দেশের বিবাহপ্রথা বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাচীনকালের প্রথা হয়ে থাকে।আমাদের দেশের বিয়েকে "বিয়ে" এবং "বিবাহ" নামে ডেকে থাকে। অঞ্চলভেদে বা আঞ্চলিক ভাষায় আরো বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমনঃ বিয়া বা বিয়্যা তবে হিন্দী ভাষায় বলে থাকে শাদী। তবে বিয়ের তিনটি অংশ মুলত গায়ে হলুদ,বিয়ে এবং বৌভাত। বিয়ে মুলত প্রথম ঘটকি দিয়ে ঠিক করা হয়। মুসলমানদের বিয়ে সাধারণত বাড়িতে কিংবা কমিউনিটি সেন্টারে হয়ে থাকে।কাজি বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করে। দুই পক্ষের উপস্থিততে কাজি ডেকে এনে বিয়ে পড়ানো হয়। তবে বর বা কনের সম্মতিতে হয়ে থাকে।বিয়ের সময় খুতবা পাঠ বা দম্পতির সুখের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয়। তবে হিন্দু ধর্মীয় লোকদের বিয়েতে পুরোহিত মন্ত্রপাটকের বিয়ে পড়ান হয়।
গায়ে হলুদ হলো বিয়ের মুল আর্কষণ। গায়ে হলুদ বিয়ের আগে অনুষ্ঠিত হয়। আগেকার সময়ে দেখা যেত বিয়ের গায়ে হলুদে গীত গাওয়া হতো। গ্রামের অনেক মহিলা আছেন তারা গীত গেয়ে গায়ে হলুদকে জাকযমোক করে তোলে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় গায়ে হলুদে গীত না গেয়ে বড় বড় সাউন্ড সিস্টেম বক্স বাজিয়ে মুলত গায়ে হলুদ করা হয়। গায়ে হলুদে সাধারণত বর এবং কনকে গায়ে হলুদ মাখানো হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানটি সাধারণত দুই পক্ষের লোক উপস্থিত হয়। বিশেষ করে কনপক্ষে এবং বরপক্ষ অতিথি হিসেবে এসে উপস্থিত হন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষ তার আত্মীয় স্বজন,প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব নিয়ে উপস্থিত হন। সাধারণত বর ও কনের জন্য আলাদা আলাদা স্থান নিধারিত করা হয়। বর গিয়ে নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে বসেন। মুসলমানদের বিয়েতে একজন কাজির দ্বারাই পড়ানো হয়। প্রথমে বর ও কনপক্ষের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে বিয়েতে সম্মতি জানানো হয়। এভাবেই বিয়ের মুল অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়। এরপরে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শুরু হয়।বরপক্ষের জন্য বিশেষ একটি আলাদা প্লেটে খাবার সাজানো থাকে।এছাড়াও বর ও কনে পক্ষের অতিথিদের আলাদাভাবে খাবার পরিবেশিত হয়। খাওয়া দাওয়ার পর শেষে বর ও কনের উঠানোর পালা।
বিয়ের অনুষ্ঠানের একদিন বা দুইদিন পরে বরপক্ষের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বৌভাত৷ বৌভাতে বরপক্ষ তাদের আত্মীয় স্বজন,প্রতিবেশী ও কনেপক্ষের আত্মীয় স্বজনরা এসে খাওয়া দাওয়া করে।বিয়ের দাওয়া খাওয়ার পর বর কনের আত্মীয় স্বজনদের কাছে পান সাজিয়ে নিয়ে যান। এরপর পানের ডাবরে পান সাজানো থাকে। বর পান সুপারি সবাইকে খাওয়ায় আর পরিচিত হয়ে থাকেন। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://twitter.com/Rahul989132/status/1692206192909820046?t=YU9gB7zIQLmzdMfiVT1Yvg&s=19
বিয়ের রীতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্রাম্য সংস্কৃতিতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বউ মাসআল্লাহ অনেক সুন্দর আছে। বউ দেখি বিয়ের আনন্দে অনেক খুশি হয়েছে। গীত খাওয়ার ট্রাডিশন আজ থেকে ১০ বছর আগের ছিলো কিন্তু বর্তমানে আর বক্সের অত্যাচারে গীত দেখতে পাওয়া যায় না। বিয়ে নিয়ে আপনার অনেক অবিজ্ঞতা হয়েছে দেখি। বর্তমানে বউ ভাতের অনুষ্ঠান আর তেমন হতে দেখা যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের বিয়ের প্রায় সব বিষয় আপনি আপনার আলোচনায় তুলে ধরেছেন ভাই। গ্রামের বিয়ে গুলোতে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে অনেক রীতি মেনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। হলুদ থেকে শুরু করে বৌভাত পর্যন্ত সব পরিস্থিতিতে এখন বক্স বাজানো হয়। বিয়ে বাড়িতে এখন বক্সের কারণে গীতের তেমন একটা প্রচলন নেই। ভাই আপনার ফটোগ্রাফিতে আপনি ছাড়া বরের পাশের লোকটি আমার চাচা হয় 😊। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সাজাতে হলে প্রতিটি মানুষকে বিয়ে করতেই হবে। গ্রামের বিয়েত অনেক আনন্দ হয়। বর বউ এর জন্য শুভ কামনা রইলো। অনেক ভালো লাগলো ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
বর্তমানে বিয়ে অনেকগুলো অংশে ভাগ করা হয়েছে। আগে গায়ে হলুদ, বিয়ে ও বৌভাত এই তিনটি অংশ থাকলেও বর্তমানে প্রিওয়েডিং, ব্যাচেলর পার্টি, মেহেন্দি পার্টি, হলুদ ছোঁয়া, ওয়েডিং ডে, রিসিপশন। মজার বিষয় হলো এখন কেউ এগুলো বাংলায় বলতপ চায় না সবাই ইংরেজিতে এই অনুষ্ঠানগুলোর নাম বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে । আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিটি বিষয় খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। অঞ্চলের বিয়ে সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
বিয়ে হল একটি ধর্মীয় ও সামাজিক নীতি। এতে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। বাঙালির বিয়ে মানে আনন্দ। আমাদের বাড়িতে কারো বিয়ে হলে সবাই গীত গায়। কোন প্রকার বক্স বাজানো হয় না। আমার দাদি অনেক ভালো নাচতে পারেন।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বিয়ে বাড়িতে কিছু হোক আর না হোক খাওয়া-দাওয়া কিন্তু বেশ ভালই হয়। বরের সাথে খেলে পশুর পরিমাণে খাওয়া হয়। আস্ত খাসি বড় বড় মুরগি বড় বড় মাছ এসব খাবার তুলনাই হয় না। কিন্তু আমি কখনো হিন্দুদের বিয়ে দেখিনি এটা দেখার আমার অনেক দিনের ইচ্ছা। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আর অনেক সুন্দর পোস্ট লিখেছেন।
বাহ্ অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। গায়ে হলুদ, বিয়ে, এবং বৌভাত নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনি ঠিক বলছেন আগের দিনে গায়ে হলুদের দিন গ্রামের মানুষ গীত গেয়ে গায়ে হলুদ জাকজমক করে।তবে বর্তমান সময় সবাই সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত করে।আপনি সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।