সুস্বাদু এবং মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি
বাঁধাকপির পাকোড়া
প্রিয় স্টিমীট বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি খুবই সাধারণ ভাবে তৈরি করা যায় এমন একটি রেসিপি শেয়ার করব। রেসিপিটির নাম হল বাঁধাকপির পাকোড়া। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
ব্যবহৃত উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ | ছবি |
---|---|---|
বাঁধাকপি | ১/৩ বাঁধাকপি | |
চালের গুড়ো | ১/৪ কাপ | |
কাঁচা মরিচ | ৩ টি | |
পেঁয়াজ কুচি | ১/৪কাপ | |
ময়দা | ৩টেবিল চামচ | |
ডিম | ১টি | |
তেল | পরিমাণ মতো | |
লবন | পরিমান মত | |
সস | পরিমাণ মত |
[বি.দ্র]- আপনি চাইলে বেশি করে বানানোর জন্য উপাদান গুলোর পরিমাণ বাড়িয়ে বানাতে পারবেন।
ধাপ-০১
প্রথমেই আমি একটি বাঁধাকপির ১/৩ ভাগ কুচি কুচি করে কেটে নিই। আমি অল্প করে বাঁধাকপির পাকোড়া বানানোর জন্য কম করে বাঁধাকপি নিয়েছি।
ধাপ-০২
এই ধাপে আমি বাঁধাকপি গুলোকে হালকা লবণ দিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে কিছু সময়ের জন্য রেখে দেই। তারপর সেখান থেকে পানি ঝরিয়ে আবার অন্য একটি পাত্রে রাখি। তোলার সময় চেক করে নিতে হবে যেন সেখানে পানির পরিমাণ খুব কম থাকে ।
ধাপ-০৩
তারপর এই ধাপে আমি সেই বাঁধাকপির কুচিতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো একটি করে দিতে থাকি। আমি প্রথমে সেখানে পিয়াজ কুচি দেই। আমি প্রায় ১/৪ কাপ পরিমানে পিয়াজ কুচি বয়বহার করেছি। আপনারা চাইলে আরো বেশী পরিমানে পিয়াজ ব্যবহার করতে পারবেন।
ধাপ-০৪
তারপর আমি কাঁচা মরিচ কাটা দেই। আপনারা এই ধাপে অল্প পরিমানে লবন দিয়ে নিতে পারেন। আমি লবন খুব কম পরিমানে খাই তাই আমি লবন দেই নি।
ধাপ-০৫
এই ধাপে আমি চালের গুড়ো এবং ময়দা যোগ করি। আপনারা চাইলে ময়দার পরিবর্তে বেসন যোগ করতে পারেন।
ধাপ-০৬
সর্বশেষ ধাপে আমি একটি ডিম যোগ করি।আমার বাঁধাকপির পরিমাণ কম হওয়ায় কেবল একটি ডিম দিয়ে এটি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে।বাঁধাকপির পরিমাণ বেশি হলে ডিমের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
ধাপ-০৭
এরপর সমস্ত উপাদান গুলো বাঁধাকপির সাথে আমি ভালোভাবে মিশিয়ে নিই। খেয়াল রাখতে হবে যেন খুব বেশি পাতলা না হয়ে যায় মিশ্রণটি। পাতলা হয়ে গেলে আপনি চালের গুঁড়ো কিংবা ময়দা যোগ করে দেবেন।
ধাপ-০৮
এখন একটি কড়াই গরম করে তাতে পরিমাণ মতো তেল ঢেলে নিন। তেল গরম হওয়ার পর একটি একটি করে গোল আকৃতি দিয়ে মিশ্রণটি তেলে ছেড়ে দিন। তারপর চার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন । পাকোড়া একপাশটা হয়ে গেলে তা উল্টে দিন এবং পুনরায় চার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। পাকোড়ার রং বাদামী বর্ণ ধারণ করলে তা তেল থেকে তুলে ফেলুন।
ধাপ-০৯
তারপর যেকোনো সসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন এই বাঁধাকপির পাকোড়া। এখানে আমি মরিচের মিষ্টি সস দিয়ে পরিবেশন করেছি।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-১২ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pea07 |
লোকেশন | JJHH+X6 Dinajpur |
