প্রতিযোগিতার সপ্তাহ ১৪ - আপনার এলাকার পুরাতন স্কুল -সেন্ট যোসেফ'স স্কুল | by @pea07
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমি স্টীম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতার ১৪তম সপ্তাহের আমার এলাকার পুরাতন একটি স্কুল নিয়ে লিখব। প্রতিটি এলাকায় নতুন পুরাতন বহু স্কুল রয়েছে । কিছু কিছু স্কুল অনেক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আবার কিছু কিছু স্কুল সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে আমি আমার এলাকার অতি পুরাতন একটি স্কুল "সেন্ট যোসেফ "সম্পর্কে আপনাদের সাথে লিখব। চলুন শুরু করি আজকের লিখা,
সেন্ট যোসেফ'স স্কুল
![]() | ![]() |
---|
দিনাজপুর জেলার অন্যতম নামকরা এবং অতি প্রাচীন একটি স্কুল হল সেন্ট জোসেফ'স স্কুল। আপনারা সবাই স্কুলটির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটি একটি খ্রিস্টান মিশনারী স্কুল। আমরা জানি প্রায় প্রতিটি জেলায় এরকম একটি করে খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুল থাকে । ঠিক যে রকমটি থাকে প্রতিটি জেলায় সরকারি একটি করে বালিকা বিদ্যালয় এবং বালক বিদ্যালয়। এই স্কুলটিতে নার্সারি ক্লাস থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে। তবে এখানে ভর্তির সুযোগ কেবল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে এবং তার পরবর্তীতে আপনার পরীক্ষার উপর নির্ভর করে আপনাকে সেখানে পড়াশোনার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিষ্ঠাকাল এবং লোকেশন
দিনাজপুর সেন্ট জোসেফ স্কুলটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তার সুনাম ধরে রেখেছে এসেছে আজ পর্যন্ত। এ স্কুলটির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন সিস্টার পিয়া ফার্নান্দেজ। তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকাল সব থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এই স্কুলটির দায়িত্বে পালন করেন। স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নাম হল খ্রীষ্টিনা লিপি দেশাই। তিনি অত্যন্ত নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা মানুষ। তার কাছে কোন রকমের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজন প্রীতির কোন স্থান নেই। সেন্ট জোসেফ স্কুলটি দিনাজপুর শহরের গণেশ তলায় অবস্থিত। গুগল প্লাস কোড লোকেশন নিচে শেয়ার করছি করছি আমি JJJP+GC8, Station Rd, Dinajpur 5200। স্কুলটির কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়। স্কুলটিতে বিভিন্ন শিফটে শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিটি শ্রেণীতে আলাদা আলাদা বিভিন্ন শাখা রয়েছে। স্কুলটিতে এভাবেই নিয়মানুবর্তিতা মেনে এর কার্যক্রম চালানো হয়ে থাকে। আমি এই স্কুলের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা সংযুক্ত করে দিচ্ছি যদি আপনার কখনো প্রয়োজন হয় তবে আপনি এর মাধ্যমে স্কুলটির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
যোগাযোগ
সিস্টার খ্রীষ্টিনা লিপি দেশাই
প্রধান শিক্ষক
সেণ্ট যোসেফ'স স্কুল, গণেশতলা, দিনাজপুর।
ই-মেইল: [email protected],
ওয়েবসাইট: www.stjosephschool.edu.bd
সেন্ট যোসেফ স্কুল কেন সেরা
এই স্কুলটি খ্রিস্টান মিশনারী স্কুল হওয়ায় স্কুলটির ক্যাম্পাসে বাচ্চারা অনেক বেশি নিরাপদ। অভিভাবক ছাড়া একবার স্কুলের ভিতর প্রবেশ করলে সেখান থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা। সুতরাং সেখান থেকে বাচ্চা হারানো কিংবা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। আর এইসব স্কুলে নিরাপত্তা অনেক বেশি থাকে অধিকাংশ অভিভাবক তার সন্তানকে এসব স্কুলে পড়ানো স্বপ্ন দেখে থাকেন।
