দূরন্ত শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কাগজের ঘূর্ণি
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার শৈশবের অত্যন্ত স্মৃতি বিজড়িত একটি বিষয়বস্তু নিয়ে লিখব। আমার মনে হয় বাচ্চা এই খেলনা দিয়ে খেলেছে। আর সেই খেলনাটি হল ঘূর্ণি। সম্পর্কে আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
ঘূর্ণির সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। এই ঘূর্ণি দিয়ে অনেক খেলেছি আমি, ঘূর্ণি অনেক পছন্দ করতাম ছোট বেলায়। আমার স্পষ্ট মনে আছে যখন জোরে বাতাস আসত তখন আমি একটা ঘুর্ণি হাতে নিয়ে বসে থাকতাম। ঘূর্ণি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে বানানো যায়। ছোটবেলায় আমি ঘুর্ণি কিনে কখনো সেটি দিয়ে খেলিনি। আমি নিজেই ঘূর্ণি তৈরি করতাম এবং সেগুলো দিয়ে খেলতাম। বর্তমানের বাচ্চারা ঘূর্ণি কিনে খেলে।
ঘূর্ণি কাগজ, গাছের পাতা, প্লাস্টিক , বোর্ড কাগজ সহ আরো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি করা যায়। কাগজ দিয়ে ঘূর্ণি তৈরি করাটা তুলনামূলক কঠিন লাগত আমার কাছে ছোটবেলায়, তাই আমি বিভিন্ন গাছের পাতা দিয়ে ঘূর্ণি বানিয়ে খেলতাম। বিশেষ করে কাঁঠাল গাছের পাতা দিয়ে ঘূর্ণি বানাতাম। কাঁঠাল পাতা দিয়ে এটি তৈরি করা ছিল সবচেয়ে সহজ বানানো। দুইপাশ থেকে আড়াআড়িভাবে কাঁঠাল পাতা কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যায় কাঁঠাল পাতার ঘূর্ণি। এছাড়াও নারিকেল পাতা দিয়েও এটি বানানো যেত। সেই সব কথা মনে পড়লেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। একটি ঘুর্নিত মূলত তিনটি অংশ থাকে। একটি হলো মেয়ে নকশা যেটি ঘুরে, আরেকটি হল লম্বা টিক যেটি দিয়ে আমরা সেটি ধরে রাখি এবং অপরটি হল ঘুর্ণি এবং স্টিকটিকে সংযুক্ত করে একটি ছোট শলাকা। ঘূর্ণি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে বাতাসের মধ্যে সেটি ঘুরে কিংবা সেটি নিয়ে হালকা দৌড় দিলও সেটি ঘুরতে থাকে।
গত পরশুদিন আমি আমার বড় বোনের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাগিনা একটি ঘূর্ণি দিয়ে খেলছে। আমি তার হাত থেকে সেটি নিয়ে কিছু ছবি তুলি। আমি ছোটবেলায় যে সকল ঘূর্ণি দিয়ে খেলতাম এটি সাথে সেটির খুব বেশি মিল নেই। কেননা আমি আগে কাঁঠালের পাতা কিংবা অন্যান্য গাছের পাতা দিয়ে সেটি তৈরি করতাম আর এটি বাজার থেকে কিনে আনা ঘূর্ণি যা মোটামুটি শক্ত ধরনের কাগজ দিয়ে বানানো। ঘূর্ণিটি সাদা এবং কালো রংয়ের কাগজ দিয়ে তৈরি।
ঘূর্ণিটির মাঝখানে লাল রঙের একটি সংযুক্তকারী ছোট শলাকা রয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে মনে করতে পারি আমি ছোটবেলায় যখন ঘূর্ণি বানাতাম তখন প্লাস্টিকের লাল এই শলাকাটির পরিবর্তে নারকেল পাতার শলাকা ব্যবহার করতাম। বর্তমানে সবকিছুই আধুনিক হয়েছে এবং উন্নয়নের ফলে বর্তমানে এর চেয়ে দামী ঘূর্ণি বাজারে পাওয়া যায়। এখানে রয়েছে প্লাস্টিকের একটি দন্ড। এটি অত্যন্ত পাতলা একটি স্টিক বা দন্ড। এটি সাহায্যে ঘূর্ণিটিকে হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমি যখন ছোটবেলায় এগুলো বানাতাম তখন প্লাস্টিকের গোলাপি রঙের দন্ডটির পরিবর্তে আমি ব্যবহার করতাম পাট কাঠি বা পাট শলাকা।
