পান বেটে খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। বৃদ্ধ লোকদের পান বেটে খাওয়ার জন্য কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা ব্যবহার করে আসছে।
তামা, কাঁসা ও পিতলের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তবে কাঁচমাল এর থেকে কিছুটা আলাদা। কাঁসা তৈরি হয় তামা ও টিনের মাধ্যমে। দস্তা আর তামা গলিয়ে বানানো হয় পিতল। কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র শুধু পুরনো যুগে জমিদারবাড়ির জন্য শোভা ছিল এই ধাতব তৈজসপত্র। কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র গুলো শুধু নিত্যব্যবহার্য। এছাড়াও উপহার হিসেবে এই কাঁসার জিনিসপত্র গুলো ছিল অনেক দামি। আগেকার সময়ে দেখা যেত পূজা কিংবা বিয়ের উৎসবে এসব তৈজসপত্র পিতল, কাঁসা ও তামার ব্যবহার দেখা যেত। প্রাচীনকালে দেখা যেত জমিদার বাড়িতেই এসব কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্র গুলো।কিন্তু বিশেষ করে পান বেটে খাওয়ার জন্য এই কাঁসার হামানদিস্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা গুলো দেখতে সোনালি রঙের হয়।
কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা সাধরণত খুব একটা বড়৷ আকারের হয় না। মাঝারি আকারে হয়ে থাকে এই কাঁসার তৈরি হামু। কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা সাধরণত পান বেটে খাওয়ার জন্য। আগেকার সময়ে কিন্তু পিতলের বা কাঁসার হামু বা হামানদিস্তার দাম তেমন ছিল না। আগে এগুলো কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই ছিল।যারা বৃদ্ধ পান খাওয়ার মতো সার্ধ্য ছিল একমাত্র তারাই এই কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তায় পান পিশে খেত।প্রাচীনকালে জমিদার বাড়িতে বেশি পরিমাণে কাঁসার বা পিতলের যে কোন তৈজসপত্রের ব্যবহার ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে কাঁসার তৈরি তৈজসপত্র গুলো হারিয়ে গেছে। আমি বেশ কিছুদিন আগে হামু বা হামানদিস্তা নেয়ার জন্য দিনাজপুরে যাই। এরপর প্রথমত আমি কাঁসার তৈরি হামানদিস্তা গুলো দেখলাম এরপর এর দাম জিঙ্গেস করলাম। তারা বললো এই হামু গুলো সাধারণত মাঝারি আকারে হয়ে থাকে। এই গুলো যেহেতু কাঁসার তৈরি এর দাম একটু বেশি। তারা প্রথমে ১৫০০ টাকা দাম বলে এরপর আমি ১২০০ টাকা বলে চলে যেতে ধরি। তারপর তারা আমাকে ১২০০ টাকায় কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা দিয়ে দেয়।এই হামু বা হামানদিস্তা গুলো সোনালী রঙের দেখতে বেশ ভাল। আর সহজেই পান বেটে মিহি করে খাওয়া যায়। কাঁসার তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা বর্তমানে কমে যাওয়ার এর চাহিদা তেমন নেই। কিন্তু এখনো অনেকেই এই কাঁসার জিনিসপত্র ব্যবহার করে আসছে। কাঁসার তৈরি হামু বা হামানদিস্তা টেকসই বেশিদিন। আমার পোস্টে কোনরকমের ভূলুণ্ঠিত হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের বাড়িতে বেশ বড় আকারের একটি এইরকম হামু গাইন আছে। আমাদের এলাকায় এটাকে হামু গাইন বলে। ছোটবেলায় দেখেছি আমার আম্মু এটায় পিঠা বানানোর জন্য চাল গুড়ো করতো, শিদল বানানোর জন্য কচু আরো কতো কি করতো এটাতে। এগুলো আমাদের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
টুইটার লিংকঃ
https://twitter.com/Rahul989132/status/1679172854678716420?t=1PqJcK2zFIk5STMghOoAKA&s=19
কাঁসার তৈরি হামানদিস্তা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। এই কাঁসার তৈরি হামানদিস্তা সাধারণত বয়স্ক লোকেরা পান বেটে খাওয়ার কাজে ব্যবহার করে থাকে। প্রাচীন কালে কাঁসার জিনিসের ব্যবহার ছিল বেশি।এখন এসব কাসার জিনিসের ব্যবহার খুব কমেই দেখা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
কাসার তৈরি এসব হামানদিস্তা গুলো বর্তমানে আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের বাড়িতে আগে একটি ছিল তবে এখন আর নেই। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাই দারুন লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
কাসার তৈরি হামানদিস্তা দেখাই যায় না। এগুলো আমাদের অতি পুরনো ঐতিহ্য। পান সুপারি মিহি করে খাওয়ার জন্য আগের দিনের মুরুব্বীরা ব্যবহার করতো। আমার দাদীর একটা ছিলো। সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁসার তৈরি হামানদিস্তা বর্তমান সময়ে বিলুপ্ত প্রায়। কেননা এই কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র এখন খুবই কম পাওয়া যায়। কিন্তু ১০-১৫ বছর আগেও মানুষ এই কাঁসার তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করত। সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
আমার দাদির এমন হামানদিস্তা রয়েছে যা দিয়ে পান পিষে খায় দাদ। প্রায় ৫০ধরে এই হানাদিস্তা ব্যবহার করে দাদি। আগেকার সময়ে অনেক বেশি ব্যবহার করতে দেখা গেলেও এখন তেমন দেখতে পাওয়া যায় না।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার দাদুর এমন একটি হামান দিস্তা রয়েছে। এগুলো দিয়ে মূলত পান বেটে খাওয়া হয় যেহেতু এগুলো ছোট। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এমন হামানদিস্তা রয়েছে। অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ।
কাঁসার তৈরি হামু নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই। আমি কাঁসার তৈরি হামু ঠিক মতো এখনো দেখি নাই। এগুলো মনে হয় আগের দিনে ব্যবহার হত।আপনি ছবি গুলো সুন্দর ভাবে তুলছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঁসার তৈরি জিনিসগুলো একসময় কল্পনা মনে হবে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন আমাদের মাঝ থেকে পুরনো এই জিনিসগুলো। পান বেটে খাওয়ার হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।