বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা, ২০২৩, রংপুর পরিদর্শন।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি মেলা পরিদর্শনের পোস্ট শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
এসএমই (SME) মেলা , ২০২৩
আমার লিখাটি শুরু করার পূর্বে আমি আপনাদের জানাতে চাই এসএমই ফাউন্ডেশন কি এবং এর পূর্ণরূপ, এতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। SME Foundation = Small & Medium Enterprise Foundation বা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন।
এসএমই হলো বাংলাদেশ সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা যেখানে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট, মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশর ৮ টি বিভাগীয় শহরগুলোতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আর এই বিভাগীয় শহরের মধ্যে রংপুর বিভাগের এসএমই পণ্য মেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনাজপুর শহরের গৌড়-এ- শহীদ ঈদগাহ মাঠে। এই মেলায় মূলত ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের স্টল নিয়ে বসে। তাদের তৈরি পণ্য এখানে প্রদর্শিত করা হয় এবং বিক্রি করা হয়। গত ৭ ই মার্চ থেকে এই মেলাটি শুরু হয়েছে শুধুমাত্র দিনাজপুর শহরে এবং আগামী ২৩ শে মার্চ অর্থাৎ আগামীকাল এই মেলাটি শেষ হয়ে যাবে। প্রায় প্রতিবছর এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। খুব সম্ভবত এটি এসএমই মেলার দ্বাদশ আসর। এই মেলাটিকে ঐতিহ্যবাহী মেলা বলা হয় এবং এই মেলার প্রত্যেকটি প্রদর্শিত জিনিস বাংলাদেশের ঐতিহ্য বহন করে।
মেলার ভেতরের স্টল সমূহ
এই মেলায় বেশিরভাগই ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের জিনিসগুলো প্রদর্শিত হয়েছে। আমরাএ মেলায় বিভিন্ন ধরনের স্টল দেখতে পেয়েছি। আমি এই মেলা পরিদর্শনের পর মেলার সবকিছু দেখে এটিকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করতে পেরেছি। এটি আসলে যার যার ব্যক্তিগত মতামত। তবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে এই মেলার তিনটি স্টলের ক্যাটাগরি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি অর্থাৎ এই মেলার ভেতরে আমি তিন ধরনের স্টল দেখা যায়। যথা
- ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের জিনিসপত্র সমূহের স্টল
- বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান স্টল
- মেলার মাঝখানে বিশাল একটি মুক্তমঞ্চ
এই মেলার ভেতরের বিবরণ
দিনাজপুর গোর-এ- শহীদ ময়দানে বা বড় মাঠ যাওয়ার পর আপনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সহ বিশাল একটি বড় বিলবোর্ড দেখতে পারবেন এবং তার পাশে রয়েছে ছোট ছোট মেলার বিলবোর্ড এর মাঝখান দিয়ে রয়েছে প্রবেশদ্বার এবং এই গেটে রয়েছে গেটম্যান। উনারা মেলার ভেতর যেকোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ যেন না করতে পারে সেদিকে কড়া নজর রাখছেন।
মেলায় অসংখ্য স্টল বসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক স্টল বসেছে পাটের তৈরি হস্তশিল্পের।
আমি বেশকিছু পাটের তৈরি হস্তশিল্পের ছবি তুলে এনেছি এবং নীচে আমি তা শেয়ার করছি। প্রথমেই আপনি যে ছবিটি দেখতে পারছেন তা হলো পাটের তৈরি একটি ঝুড়ির। ঝুড়টি খরগোশ আকৃতির বানানো হয়েছে। এই ঝুড়িটির দাম ৩৪০ টাকা। এছাড়াও পাটের তৈরি আরো অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। পাটের তৈরি কলম দানি, ওয়ালম্যাট, ব্যাগ ইত্যাদি রয়েছে। এই পণ্যগুলোর দাম ভিন্ন ভিন্ন। এগুলোর দাম ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
এছাড়াও পাটের তৈরি দারুন কিছু শোপিস ছিলো মেলায়। পাটের তৈরি টেবিল লাম্পগুলো অনেক সুন্দর আবার পাটের নকশা করা আয়না সুন্দর। আপনি ছবিতে দেখতেই পারছেন এগুলো কত সুন্দর। আমি এই পণ্যগুলোর দাম জিজ্ঞেস করি নি।