সুস্বাদু এবং মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।তবে এই সুস্বাদু এবং মুচমুচে বাঁধাকপির পাকোড়া আমি কখনো খাইনি। আজকে আপনার পোস্টির মাধ্যমে প্রথম দেখলাম। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফাস্ট টাইম বাধকপির পোকাড়ার কথা শুনলাম।এইটা মনে হয় নতুন রেসিপি। যা আপনি তৈরি করেছেন। এই রকম রেসেপি কখনো খাওয়া হয় নাই। তবে আপনার রেসেপি দেখে একদিন ট্রাই করে দেখবো। আর আপনি সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপাস্থপনা করেছেন। কিকি প্রয়জন তা পরিমান সহ বলে দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রকম নতুন একটা রেসেপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ আপু
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
বাহ্চমৎকার রেসিপি, বাঁধা কপির পাকোড়া,অবশ্যই খেতে সুস্বাদু লাগছে, দেখেই লোভনীয় মনে হচ্ছে খেতে খুবই ইচ্ছে করছে, বাঁধা কপি দিয়ে এতো সুন্দর রেসিপি করা যায় আগে জানা ছিলো না, বাঁধা কপি কিনে আনবো আপনার রেসিপি ফলো করে বানানোর চেষ্টা করবো, আপনি সমস্ত প্রক্রিয়া এবং ধাপগুলো অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাই বানাতে কষ্ট হবে না। এতো সুন্দর রেসিপি তো বানাতেই হয়। বাজারে এখন বাঁধা কপির দাম একদম সীমিত তাই এ রেসিপি টা করাই যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশাকরি এ রেসিপি আমি বানাতে পারবো, আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।পাতাকপি এভাবে ভেজে খেতে বেশ মজার হয়। প্রতি টি ধাপ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপু। অনেকে লোভনীয় হয়েছে আপনার বাধা কপি ভাজা। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা আমাদের বাসায় নিজেরা বানিয়ে খাওয়াতে খুবই হেল্পফুল হবে। আপনার এই সুন্দর পোস্ট এর ম্যাধ্যমে আমরাও বানানোর ট্রাই করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
বাসায় একবার বানিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারবেন আশা করি ভালো লাগবে।
জি করবো
বাঁধাকপির পাকোড়া আমি কখনো খাইনি। দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। খেতেও নিশ্চয়ই ভালো হবে। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।যা দেখে বাসায় অনেক সহজেই তৈরি করা যাবে। আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।
বাঁধাকপির পাকোড়া অনেক মজাদার একটি খাবার। শীতকাল আসলে মাঝে মাঝে খাওয়ার সুযোগ হয়। রেসিপি তৈরির সবগুলো ধাপ আপনি অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
বরাবরেই আমি আপনার পোস্টের একজন বড় ভক্ত আপু। আপনি অনেক সুন্দর গুছিয়ে পোস্ট করে। যে কেউ আপনার পোস্ট দেখে পছন্দ করবে। আপনি অনেক সুন্দর রান্না পারেন সেটা আপনার পোস্ট থেকে বুঝা যাইতেছে। আপনার রান্না দেখে খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে আপু। পারলে আমাকে একদিন রান্না খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিবেন। ধন্যবাদ আপু।
আচ্ছা, আপনাকে দাওয়াত খাওয়ার কথা আমার মনে থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালোবাসা অবিরাম আপু।
আপনার বানানো পাকোড়া বেশ ভালো হয়েছে মনে হয় খেতে।দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপু। এই বাঁধাকপির পাকোড়া আমি একদিন খেয়েছিলাম রংপুরে থাকতে রাস্তার ধারে একটি হোটেলে। বেশ ভালই ছিল সেম টু সেম আপনার মতোই তৈরি করেছিল সেটি। আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট করেন খুব সুন্দর লাগে আপনার পোস্টটি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে