মাটির তৈরি বাটনা নোড়া গ্রামাঞ্চলে এখনও প্রচলিত
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অবিরাম । সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি লিখতে যাচ্ছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে। যা আমাদের রান্নার কাজে প্রতিনিয়ত প্রয়োজন । আর এই ঐতিহ্যটি হল মাটির বাটনা বা গ্রাম্য ভাষায় বলে থাকি মাটির তৈরি সারোয়া।
মাটির বাটনা বা সারোয়া হল মাটি দিয়ে তৈরি। বাটনায় সাধারণত তরকারি উপকরণ হিসেবে মসলা বাটা ও ভর্তা করা হয় ।মাটির বাটন বা সারোয়ায় ধার দেয়া থাকে। বাটনা ধার গুলো আড়া আড়া করা থাকে তাই খুবই সহজে মসলা বাটা যায়। বাটনা সাধারণত গোলাকৃতির একে বাসন বলে। মাটির তৈরি বাটনা থেকে শুরু অনেক জিনিসপত্র গুলো মৃৎশিল্প বলা হয়। বাটনা গুলো মাটির তৈরি এবং এগুলো বিভিন্ন রকমের নকশা করা হয়। নকশা অনুযায়ী এগুলোতৈ আড়া আড়িভাবে ধার দিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে মসলা বাটার কারনে ধার গুলো ক্ষয় হয়ে যায়। বাটনায়,একেবারে ধার উঠে গেলে এগুলো মসলা বাটা যায় না বরং নতুন বাটনা কিনে নিতে হয়।
মাটির তৈরি জিনিসপত্র সাধারণত কুমারের হাতের তৈরি হয় আর এগুলো মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরণ হিসেবে এঁটেল মাটি ব্যবহার হয়। বাটনা তৈরিতে এঁটেল মাটি অনেকটায় নরম এবং আঠালো হয়ে থাকে। যা কুমারের তৈরি করতে অনেক সহজ হয়। এগুলো মৃৎশিল্পের জন্য বিশেষ উপযোগী। আবার দেখা যায় এঁটেল মাটি শুকিয়ে গেলে অনেক শক্ত হয় এবং সহজেই ভাঙ্গতে চায় না। মাটি সাধারণত প্রথমের দিকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নরম করে রাখতে হবে এবং কাঁদামাটি তৈরি করা। মাটি নিদিষ্ট পরিমানে মেখে নেয়ার পর মন্ড করা হয়। মাটির গুলো চাকায় ঘুরিয়ে গোলাকৃতির ছঁচ করা হয়। বাটনার আকৃতি হয়ে গেলে নকশা দেয়া হয়। তারপর বাটনা গুলো রোদে শুকাতে দেয়া হয়। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে আগুনে পুড়িয়ে নেওয়া হয়।ব্যাস বাটনা প্রস্তুত।
বাটনায় সাধারণত মসলা জাতীয় দ্রব বাটা হয়।বাটনায় যে কোন রকমের ভর্তা তৈরি করার জন্য বিশেষ উপযোগী। ভর্তা করা সহজ হয় বাটনায়। ভর্তা থেকে শুরু করে মসলা পর্যন্ত মিহি করে বাটা হয়। বাটনা বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকে। অনেকই মসলা,ভর্তা বাটে আবার অনেকেই মাছ ঘষার কাজে ব্যবহার করেন। সহজেই মাছ পরিষ্কার করা হয়। বাটনায় বিশেষ ভাবে বাঁশের তৈরি হাতলবিশিষ্ট যন্ত্র হিসেবে বাটা হয়। বাঁশের তৈরি নোড়া বাটনার কাজে লাগে। বাঁশের তৈরি নোড়া বাটনায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বাঁশের তৈরি নোড়া আমাদের বাটনায় বিশেষ উপযোগী। নোড়া তৈরির জন্য বাঁশের প্রয়োজন। নোড়া মাকলা বাঁশের মুড়া দিয়ে বানিয়ে থাকেন। বাঁশের মুড়াগুলো নির্বাচন করা সাধারণত বাঁকা মুড়ার নোড়া। বাটনা বা নোড়া একে অপরের পরিপূরক বলা হয়। বাটনা ছাড় যেমন নোড়া অচল তেমনি নোড়া ছাড়া বাটনা অচল।আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
গ্রাম অঞ্চলে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে মাটির তৈরি আসবাবপত্র। মাটির তৈরি বাটনা তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। মাটির তৈরি বাটনা দিয়ে সহজে মরিচ পেয়াজ বাটা হয়ে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
মাটির তৈরি বাটনা আমাদের অনেক কাজে লাগে। মশলা বাটার জন্য। উত্তরাঞ্চলের মানুষ এ বাটনা বেশি ব্যবহার করে। আমার বাসায় এরকম একটা বাটনা রয়েছে। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য বাহী বাটনা নোড়া নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি কন্টেন্ট শেয়ার করেছেন। এগুলো আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে নিয়োজিত জিনিসপত্র।এগুলো মসলা বাটা ও ভর্তা করার কাজে লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম অঞ্চলে বাটনা বা নোড়া এর ব্যবহার বেশি প্রচলিত। বাটনা বা নোড়া দিয়ে গ্রামের লোকেরা পিয়াচ,রসুন, আদা, মরিচ,মসল্লা প্রভূতি পিষে মিহি করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাটনা বা নোড়া নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
বাটনা বা নোড়া নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে এই বাটন ও নোড়া ব্যবহার করে থাকি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে ধাপে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামাঞ্চলে এসব বাটনা গুলো দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মসলা জাতীয় জিনিস গুলো বাটা হয় এবং তরকারিতে দেওয়া হয়।এই বাটনাগুলো মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়।কুমোর এরা এসব তৈরি করে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
মাটির তৈরি বাটনা ও কাসা নিয়ে অসাধারণ লিখেছেন। আমাদের বাড়িতে বাটনা আছে। আমার মা এই বাটনা ব্যবহার করে থাকে। এই বাটনার মাধ্যমে মরিচ বাঁটা,রসুন বাটা,পিয়াজ বাঁটা ও মসল্লা বাঁটা করে থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ভাই।
ধন্যবাদ।
বাটনা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই, বাটনা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের এক পুরনো দিনের ঐতিহ্য, এই বাটনার মধ্যে আমরা অনেক ধরনের জিনিস গুড়ো করি,মসলা থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিস, আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
পার্বতীপুরে যখন ছিলাম তখন এগুলোর ব্যবহার অনেক দেখেছি।আমাদের এলাকায় এটার সাথে তেমন কেউ পরিচিত না। বাটনা দিয়ে বিভিন্ন রকম ভর্তা এবং মসলা বাটা যায়। আপনার পোস্ট দেখে ভাই অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য