প্রতিযোগিতার মূল বিষয়ঃ মাছের তৈরি রেসিপি
চিংড়ির রেসিপি
প্রিয় স্টিমীট বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি খুবই সাধারণ ভাবে তৈরি করা যায় এমন একটি রেসিপি শেয়ার করব। রেসিপিটির নাম হল চিংড়ি মাছের ভুনা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
ব্যবহৃত উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
চিংড়ি মাছ | আপনার ইচ্ছেমতো |
টমেটো | ১ টা বড় সাইজের |
কাঁচা মরিচ | ৩ টি |
পেঁয়াজ কুচি | ১/৪কাপ |
ধনিয়া গুড়ো | ১ টেবিল চামচ |
লবন | ১টেবিল চামচ |
হলুদ গুড়ো | ১টেবিল চামচ |
জিরা বাটা | ১চামচ |
মরিচ গুড়ো | ১ টেবিল চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
মটরশুঁটি | আপনার ইচ্ছে মত |
লবন | পরিমান মত |
পানি | পরিমান মত |
[বি.দ্র]- আপনি চাইলে বেশি করে বানানোর জন্য উপাদান গুলোর পরিমাণ বাড়িয়ে বানাতে পারবেন। অন্যভাবে আপনার স্বাদের উপর নির্ভর করে।
ধাপ-০১
প্রথমেই আমি বাজার থেকে কিনে আনা ফ্রেশ কিছু চিংড়ি মাছ প্রথমে বেছে নেই।চিংড়ির খোসা ছাড়ানোর পর সেগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নেই। চিংড়িগুলো মূলত মাঝারি সাইজের চিংড়ি ছিল। আপনারা চাইলে ছোট সাইজের চিংড়ি কিংবা এর চেয়ে অনেক বড় সাইজের গলদা চিংড়ি দিয়েও এই রেসিপিটি তৈরি করে খেতে পারেন। এই রেসিপির জন্য যে কোন সাইজের চিংড়ি মাছ হলেই হবে। তবে চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়ানো অত্যন্ত জরুরি এই রেসিপির জন্য। অনেকেই চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়ান না তবে এই রেসিপিটি তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই খোসা ছাড়ানো ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি এই খাবারটির সম্পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।
ধাপ-০২
দ্বিতীয় ধাপে আমি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কেটে ফেলি। আমি প্রথমেই এবং সেটি চার ভাগে ভাগ করে কুচি কুচি করে কাটি।তারপর ভালো নিয়ে সেটিও কুচিকুচি করে কাটি।প্রথমে আমি সমান চার ভাগে ভাগ করলে পরবর্তীতে তা কুচি কুচি করে কেটে নিই। এবং সবশেষে মরিচ নিয়ে সেগুলো কেও কেটে ফেলি। মোটামুটি আমার কাটার সব ধরনের উপাদান গোছানো হয়ে যায় এই ধাপে। আমি আমার উপাদান গুলো ছবি নিতে শেয়ার করছি আপনাদের দেখার সুবিধার্থে।
ধাপ-০৩
এই ধাপে আমি আমার রেসিপিটির রান্না কাজ শুরু করব। রান্নার কাজ শুরু করার জন্য সবার আগে আমি একটি কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়ে তা গরম করতে থাকি। এখানে আমি ব্যবহার কড়াই ব্যবহার করছি রান্না করার জন্য তবে আপনি চাইলে ফ্রাই প্যানেও রান্না করতে পারবেন। তারপর ফ্রাই পেলে অল্প তেল ঢালি এবং সেখানে আমার পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে দিই।
ধাপ-০৩
ধাপ-০৪
গরম তেলে পেঁয়াজগুলো কিছুক্ষণ ভেজে নেই। পেঁয়াজ কুচি গুলোর বর্ণবানি বর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা ভাজতে থাকি। পেঁয়াজ কাছে হলেও ভাজা শেষ হয়ে গেলে সেখানে আমি প্রথমে টমেটো কুচিগুলো গুলো ঢেলে দেই। তারপর সেখানে হাফ কাপ পরিমাণে পানি দিয়ে দিই।
ধাপ-০৫
এই ধাপে আমি মসলাগুলো দেওয়া শুরু করি। আমি গুঁড়ো মসলা, লবণ দেই এই ধাপে। প্রথমে আমি ১/২ টেবিল চামচ লবণ দিয়ে দেই। এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে বাকি মসলা গুলো দেই।
ধাপ-০৬
এই ধাপে আমি এক টেবিল চামচ পরিমাণ ধনিয়া গুড়ো দেই।এখানে আমি বড় চামচ ব্যবহার করছি তাই যে ধনিয়া গুড়োর পরিমাণ কম দেখা গেলেও এখানে প্রায় ১ টেবিল চামচ ধনিয়া গুড়ো রয়েছে। আমি অল্প পরিমাণে জিরা বাটাও এই ধাপে দিয়ে দেই।
