জ্যৈষ্ঠ মাসের তীব্র দাবদাহ এবং একজন আইসক্রিম বিক্রেতা
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের আমাদের গ্রামে বিক্রি হওয়া আইসক্রিম এবং আইসক্রিমিয়ালা সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করব করব। চলুন শুরু করি,
বর্তমানে চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস মিলে হয় গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালের রোদের প্রখরতা সম্পর্কে আমরা সবাই ধারণা রাখি। তবে এ বছরে রোদের প্রখরতা পূর্ববর্তী বছরের চেয়েও অনেক বেশি। এবছর জ্যৈষ্ঠ মাস জুড়ে চারপাশের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২° পর্যন্ত উঠানামা করেছে । এই তীব্র গরমে মানুষের বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। এই সময়টাতে বহুলভাবে বিক্রি হয়েছে আর এই বহুল বিক্রি হওয়া আইসক্রিম নিয়েই আমার আজকের লিখা।
আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন দেখতাম কিছু মানুষ তাদের কাঁধে আইসক্রিমের বাক্স নিয়ে গ্রামে গ্রামে এসে আইসক্রিম বিক্রি করতেন। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষের এই পৈচাশিক পরিশ্রম অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন মানুষ গ্রামে গ্রামে গিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করে আইসক্রিম ভ্যান এর সাহায্যে। এই আইসক্রিম ভ্যান গুলোর নিচে বরফের স্তর দেওয়া থাকে যার ফলে আইক্রিমগুলো গলে বা নষ্ট হয়ে যায় না। আবার গাড়ি থাকার সুবিধায় খুব দ্রুতই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আইসক্রিম সহ যাওয়া যায়। তাই আমি বলব এই আইসক্রিম ভ্যানগুলো সময় এবং পরিশ্রম দুটোই অনেকগুন কমিয়ে দিয়েছে প্রতিটি আইসক্রিমওয়ালা ব্যক্তির।
আইসক্রিমওয়ালা ব্যক্তিরা ভ্যানের সাহায্যে যাতায়াত করলেও তাদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য বা বাচ্চাদের তার দিকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি বিশেষ পন্থা অবলম্বন করে। এটিকে বলা হয় শব্দের মাধ্যমে শিশুদের আকর্ষিত করা। এই শব্দ সৃষ্টি করার জন্য তারা পিতলের এক ধরনের বিশেষভাবে তৈরি ঘণ্টা ব্যবহার করে থাকে। এই পিতলের ঘন্টাটি অনেক মজবুত এবং ভারী হয়ে থাকে। এটি মূলত মাইকের মত আকৃতির হয়ে থাকে এবং নিচে লম্বা একটি গোল চাকতির মত থাকে। এবং উপরে ধরার জন্য একটি লম্বা দণ্ড থাকে। যখন এই দন্ডটির ধরে এটি নাড়ানো হয় তখন গোল মাইকের মতো অংশে সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শব্দের সৃষ্টি করে। আইসক্রিম ওয়ালা ব্যক্তির সৃষ্ট এই আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত যায়। এই আওয়াজ পেয়ে শিশুরা দ্রুত তার আইসক্রিমের ভ্যানের কাছে ছুটে আসে।
আমি এই আইসক্রিম ওয়ালা ব্যক্তিটির ভ্যানসহ একটি ছবি উঠাই।উনি আমার ছবি তোলা দেখে একবার হাসেন এবং জানতে চান আমার ছবি তোলা শেষ হয়েছে কিনা । আমি হ্যাঁ বোধক উত্তর দিলে তিনি চলে যান। তার কাছ থেকে আমি একটি লেমন আইসক্রিম কিনেছিলাম। যেটির দাম নিয়েছিল পনেরো টাকা। নিচে আমি আমার কেনা আইসক্রিমটির ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। তিনি যখন চলে যাচ্ছিলেন পিছন থেকেও আমি আইসক্রিমের ভ্যানের ছবি তুলে রাখি। এভাবেই গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন আইসক্রিমওয়ালারা তাদের আইসক্রিম বিক্রি করে থাকে। এগুলোকে বলা হয় ভ্রাম্যমান আইসক্রিমের দোকান। কেউ কেউ আবার বাকিতেও আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। পরেরবার যখন তিনি আবার আইসক্রিম নিয়ে বিক্রি করতে আসেন তখন আগের বারের টাকাগুলো শোধ করে দেওয়া হয়। গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতাদের জীবন এরকমই সুন্দর, সহজ-সরল এবং সুশৃংখল।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
টুইটার শেয়ার লিংক
অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন আপি। শৈশব এর স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপু। গ্রামে যখন এমন আইসক্রিম বিক্রেতা আসত তখন আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আইসক্রিম কিনতে যেতাম। সুন্দর লিখেছেন আপি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনার ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। এমন আইসক্রিম ওয়ালা আমাদের এলাকাতেও আসে। গ্রামে চলে গিয়েছেন নাকি? গরমে আইসক্রিম খেলে একটু স্বস্তি লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
না, গ্রামে যাই নি তবে আগামী সপ্তাহে যাব ইনশাআল্লাহ।
আইসক্রিম ওয়ালা। অনেক ছোট্ট থেকে দেখি যে গরমের সময় এই ভ্যানে করে আইসক্রিম বিক্রি করে। ছোটতে অনেক আইসক্রিম খেয়েছি। এখন আর তেমন খাওয়া হয় না। আপনি আইসক্রিম নিয়ে দারুণ লিখেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আপনাকেও ধন্যবাদ
বাহ্ চমৎকার পোস্ট করছেন আপু, গরমের প্রশান্তি এই আইসক্রিম। আপনি আইসক্রিম বিক্রেতা নিয়ে খুবই সুন্দর লিখছেন, ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
একজন আইসক্রিম বিক্রেতাকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। তারা এই আইসক্রিম বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ
আইসক্রিম বিক্রেতা নিয়ে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। এই ধরনের আইসক্রিম ওয়ালা গ্রামেই দেখা যায়। এই রকম আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আপনার তোলা ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ
বর্তমানে এই প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গ্রামের ছেলে মেয়েরা সব থেকে বেশি আইসক্রিমগুলো খেয়ে থাকে। ভ্রাম্যমাণ দোকানের আইস্ক্রিম গুলো অনেক ভালই লাগে আমার কাছে। ছেলেমেয়েদের সাড়া জাগানোর জন্য ঘন্টা অনেক কাজের জিনিস। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ
সবুজ রং এর আইসক্রিম দেখে ভাবছি কাপড় কাঁচা সাবান 😊। আগে নারিকেল এর আইসক্রিম পাওয়া যাই এই আইসক্রিম ওয়ালার কাছে৷ তখন নারিকেল এর আইসক্রিম গুলো সেই লাগতো খাইতে৷ দাম ছিলো মাত্র ৫ টাকা, পুরো আইসক্রিম জুড়ে নারিকেল থাকতো। পরে অর্ধেক আইসক্রিম অর্ধেক বরফ ওয়ালা আইসক্রিম বের হলো৷ আর এখন এই আইসক্রিম পাওয়াই যায় না 🥲।