বাচ্চাদের প্রিয় প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি অত্যন্ত সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখবো । আর সেই বিষয়টি হল বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
যাদের ঘরে বাচ্চা আছে তারা বুঝতে পারে বাচ্চাদের জন্য খেলনা আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আবার সব ধরনের খেলনা বাচ্চাদের হাতের কাছে দেওয়া যায় না কেননা এতে করে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাচ্চাদের খেলনা সবসময় পাতলা এবং ঝুঁকি বিহীন হতে হয় তা না হলে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কেননা ভারী জিনিসপত্র বা খেলনা দিয়ে বাচ্চাদের খেলতে দিলে সেখান থেকে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। আবার বাচ্চাদের হাতে কাচের তৈরি খেলনা দিলে সেটি ভেঙে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বাচ্চাদের সবচেয়ে নিরাপদ খেলা হলো প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা। কেননা প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা হলো পাতলা এবং এটি সহজে ভাঙে না যার কারণে বাচ্চাদের ব্যথা পাওয়া সম্ভবও কম থাকে।
আমি যে প্লাস্টিকের খেলনাটি ছবি শেয়ার করেছি সেটি একটি প্লাস্টিকের তৈরি বাস। যেহেতু আমি একজন মেয়ে মানুষ প্লাস্টিকের বাস কিংবা গাড়ি দিয়ে খুব কমই খেলেছি। খেলনা গাড়ির চেয়ে আমি খেলনা পুতুল দিয়ে বেশি খেলেছি। ছোটবেলায় আমার খেলার জন্য কিছু মাটির এবং প্লাস্টিকের পুতুল ছিল । ছেলে বাচ্চাদের জন্য এই খেলাগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তারা কোন দোকানে কিংবা মেলায় বেড়াতে গেলে এই ধরনের গাড়ি কেনা ছাড়া ঘরের ফিরতে চায় না। হলুদ রঙের এই বাসটি দেখতে অত্যন্ত ভালো দেখা যাচ্ছে। রঙিন জিনিস বাচ্চাদের বেশি আকর্ষণ করে তাই এরকম রঙিন বাস প্রস্তুত করেছে এই বাস প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
ছবিটি দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন প্লাস্টিকের এই বাসটি সম্পূর্ণ বাস্তবের বাসের মতো করেই তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই বাসটির ফিনিশিং। সত্য কথা বলতে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্লাস্টিকের এত মান সম্পন্ন খেলনা কমই দেখা যেত। এই বাসটি পুরো বাস্তব বাসের মতো লাগছে কেননা বাসের উপরে লেখা রয়েছে সিটি সার্ভিস ২০৯ এবং নিচে লেখা রয়েছে সিটি বাস। আমরা যারা বাসে উঠি তারা সিটি সার্ভিস সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে ধারণা রাখি বিশেষ করে যারা ঢাকা শহরে বাসে যাতায়াত করেন তারা এটি সম্পর্কে বেশি অবগত। আমাদের শহরে সিটি সার্ভিস বাস নেই কেননা দিনাজপুর অত্যন্ত ছোট একটি শহর এবং এখানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য বাস ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে ঢাকা শহরে এই সকল সিটি সার্ভিসের বাস অসংখ্য এবং সেইসব বাসেও সীট কম পাওয়া যায়।
এই বাসটির দাম নিয়েছিল ৬৯০ টাকা এবং ভ্যাটও ছিল। যেহেতু এটি বাচ্চাদের একটি খেলনা বাস তাই বাসে এমিউসমেন্ট পার্কের ছবি দেওয়া আছে। শুধু তাই নয় এখানে সবচেয়ে বেশি সুন্দর যে জিনিসটা আমার কাছে লেগেছে সেটি হল অটোমেটিক দরজা। যদিও এই ফিচারটি এখানে কার্যকরী না তারপরও তারা এখানে লিখে দিয়েছে। এই বাসের বাকি সব বাসের মতো চারটি করে চাকা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও এই বাঁশের আরেকটা আকর্ষণীয় ফিচার হলো ব্যাটারির মাধ্যমে এই বাসটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া ছাড়া আরও এটিতে মিউজিক সিস্টেম রয়েছে যা দেখে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়ে যায়।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
খেলনা নিয়ে আমাদের সবারই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি পড়ে রয়েছে, বিশেষ করে আমাদের জমানায় খেলনার চাহিদা অনেক বেশি ছিল, কারন সে সময় এত স্মার্ট ফোন ছিল না, পোস্টির মাধ্যমে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা নিচে লিখেছেন, যেগুলো সবারই লক্ষ্য করা অনেক প্রয়োজন, অনেক সুন্দর ছিলো আপনার আলোচনা শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1688936550321774592?t=FWOXdWnvo9IEtmiG_99QOA&s=19
বাচ্চাদের জন্য সবথেকে নিরাপদ খেলনা গুলো প্লাস্টিকের এটা আমার কাছেও মনে হয়। প্লাস্টিকের খেলনাপাতি দিয়ে খেললে কোনো ক্ষতির সম্ভবনা থাকে না। আমি নিজেও বিভিন্ন মেলা বা সভায় গেলে এমন প্লাস্টিকের খেলনে কিনে নিয়ে আসি। তুলনামূলক অনেক বেশি দাম মনে হচ্ছে আপু।মটর বা অন্য কিছু লাগানো আছে নাকি।
এটি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু, বাচ্চাদের সব ধরনের খেলনা দেওয়া ঠিক না, তবে ছোট বেলায় একেক জনের একেক ধরনের খেলনার উপর চাহিদা ছিল, আপনি যেমন পুতুল নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন, ঠিক আমরা ছেলে মানুষেরা বেশিরভাগ পিস্তল নিয়ে খেলতে পছন্দ করতাম, আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু, শেষে দিক অনেক সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাচ্চাদের জন্য উপযোগী খেলনা হচ্ছে প্লাস্টিকের খেলনা, প্লাস্টিকের খেলনা অনেক টিকসই। আপনি ছোটবেলায় তাহলে প্লাস্টিকের পুতুল এবং মাটির খেলনা দিয়ে খেলাধুলা করছেন। জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনি সুপার সপ থেকে নেওয়ার কারণে তুলনামূলক দামটা একটু বেশি পড়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বরাবরের মতোই অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। বর্তমানে বাচ্চারা এসব খেলনা নিয়ে খেলতে অনেক পছন্দ করে। আপনার সতর্কতামূলক আলোচনাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু। আসলেই আমাদের প্রত্যেককে এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু যে কেউ দেখলে মনে করবে বাস্তবে এটা গাড়ি। আমি প্রথমেই দেখে বাস্তব গাড়ি মনে করছি।আপনি ঠিক বলছেন বাচ্চাদের পাতলা ধরনের জিনিস খেলতে দিতে হয়।বড় ধরনের জিনিস খেলতে দিলে আঘাতের সম্ভবনা থাকে।ছোট বেলায় আমি এইরকম গাড়ি নিয়ে অনেক খেলছি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।