ধাপ-০৭
এই ধাপে আমি মরিচ গুড়া এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে মসলা দেওয়ার ধাপটি শেষ করি।এবং আরো কিছুক্ষণ ভাজা কাঠির সাহায্যে নাড়াচাড়া করে দেই।
ধাপ-০৮
কিছুক্ষণ রান্না করার পর যখন পানি কমে তেল গুলো ভেসে উঠবে তখন সেখানে আমরা পরিবার মত চিংড়িগুলোকে ঢেলে দেই। এবং চিংড়িগুলোকে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিই মশলার সাথে। আমাদের রান্না প্রায় শেষ।
ধাপ-০৯
সর্বশেষ ধাপে আমি হালকা পরিমাণে মটরশুটি দিয়ে তা আরেকটু রান্না করে চুলা থেকে নামিয়ে নিই এবং গরম গরম পরিবেশন করি।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-১২ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pea07 |
লোকেশন | JJHH+X6 Dinajpur |
আপনার রান্না দেখলেই খাওয়ার ইচ্ছা করে আপু। আপনি অনেক সুন্দর রান্না করেন। চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয় খাবার। রান্নার রং অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করার রেসিপি দিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
আস্সালামুআলাইকুম আপু কেমন আছেন। আপু আপনার তৈরী চিংড়ি মাছের রান্না টা অনেক মজার মনে হচ্ছে। চিংড়ি মাছ আমার খুব পছন্দের একটা মাছ।সবচেয়ে মজা লাগে হচ্ছে চিংড়ি ভুনা, আলু দিয়ে হালকা ঝোল আর লতি দিয়ে রান্না করলে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এইরকম ভালো একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাহ খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো।সঙ্গে দেখতেছি মটরশুটি ও দিয়েছেন। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
চিংড়ি মাছ আমার পছন্দের মাছ।বর্ষাকালে বেশি চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়।আমিও চিংড়ি মাছ ধরি,তখন মা আলু দিয়ে রান্না করে।অনেক সুস্বাদু হয়।আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপাস্থপনা করেছেন আপু। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ
চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আপনার রান্না দেখে আমার লোভ লেগে গেলো। খুবই সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছ রান্না ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কিভাবে রান্না করতে সেগুলো আমাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে
চিংড়ি মাছ আমার খুব পছন্দের একটি খাবার।
চিংড়ি মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে , আপনার রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে আপু, প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আপনার রেসিপি ফলো করে একদিন বাসায় চেষ্টা করব রান্না করার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চিংড়ি মাছের এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
চিংড়ি মাছের রেসিপি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। চিংড়ি মাছ খেতে সুস্বাদু ও মজাদার। আমার কাছে চিংড়ি খেতে অনেক মজা লাগে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে জিভে জল আসল। চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের। চিংড়ি মাছে রেসিপি পোস্ট অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ সুন্দর করে উপস্থান করছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
আপনার চিংড়ি মাছের ভুনা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু,আপনি সুন্দর করে রান্না করতে পারেন,আপসার চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে, আপনি সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে