গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কামারশিল্প
প্রিয় ব্লগারবৃন্দগন,
স্টিম ব্যবহারকারী সকল ভাই ব্রাদার বন্ধুগণকে জানাই ভালবাসা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ। এবং সেই সাথে জানাচ্ছি সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি রইল আমার আন্তরিক মহব্বত ও ভালবাসার শুভেচ্ছা । আজকে আমি গ্রাম বাংলার কামার শিল্পদের নিয়ে কিছু কথা বলবো এবং তার কিছু ছবি শেয়ার করবো।
![]() |
---|
আমি এক কামারের কাছে তার ব্যাবসা নিয়ে কিছু কথা বললাম,, যে এই ব্যাবসা কেমন চলে? তিনি বললেন, তিনি ছিলেন দীর্ঘদিন নিয়মিত এক কামার।তিনি বলেন, এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। প্রতি ঈদে নতুন কাজের পাশাপাশি পুরোনো কাজ করতে রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। তিনি তো কাজ করেনই। বাড়তি কারিগরও লাগে কয়েকজন। কিন্তু করোনার সময় তার ৪-৫ জন কারিগর নেই। লকডাউনের কারণে বাড়ি চলে গেছেন। আর ফেরেননি। ওই দিনের একটা বড় সময় ফাঁকা বসে থাকতে হয় তাকে। কারণ, কাজ নেই।লোকটার নাম ছিলো পদ্মা মহন্ত, তিনি লোহাকে আগুনে পুড়িয়ে নরম করে পিটিয়ে বিভিন্ন প্রকার দা, বঁটি, চাপাটি, ছোরা, চাকু, চায়নিজ নকশার কুড়াল, কাটারিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করেন।এগুলো তৈরির পর পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে তিনি। এসব জিনিসের বেশির ভাগেরই ওজনের ওপর দাম নির্ভর করে।যেমন প্রতি কেজি লোহার স্প্রিংয়ের তৈরি বঁটির দাম ৬০০ থেকে ১ হাজার এখন ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
![]() | ![]() |
---|
![]() |
---|
দিনাজপুর জেলার এক কামার শিল্পর মালিক নাজমুল হক বলছিলেন, ‘এমনিতেই আমরা সারা বছর অর্থকষ্টে থাকি। দুই ঈদই আমাদের ভরসা। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ। এ সময় দুইটা টাকার মুখ দেখি আমরা।কিন্তু এবারের টানা শাটডাউন আর লকডাউনে আমাদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেচাবিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।
সে কারণেই কামার শিল্প দিন দিন এই দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।তবে আর একটা কথা বলে আমি শেষ করতেছি,যদি আমাদের দেশ থেকে এই কামার শিল্প না থাকে আমাদের অনেক খতি হবে,কেননা আমাদের দা, কুরাল, বটি, কাইদা ইত্যাদি এই গুলো জিনিসের কিছু হলে আমরা সর্বপ্রথম কামারের কাছে নিয়ে আসি।
![]() | ![]() |
---|
কামারশিল্প আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কামারশিল্প মাধ্যমে আমরা দা,কোদাল,কাস্তে,বটি, কোড়াল ইত্যাদি বানিয়ে থাকি। কামারশিল্প আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। আপনি কামারশিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ
কোরবানির ঈদে কামারদের বিক্রি বেশি হয় কারণ কোরবানির জন্য দা, ছুড়ির প্রয়োজন পরে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
কমার শিল্প আমাদের দেশের একটি বিশেষ ঐতিহ্য। কমারেরা অনেক কষ্ট করে আমাদের জন্য অনেক ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করে।
রাইট,,ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
কামার শিল্প যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কারণ এ শিল্পের জায়গায় এখন অনেক শিল্প কারখানার জিনিসপাতি স্থান করে নিয়েছে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনি ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই,,
কামার শিল্পটি এখন দেখাই যায় না৷ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের সৈয়দপুরে পাঁচ মাথা মোড় সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি কামারের দোকান রয়েছে।
হুম এখন খুব কম দেখা যায়,, ধন্যবাদ ভাই
কামার শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশার কাজ। আমাদের নিত্য দিনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র কামার তৈরি করে দেয়। সুন্দর লিখেছেন কামার সম্পর্কে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
অসাধারণ লিখেছেন ভাই, কামার শিল্প আছে ঠিকই কিন্তুু কামার গুলো ভালো নেই। ভালো থাকুক এসব মানুষ গুলো শুভ কামনা রইলো
ধন্যবাদ ভাই
কামারদের নিয়ে নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। পোষ্টের কোয়ালিটি অনেক ভাল ছিল।শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই