ঐতিহ্যবাহী চেরিডাঙ্গা মেলার মুখরোচক কিছু খাবার
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে ঐতিহ্যবাহী একটি মেলায় পাওয়া যাওয়া কিছু খাদ্য নিয়ে লিখবো । আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে মেলা। মেলা বলতে গ্রামীণ মেলার কথা বুঝিয়েছি আমি। মেলা মানে অনেক আনন্দ এবং নানান রকমের জিনিসপত্র সমাহার। এ সকল মেলায় সব ধরনের বয়সের মানুষের জিনিসপত্র যেমন পাওয়া যায় তেমনিভাবে সকল ধর্মের, বর্ণের এবং পেশার মানুষদের জন্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়। শিশুদের জন্য যেমন পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের খেলনা তেমনি ভাবে বৃদ্ধদের জন্য পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের ধর্মীয় বই। তবে সকলের যে জিনিসটি পছন্দ সেটি হল খাবার। মেলায় বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যায়। আর সে সকল খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বুট, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা ।
চেরাডাঙ্গি মেলা হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা। এটি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা হলো এই চেরাডাঙ্গি মেলা। শেষবার যখন এই চেরাডাঙ্গি মেলাতে বসেছিল তখন আমি মেলায় গিয়েছিলাম। আমার মেলায় যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার ছবিগুলো রাতের তোলা। মেলায় ঢোকার জন্য বিভিন্ন রাস্তা থাকলেও প্রধান যে রাস্তাটি ছিল সেটি দিয়েই আমরা মেলার ভেতর প্রবেশ করেছিলাম। মেলার ভেতর প্রবেশ করার পূর্বে আমরা একটি দোকান দেখতে পাই যেখানে সারি সারি বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা সাজিয়ে রাখা হয়েছে।এ বারোটির মতো আইটেম একসাথে মিশিয়ে ১২ ভাজা বানিয়ে বিক্রি করা হয় এখানে। আমরা এখান থেকে এই শস্যদানাগুলো কেনার জন্য দাঁড়াই কিন্তু পরক্ষণে মনে হয় যে ফেরার পথে এগুলো নিলে বেশি ভালো হবে। তাই আমরা মেলায় প্রবেশ করার সময় এখান থেকে কিছু না কিনে সরাসরি মেলায় ঢুকে যাই এবং যখন ফিরছিলাম তখন এই দোকানে থেকে আমরা এগুলো কিনি।
এই দোকানটিতে বড় বড় চালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আইটেম রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল চানাচুর , বুট, বাদাম আর কালো রংয়ের একটি শস্য দানা যেটির নাম তখন দোকানদার আমাকে বলেছিল আমি এখন ভুলে গিয়েছি। প্রতিটি আইটেমের কালার বিভিন্ন রকম হওয়ায় বেশ রঙিন একটি খাবারের দোকান সেখানে দেখা যাচ্ছিল। এই দোকানটি দেখে যে কেউ লোভ সামলাতে পারবে না। দোকানদার আমাদের জানালেন প্রতিটি আইটেম আপনি চাইলে আলাদা ভাবে কিনতে পারবেন আবার আপনি চাইলে পরিমাণ অনুযায়ী সবগুলো আইটেম একটি একটি করে কিনে একসাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। আমরা সেখান থেকে বেশ কয়েকটা আইটেম একসাথে মিশিয়ে কিনে আনি। এই খাবারটি স্বাদ নিয়ে আমরা বেশ আগ্রহী ছিলাম। এটি কিনে নিয়ে এসে আমরা গাড়িতে বসে খাওয়া শুরু করেছিলাম।
খাবারটি দেখে দূর থেকে যতটা রঙিন এবং সুস্বাদু মনে হয়েছে । কিনে খাওয়ার পর আমরা ততটা মজা পাইনি। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা যায় খোলা স্থানে এই খাবারগুলো দীর্ঘ সময় রাখার কারণে খাবার গুলোর গুনগত মান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
দিনাজপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা হলো চেরাডাঙ্গী মেলা। মেলাতে অনেক দোকানপাট বসে। এর ভেতর খাবারের দোকান অনেক বসে সেখানে। খাবারে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1687843722544005120?t=FSsXLc0oMVnpNOfs0FFL6g&s=19
Congratulations, your post is upvoted by CCS curation trail from CCS - A community by witness @visionaer3003.
Vote for @visionaer3003 as witness.
বাংলাদেশের একটি সুনামধন্য মেলা হলো চেরিডাঙ্গি মেলা। আমি দুইবার এই মেলায় গিয়েছিলাম আপু। প্রবেশের রাস্তায় এই বারো ভাজার দোকান ছিলো। মেলা থেকে বাহির হবার সময় বেশির ভাগ সময় সবাই এই দোকান থেকে ১২ ভাজা কিনে নিয়ে যায় আপু। কিন্তু এরা কখনো খাবার ঢেকে রাখেনা। তাই হয়ত খাবারে গুনগত মান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এসব খাবার প্রায় সবারই পছন্দের, গ্রামীণ মেলাতে এসব মুখরোচক খাবার বেশি দেখা যায়। আমিও মাঝেমধ্যে বাসার জন্য কিনে নিয়ে আসি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মেলায় সব থেকে জনপ্রিয় খাবার হলো মুখরোচক, মেলায় ঘুরতে গেলেই এসব খাবার খাওয়া হয়, মন চাচ্ছে এখনই ঐতিহ্যবাহী চেরিডাঙ্গা মেলায় ঘুরতে যাই। আপু মুখরোচক নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন, সাথে ফটোগ্রাফি অনেক চমৎকার ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু মনি।
মুখরোচক খাবার পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল।বিশেষ করে আমার ও অনেক পছন্দ এই মুখরোচক খাবার গুলো। মেলায় বা সভা বাড়িতে গেলে এগুলো আমি খেয়ে আসতেই হবে।ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য ❤️
এসব খাবার আমার মনে হয় না কারো অপছন্দের কারণে এসব খাবার কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে। আর মেলাতে তো এগুলো সবাই অনেক আনন্দ সঙ্গে বন্ধু-বান্ধব মিলে খেয়ে থাকে। সত্যি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার তোলা কিছু মুখরোচক খাবার দেখে আমার জল চলে আসতেছে আপু।চেরাডাঙ্গি মেলা দিনাজপুর ঐতিহ্যবাহী একটা মেলা।এই মেলায় আমার কোনদিন যাওয়া হয়নি।এই চেরাডাঙ্গি মেলার অনেক নাম শুনছি।মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় আর সব গুলো মুখরোচক খাবার।বাদাম,বুট ইত্যাদি এগুলো দোকান বিশেষ করে মেলায় থাকবেই।আপনি সুন্দর আলোচনা করছেন মুখরোচক খাবার নিয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।