দিনাজপুরের জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী হোটেল বেড়ার হোটেলের খাবারের স্বাদ
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট শেয়ার করব।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করব। দিনাজপুর শহরের একটি জনপ্রিয় ভাতের হোটেল সম্পর্কে আমি আজকে রিভিউ দেব । চলুন শুরু করি,
প্রতিটি জায়গাতেই বিভিন্ন হোটেল থাকে। তেমনি ভাবে দিনাজপুর শহরের বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী একটি হোটেলের নাম হচ্ছে বেড়ার হোটেল। আমি প্রায় এক যুগ ধরে দিনাজপুর শহরে আছি এবং আমি যখন প্রথম দিনাজপুরে এসেছিলাম তখন আমি এই শহরের তেমন কিছু চিনতাম না। দিনাজপুর শহরের একটি বিখ্যাত হোটেলের নাম হল বেড়ার হোটেল। এই হোটেলটি মূলত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তাদের রান্না করা গরুর মাংসের জন্য। এটি দিনাজপুর শহরের বালিয়াডাঙ্গা নামক জায়গায় অবস্থিত। এই হোটেলটি একদম রাস্তার উপর অবস্থিত হওয়ায় এটি খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় তবে এখানে গাড়ি রাখার মত কোন সুবিধা নেই।
আমি অল্প কিছুদিন আগেই এই বেড়ার হোটেলে খেতে গিয়েছিলাম। সেখানকার ভীড় দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোটেলও বটে। হোটেলের প্রতিটি কর্মচারী অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা হোটেলে যাওয়ার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিই। এই হোটেলটি মোটামুটি মানের একটি খাবার হোটেল তবে হোটেলের জায়গাটি বেশ প্রশস্ত। তারপর আমরা খাবার অর্ডার করি। তাদের কোন মেনু কার্ড নেই তবে কর্মচারীরা মুখোমুখি তাদের প্রতিটি আইটেমের নাম বলতে পারেন। তাদের এখানে মাছ মাংস ভর্তা ভাজি সব রকমের খাদ্য রয়েছে। আমরা সেখানে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলাম।
আমরা সেখানে দুপুরের খাবারের জন্য ভাত, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ভর্তা, মাছের মাথার ঘন্ট অর্ডার করি। আমি সবগুলো খাবার আইটেমের ছবি তুলতে পারিনি তবে চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস এবং ভাতের ছবি তুলে রেখেছিলাম। নিচে আমি আমার অর্ডারকৃত খাদ্য এবং মূল্য তালিকা দিচ্ছি।
খাবারের নাম | পরিমাণ | মূল্য |
---|---|---|
ভাত | প্রতি প্লেট | ১৫ টাকা |
গরুর মাংস | সিঙ্গেল প্লেট | ১৬০ টাকা |
চিংড়ি মাছ | প্রতি প্লেট | সঠিক মনে নেই |
মাছে মাথার ঘন্ট | প্রতি প্লেট | ৪০ টাকা |
বরই এর আচার | প্রতি পিরিচ | ২০ টাকা |
চিংড়ি মাছের স্বাদ মোটামুটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। তবে চিংড়ি মাছের স্বাদ আহামরি ছিল না। মোটামুটি ভালই লেগেছে আমার কাছে চিংড়ি মাছের তরকারি।
এদের গরুর মাংসের স্বাদ ছিল অসম্ভব রকমের সুস্বাদু। মূলত এর জন্য এ দীর্ঘদিন ধরে এরা এত বেশি জনপ্রিয়। গরুর মাংস খেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি।
অবশেষে এরা এক পিরিচ বরই এর আচার দিয়ে গিয়েছিল। সেই বরই এর আচার ছিল অনেক ভালো মোটামুটি এই এটি আমার কাছে বেস্ট আচার লেগেছে এখন পর্যন্ত।আপনারা এই হোটেলে আসলে কেউ বরই এর আচার মিস করবেন না।
ব্যক্তিগতভাবে এই হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে আসার পর আমার অনুভূতি ছিল বেশ ভালো। আপনারা চাইলে যে কেউ এই হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
গরুর মাংস দেখেই তো জীবে জ্বল চলে আসলো,দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর হয়েছিল রান্নাটা। হোটেল এর রিভিউ টা অনেক সুন্দর দিয়েছেন আপু। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রিভিউ শেয়ার করার জন্য। দিনাজপুর গেলে এই হোটেল এ খাওয়ার চেষ্টা করবো। আপনাকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইলো।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে হোটেল রিভিউ দিয়েছেন। আমাদের শহরের আনাচে কানাচে এমন অনেক হোটেল হয়েছে যেগুলো ছোট হলেও বেশ জনপ্রিয়। এটিও মনে হচ্ছে তেমনই। ছবি দেখেই মনে হচ্ছে রান্না গুলো সুস্বাদু। রান্নার কালার অনেক সুন্দর। যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
গরুর মাংস ও আচার অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। আমারও অনেক পছন্দের একটি খাবার। ফুট রিভিউ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।দিনাজপুর গেলেই এই হোটেলে খাওয়ার চেষ্টা করব।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এই হোটেলে সম্পর্কে আজকে আমি প্রথম জানলাম আপনার কাছ থেকে। বেড়ার হোটেল নামটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি ট্রেডিশনাল বা ঐতিহ্যবাহী কোন হোটেল হবে। হোটেলে আপনি বেশ খাবার খেয়েছেন বেশ সময় ভালো কাটিয়েছেন আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।খাবারের দাম গুলো খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন আপনি।তবে হোটেলটিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার অবশ্যই একদিন যাব।খুব সুন্দর লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
রান্নার কালার অসাধারণ সুন্দর আপু। তবে আপনার রান্নার কালার অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি ওইখানে। পার্বতীপুর শহরের গরুর মাংস প্লেট নেয় ১৩০ টাকা।কিন্তু ওইখানে ১৬০ টাকা।আমি বরাবরেই আপনার পোস্টের একজন বড় ভক্ত। ছবিগুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন আপু। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী হোটেল সম্পর্কে জানতে পারলাম । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটি স্থানে একেকটি করে হোটেল রয়েছে। তবে একেক টি হোটেলের খাবারের স্বাদ একেক রকম হয়ে থাকে। থাকা খাবারগুলো চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, আচার সবগুলোই আমার খেতে বেশ ভালো লাগে। সবগুলোই আমার প্রিয় খাবার। ফুড রিভিউ নিয়ে খুব সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি উপস্থাপন করার জন্য।
বেড়ার হোটেলের খাবারের স্বাদই অন্যরকম। আমি বেশ কয়েকবার বেড়ার হোটেলে গিয়েছিলাম। সেখানকার স্টাফদের ব্যবহার এবং খাবারের মান দুটোই অনেক ভালো। দিনাজপুরে থাকেন কিন্তু বেড়ার হোটেলে যাননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।