আমার ভাগিনা এই খেলনাটি দিনাজপুর শহরের বড় মাঠ থেকে কিনে এনেছে।বাসায় আনার পর সে বেশ কিছুদিন খেলেছেও। আজকে আমি এই খেলনাটি দেখে আমার শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। খেলনাটির পেছনের অংশ সম্পূর্ণ সাদা। এটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও এটির দাম আমি জানি না কেননা তাদের কাছে আমার দাম জিজ্ঞেস করা হয়নি। তবে আমার কাছে মনে হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দিয়ে এটি সহজেই কেনা যাবে। আপনারা চাইলে আপনাদের বাচ্চাদের এই খেলনাটি কিনে দিতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
আপু এই ঘূর্ণি অনেক কিনেছি আবার বানিয়েছিলাম। আমি তাল পাতা দিয়ে এই ঘূর্ণি অনেক ভালো বানাতে পারি। আমার বাসায় নারিকেল গাছ ছিলো সেই পাতা এবং তাল পাতা দিয়ে তিন প্রকার ঘূর্ণি বানাতাম। কিন্তু বর্তমানে আর এই তাল বা নারিকেল পাতার ঘূর্ণি দেখতে পাওয়া যায় না। সবাই এখন প্লাস্টিকের ঘূর্ণি কিনে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
এক্স শেয়ার লিংক https://twitter.com/pea079/status/1692175179080990815?t=ZEzjPPNz1Oe4YWABt72uHA&s=19
খেলনা হিসেবে বাচ্চাদের কাছে এই ঘূর্ণি অনেক প্রিয়। সচরাচর কোন দর্শনীয় স্থান বা পার্কের সামনে এসব ঘূর্ণি বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের খেলনাসহ বিক্রি করতে যান। বাচ্চাদের আকর্ষণ করার জন্য তারা রংবেরঙের ঘূর্ণি বিক্রি করেন। দিনাজপুর বড় মাঠে এসব খেলনা বিক্রেতাদের বেশ কয়েকটি দোকান লক্ষ্য করা যায়। ছোট বাচ্চাদের এই খেলনাটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
শৈশবে এরকম অনেক ঘূর্ণি বানিয়ে খেলেছি। কাগজ দিয়ে বানিয়েছে, নারকেলের পাতা দিয়ে বানিয়েছি, খেজুরের পাতা দিয়ে বানিয়েছে, অনেক ভাবেই ঘূর্ণি বানিয়ে শৈশবে খেলেছি। তবে আমাদের এলাকায় এটাকে ঘূর্ণি বলে না চোরকি বলে। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কাগজের ঘূর্ণি সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছে। চরকি গুলোও অনেক সুন্দর দেখতে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
শৈশবের স্মৃতি বিজারিত কাগজের তৈরি ঘূর্ণি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আমি ছোটবেলায় কাগজের ঘূর্ণি নিয়ে অনেক খেলছি। তবে খেজুরের পাতা বা আমের পাতা দিয়েও ঘূর্ণি বানানো যায়। আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। তবে কাগজের তৈরি ঘূর্ণিটি অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপু
আপনি আমার মনের একটা কথা বলছেন আপু।কাগজের তৈরি ঘূর্ণি দিয়ে কখনো খেলি নাই। আমিও আমের পাতা নাহলে কাঁঠালের পাতা দিয়ে ঘূর্ণি তৈরি করতাম।যখন প্রচুর বাতাস উঠে তখন স্কুল থেকে এসেই সাথে সাথে এগুলো ঘূর্ণি নিয়ে খেলি।আপনি কাগজের তৈরি ঘূর্ণি নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
অনেক ধন্যবাদ
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এই রকম ঘুর্ণি দিয়ে ছোট বেলায় আমিও অনেক খেলেছি। তবে আপনার মত আমিও কাঁঠালের পাতা এবং শক্ত ধরনের পাতা দিয়ে ঘুর্ণি তৈরি করতাম। আপনার পোস্টি পরে বা দেখে সেই শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মনি। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল।এমন কাগজের ঘূর্ণি দিয়ে অনেক খেলেছি।গাছের পাতার ঘূর্ণি দিয়েও অনেক খেলা হয়েছে।এখন প্লাস্টিকের ঘূর্ণিও পাওয়া যায়।দিন যত যাচ্ছে শৈশবের খেলার জিনিস বা ধরনে পরিবর্তন আসছে।আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন সাথে আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু