প্রাচীনকাল থেকেই হাতুড়ি পিটিয়ে যাদের সংসার চলে
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম, স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকলকে আমার ছালাম ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অবিরাম। সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।প্রাচীনকাল থেকে লোহাকে আগুনে কয়লার দিয়ে পুড়িয়ে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে মনপ্রাণ দিয়ে কামাররা তৈরি করছে নানা ধরনের জিনিসপত্র।কামারেরা সাধারণত তাদের দোকানে হাতুরি পেটানোর শব্দে টং টাং শব্দে গোঠা বাজার বা কামারশালা মুখরিত করে তোলে।
বর্তমান সময়ে লোহা শিল্প পেশাগতভাবে কামার গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারকৃত লৌহজাত সামগ্রী বানিয়ে থাকে। কামারের কাজ হলো কামারশালায় হাপর দিয়ে কয়লায় আগুন দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী বানায়। আগুনে লোহা গরম করে পিটিয়ে বিভিন্ন রকমের তৈজসপত্র তৈরি করে। আমরা জানি যে কামারেরা সাধারণত বাজারে বা গ্রামে গ্রামে করে ঘুরে ঘুরে দা,কোদাল,বটি,বালতি ইত্যাদি দ্রব্যসামগ্রী বানিয়ে থাকে।
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি শিল্প হলো কামারশিল্প।সাধারণত আমরা দেখি যে বাজারে অনেকভাবেই কামারেরা দোকান দিয়ে বসে আছে। তবে তারা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এই কামারশিল্পকে বুকে আঁকড়ে ধরে আছে।বিশেষ করে কামারশিল্পের কাজ সব সময় হয়ে থাকে মোটামুটি। কিন্তু দুই সময়ে কামারেরা বিশেষ ভাবে অর্থ উপার্জন করে সেটা হচ্ছে ঈদুল আযহা বা আমনধানের সময়। বিশেষ করে ঈদুল আযহার সময়ে প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করে থাকে। তবে প্রাচীনতম বাংলার কামার শিল্প এইসময়ে তারা তাদের জীবন ফিরে পায়। এমন সময় কাটে সেসময় যে দম বা নিশ্বাস ফেলার সময় থাকে না।
আধুনিকতার ছোয়ায় এইসব কামার শিল্প অনেক ক্ষতি গ্রস্তের দিকে বা হারিয়ে ফেলছে তাদের পেশা। চাহিদা মেটাতে না পারা লোহা বা শ্রমিকের মজুরির টাকা দিতেই হিমশিম খেতে হয় তেমন বেচাকেনা না হয়। দরকারি জিনিসপত্রের অভাব আর আধুনিকতার ছোয়ায় বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র পাওয়ার আশায় গ্রামগুলোতে কামারদের আর দেখা যায় না প্রায় বিলুপ্তির পথেই। তারা একমাত্র তাদের বংশ পরম্পরায় এই কামার শিল্পকে ঠিকে রাখতে এই পেশাকে ধরে রাখছে অনেক সময় কামাররা সাধারনত মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দা-বটি, কাস্তে, লাঙ্গলের ফলা, কোদাল, নাইংল্যা, সাবল, খুন্তা, কোরাল, ট্যাঙ্গি, তারকাঁটাসহ বিভিন্ন প্রকার লোহার হাতিয়ার তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে।
প্রাচীনকালের ঐতিহ্য হিসেবে কামার শিল্প বিশাল ভুমিকা পালন করেছে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় বা অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি তৈরির ফলে হাতের তৈরি লোহার জিনিসপত্র মানুষ এখন তেমন বযবহার করছে না। বাজারে বিভিন্নরকমের ধাতব দ্রব্যের আধুনিক উপকরণগুলো হাতের কাছেই পাওয়ার কারনে মানুষের চাহিদা কমে গেছে লোহার তৈরি উপকরণ বা জিনিসপত্রের উপর তেমন আগ্রহ বা চাহিদা নেই বর্তমান সময়ে।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
একটি ঐতিয্যবাহী পেশা কামার শিল্প। প্রাচীন কাল থেকে আজ অবধি টিকে আছে। কামার পেশায় জড়িত বেশির ভাগ মানুষেই এই পেশা করে জীবীকা নির্বাহ করে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন মামা ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
কামারের তৈরি হস্তশিল্প আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি।এটি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। এরা হামার পিটিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই।
আপন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কামার যেগুলো তৈরী করে আসলেই ভাবার বিষয় অসম্ভব সুন্দর করে তোলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যবতীয় কাজের জিনিস। আপনি খুব ভালো পোস্ট করেছেন ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই, যারা হাতুড়ি পিটিয়ে কাজ করে তারা আমাদের মাঝে প্রচীনকাল থেকে রয়েছে,আবার কেউ কেউ এই কাজ করা ছেড়ে দিয়েছে, যাদের বাপ দাদারা এগুলো কাজ করতো তাদের বংশ পরিচয়ের জন্য এখনো এগুলো কাজ করে,আর তারা এগুলো কাজ করে তাদের সংসার চালায়, আপনার পোস্ট পরে আমাকে খুব ভালো লাগলো ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল একটি মন্তব্য পোষন করার জন্য।
কামার এর হস্ত শিল্প আমাদের ঐতিহ্য। হামার পিটিয়ে চলে এদের সংসার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। অনেক তথ্য তুলে ধরছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই।
কামারশিল্পের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল এই শিল্পের পরিসর দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। কামারদের আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করলে কামার শিল্প হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে। ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্পের উন্নতির জন্য কামারদের সহযোগিতা করা জরুরি।
সুন্দর একটি মন্তব্য পোষন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার মতে যারা কামার পেশার সাথে যুক্ত, তাদের পরিশ্রম বাকি সকল পেশাজীবের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে থাকে। লোহা উত্তপ্ত করে তারপর পিটিয়ে বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বানানোর কাজ করে থাকেন কামারেরা। কামারদের পেশা অনেক সম্মানজনক পেশা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কামার নিয়ে এই পোস্টটি করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
কামার দিন রাত হাতুর পিটিয়ে নানা রকম জিনিসপত্র তৈরি করে। আবার সেগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি। তাই তাদের পরিশ্রম টা অনেক বেশি। কারণ তাদেরকে আগুনে পোড়া লোহা পিটিয়ে বানাতে হয়। আপনারা পোস্ট সুন্দর হয়েছে।