গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী সিরিঞ্জ পিঠা

in Steem For Traditionlast year (edited)
আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি পিঠা সম্পর্কে লিখব। এটির সম্পর্কে অনেকেই জানেন এবং খেয়েছেন। চলুন তবে সেই পিঠা সম্পর্কে জেনে নিই,

20230424_105043.jpg

সিরিঞ্জ পিঠা



বাঙালি মানেই উৎসব এবং বাঙালি মানেই বিভিন্ন ধরনের পিঠার আয়োজন। আজকে আমি আপনাদের সাথে যে পিঠাটি সম্পর্কে লিখছি সেটি হচ্ছে সেদিন সিরিঞ্জ পিঠা । এই পিঠাটির নাম সিরিঞ্জ পিঠা হওয়ার কারণ হলো এই পিঠাটি সিরিঞ্জ দিয়ে বানানো হয়ে থাকে। এই পিঠাটি পুরো বাংলাদেশে বানানো হয় কিনা আমি জানিনা তবে আমাদের অঞ্চলের খুবই জনপ্রিয় একটি পিঠা হল পিঠা।আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই এই পিঠা বানানো দেখে আসছি। গ্রামের মানুষ দলে দলে বসে এই পিঠাটি বানিয়ে থাকেন। এই পিঠাটি বিভিন্ন সেপে বানানো হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো ফুল আকৃতির বানানো হয়ে থাকে। অনেকে আবার এই ফুল কে রঙিন করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের রঙের ব্যবহার করে থাকেন। যেমন খাবারের হলুদ গুঁড়ো দিয়ে হলুদ রং, কিংবা বাহিরের খোলা খাবারের রঙ কিনে এনে গোলাপি, সবুজ রংয়ের সিরিঞ্জ পিঠা বানিয়ে থাকেন।

20230424_105117.jpg20230424_105114.jpg

পিঠাটি বানানোর জন্য খুব বেশি উপদানের প্রয়োজন পড়ে না। চালের গুড়ো দিয়ে বানানো হয় এই পিঠা। প্রথমে তালেরগুলো গুঁড়ো গুলোকে পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ডো বানিয়ে নিতে হয়। তারপর ডো সিরিঞ্জেট মধ্যে ঢুকিয়ে পিঠার সেপ দেওয়া হয়। এই পিঠাগুলো ফুলের আকৃতির বানানো হয় আবার চর্তুভূজের মত করেও বানানো হয়। বানানোর পর তার হালকা ভাপে সিদ্ধ করে করা রোদে শুকানো হয়। কড়া রোদে শুকানো হয়ে গেলে সেই পিঠা সংরক্ষণ করার উপযোগী হয়ে যায়।



20230425_191848.jpg

শুকানোর পর এই পিঠাগুলোকে দীর্ঘদিন বয়ামে বন্ধ করে রাখা যায় এবং যেদিন খেতে ইচ্ছে করে সেদিন ভেজে খাওয়া যায়। এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। প্রথম একটি করে বেশি করে তেল নিয়ে তা গরম করে নিতে হয়। তারপর সেই গরম করা তেলে একটি একটি করে শুকনো পিঠা ভেজে দিতে হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই পিঠাগুলো ভাজা শেষ হয়ে যায়।

20230425_191906.jpg20230425_192111.jpg

আপনি চাইলে একসাথে অনেকগুলো পিঠা ভাজতে পারেন তবে তা নির্ভর করে আপনার তেলের পরিমাণের ওপর। অনেক বেশি তেল থাকলে আপনি একসাথে অনেক পিঠা ভাজতে পারবেন। তবে কম তেলে কম করে পিঠা ভাজলে সেগুলো বেশি ফুলে ওঠে। তেল থেকে ভাজার পর গরম গরম আপনি চাইলে পিঠাগুলো খেয়ে নিতে পারেন। অনেকেই আবার ভাজা পিঠার উপর চিনি দিয়ে সেগুলো তারপর খায়। এতে করে মিষ্টি লাগে।

20230425_192141.jpg


আশা করি আপনারা অনেকেই এই পিঠা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন এবং অনেকবার এ পিঠাগুলো খেয়েছেনও।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য

ধন্যবাদান্তে,
@pea07

Sort:  
Loading...
 last year 

আপু মনি আপনি নিত্যনতুন খাবার বানিয়ে থাকেন সেটা আমরা সকলেই জানে। এই সিরিঞ্জ পিটা আমি প্রথম দেখলাম । আপনার পোষ্ট করার মাধ্যমে এমন একটি পিটা সম্পর্কে আমি জানতে পারলাম।নিত্য নতুন তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ

 last year 

সিরিজ পিঠা অনেক দিন পরে দেখলাম। আগে আমার আপুরা এই রকম সিরিজ পিঠা বানিয়ে তেলের মধ্যে ভেজে ছিল।আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আবারো দেখা মিললো এই সিরিজ পিঠা। আপনি সিরিজ পিঠা নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ

 last year 

ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে এরকম পিঠা তৈরি করতে দেখেছিলাম। খেতে অনেক ভালো লাগে মুচমুচে। এই পিঠাগুলো বিভিন্ন রঙের তৈরি করা হয়। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অনেক ভালো লিখেছেন আপু শুভকামনা রইল

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

এই পিঠাটি আমি কখনো বানা দেখিনি।তবে গ্রামে গ্রামে এই পিঠাটি নিয়ে দোকানদার গুলো ঘুরে বেড়াতো এবং এই পিঠাটি বিক্রি করতো দেখেছি।বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কাছে খুব জনপ্রিয় এই পিঠাটি।খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

এই পিঠা গুলো দেখতাম আমার নানি তৈরি করত। খেতে অবশ্য অনেক মজাই লাগত। কিন্তু এখন আর তৈরি করে না। পরবর্তী তে গ্রামের বাড়িতে গেলে নানিকে বলতে হবে এই পিঠা তৈরি করতে। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপি

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

এই পিটাকে আমাদের টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষায় ফুল পিঠা বলা হয়, চাউলের গুড়া করে দিয়ে এই পিঠা বানানো হয়। চাউলের গুড়া সিরিজ এ ভরে তারপর ফুল ফুল করা হয়, এবং সেগুলো রোদ্রের শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এবং পরবর্তীতে সেগুলো তেলে ভেজে মচমচে সুস্বাদু পিঠা করে খাওয়া হয়। আপনি সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

জ্বি, আপনি ঠিকই ক ধরতে পেরেছেন।ধন্যবাদ

 last year 

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী সিরিঞ্জ পিঠার নাম কখনো শুনেনি আপনার পোস্টে এই প্রথম দেখলাম আপু।সিরিঞ্জ পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে বটে। আামদের একদিন সিরিঞ্জ পিঠা খাওয়ান আপু আপনার হাতে বানানো পিঠা। সিরিঞ্জ পিঠা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।

 last year 

ভাইয়া, আমি এই পিঠা বানাতে পারি না😥, খেতে পারি শুধু।😐

পিঠা আমার ভালো লাগার একটি খাবার।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58470.94
ETH 2653.59
USDT 1.00
SBD 2.43