একটা স্কুলের প্রধান কাজ হল বাচ্চাদের বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো যা স্কুলের বিগত সালের রেজাল্ট দেখে বোঝা যায় যে এটির পড়াশোনার মানে অনেক বেশি উন্নত। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেয় এবং তাদের মধ্যে কেবলমাত্র যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্কুল কর্তৃপক্ষ বাছাই করে নেন।
এই স্কুলের আরো একটি বিশেষ দিক হলো স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি সময় সম্পর্কে আপনাকে সঠিক জ্ঞান দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে স্কুল থেকে বের হওয়া কেন্দ্র স্কুলে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ। বাচ্চাদের জন্য সময় জ্ঞান অর্জন করা হলো অনেক বড় একটি শিক্ষা যা স্কুল দিয়ে থাকে।
এই স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। যা অন্যান্য স্কুলের চেয়ে জোড়ালো ভাবে দেওয়া হয়।
এছাড়াও স্কুলটিতে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর ক্যাম্পাস যেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা সহ বিভিন্ন রকমের রাইটস রয়েছে। রয়েছে চমৎকার কিছু ফুল গাছ এবং সেসব গাছে নানা রঙের ফুল ফুটে রয়েছে।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
আমি এই প্রতিযোগিতার এনাউন্সমেন্ট পোস্টের লিংক শেয়ার করছি নীচে।
এখানে ক্লিক করুন এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আমন্ত্রণ @pathanapsana
@tetsu26
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
এলাকার পুরাতন স্কুল -সেন্ট যোসেফ'স স্কুল নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। এই স্কুলটি আমি নিজ চোখে দেখিনি। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে এটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
Thanks for the invite, wish you good luck.
Thanks
দিনাজপুর শহরের নামকরা ও অনেক পুরনো সেন্ট যোফেস স্কুল সম্পর্কে অনেক তথ্য এই পোস্টে শেয়ার করেছেন। তবে স্কুলটি খ্রিস্টান মিশনারী হওয়ায় স্কুলের বাচ্চাদের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
ওয়াও আপি আপনি আপনার এলাকার পুরাতন স্কুল নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। খুবই সুন্দর ছিলো আপনার উপস্থাপন করা। আমি ও দেখেছি এই সেন্ট যোসেফ'স স্কুল টি যখন দিনাজপুরে ছিলাম তখন এই স্কুল এর সামনে দিয়ে মাঝে মধ্যে যাওয়া হতো। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
দিনাজপুরের সেন্ট যোফেস স্কুলটি খ্রিস্টান মিশনারীর। এই স্কুলটি বেশ পুরনো দেখে বোঝায় যাচ্ছে।স্কুলটি দিনাজপুর শহরের নামকরা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
সেন্ট যোসেফ স্কুল নিয়ে আপনি অনেক সুন্দরভাবে লিখেছেন আপু। আপনার সাজানো গুছানো পোস্ট আমার খুব ভালো লাগে। সেন্ট যোসেফ স্কুলে আমার চাচাতো বোন পড়ত।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
সেন্ট যোসেফ'স স্কুল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। অনেক অজানা কিছু জানতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে
পুরাতন স্কুল -সেন্ট যোসেফ'স স্কুল নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সেন্ট যোসেফ'স স্কুল আমি দেখেছি। এটি দিনাজপুরে শহরে অবস্থিত। এই স্কুলটি ১৯৫১ সালে স্থাপিত হয়েছে দেখে কেউ মনে করবে না। তবে এটি খৃষ্টানীদের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠা নিয়ে সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন আপু। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
স্কুলের সৌন্দর্যের তুলনা হয় না আপু। আপনার তোলা ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে এই স্কুল সম্পর্কে জানতে পারলাম। এর আগে এই স্কুল সম্পর্কে আমি জানতাম না। আপনি অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন আপু।
অনেক ধন্যবাদ