এই মেলায় বসেছিল চুড়ির -মালার দোকান। আমি এখান থেকে চুড়ি কেনার জন্য তিনজোড়া চুড়ি সিলেক্ট করেছিলাম কিন্তু তাদের কাছে এবং আমার কাছে খুচরো টাকা না থাকার কারণে কেনা হয় নি। প্রতি সেট চুড়ির দাম ১২০ টাকা করে। ভেলভেট চুড়ির দাম এখানে তুলনামূলক কম।
তারপর এখনে ছিলো খাবারের দোকান। এখানে বিভিন্ন ধরনের কেকের স্টল বসেছিল। কেক ছাড়াও বিভিন্ন পিঠা এবং পাপড়ের স্টলও ছিলো। আমি একটি রেড ভেলভেট কেক কিনি এবং পাপড় কিনি। রেড ভেলভেট কেকের দাম ছিল ১৫০ টাকা এবং পাপড় ছিলো ৫ টাকা পিস। কেকের টেস্ট তেমন ভালো ছিলো না।
সবশেষে আমি যে স্টলটির সম্পর্কে লিখব সেটি হলো চা এর। এই মেলায় সে চা এর স্টল বসেছিলো তার নাম হলো গ্রাজুয়েট টি স্টল। এরা পাঁচ ধরনের চা পরিবেশন করে। এর মধ্যে আমরা মাটির পাত্রে গ্রাজুয়েট চা পান করি যেটির দাম ছিল ২০ টাকা।
এছাড়াও মেলার ভেতরের কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে নীচে শেয়ার করছি।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
দিনাজপুর শহরে গৌড়-এ- শহীদ ঈদগাহ মাঠে। এই মেলায় মুল আর্কষন হলো ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের স্টল নিয়ে হয়ে থাকে মুলত। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। পোস্ট কোয়ালিটি মান সম্পন্ন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আর আপনি সময় দিয়ে পোস্ট করেন আসলেই ধৈর্য্য মাধ্যমে সম্ভব ।শুভ কামনা রইলো ধন্যবাদ আপু।🥰
আপনি আমাদের মাঝে রংপুরের মেলা সম্পর্কে অনেক কিছুই লিখেছেন এবং অসাধারণ সুন্দর ভাবে ছবি ও তুলে ধরেছেন। আসলেই অসাধারণ সুন্দর জিনিস গুলো ছবি তুলেছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
অসাধারণ লাগলো আপনার পোস্ট। রংপুর এর মেলায় অনেক উদ্দোক্তা তাদের নিজেদের প্রেজেন্টেশন করার এটা বড় সুযোগ। পাটের তৈরি হস্ত শিল্প গুলো সত্যি প্রসংশ্রনীয়। গ্রেজুয়েট টি স্টল আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বরাবরেই আমি আপনার পোস্টের ফ্যান আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেন। আমি কখনো এমন মেলায় জাই নাই। গ্রাজুয়েট চা ওয়ালার কথা অনেক শুনেছি কিন্তু খাইয়া হয়নি। গেলে অবশ্যই আমি সেখানে চা খাবো। আপনি ছবিগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার জন্য শুভ কামনা রইল আপু।
বরাবরই আপনার পোস্ট কোয়ালিটি খুব সুন্দর হয়।তবে আজকের পোস্ট কোয়ালিটি দেখে সত্যি মুগ্ধ হলাম আপু।তবে পোস্টটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।তবে গ্রাজুয়েট চা ওয়ালার কাছে এখনো খাওয়া হয়নি চা।এবার গেলে অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করব।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। 💠💝
তাদের চা এর স্বাদ ক্রমশ নিম্মগামী হচ্ছে। দ্রুতই এসে চা টেস্ট করে যান ভাইয়া।
এই মেলায় কখনও যাই নি তবে অনেক বার শুনছি। মেলায় বেশ চমৎকার কিছু পাটের তৈরি সামগ্রীর দোকান দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মেলার তথ্য আমাদের জানানোর জন্য।
মেলা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।পাটের তৈরি হস্তশিল্প গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। মেলার বিভিন্ন ধরনের পণ্য সম্পর্কে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ফটোগ্রাফিগুলো সত্যিই চমৎকার হয়েছে এরকম কোয়ালিটিফুল পোস্ট দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে এবং আমাদের কমিউনিটির জন্য অনেক ভালো। শুভকামনা রইল আপু
বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা আমি নিজ চোখে কখনো দেখিনি।আপনার পোস্টির মাধ্যমে আজকে প্রথম দেখলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছে।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
মেলা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপু, এই রকম মেলায় অনেক কিছু পাওয়া যায় আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি গুলো তুলছেন আপু।আপনার প্রতিটা ছবি আমাকে খুব ভালো লাগছে, আপনার এই মেলার পোস্ট পরে আমি অনেক জানতে পারলাম যা আগে আমার তেমন যানা ছিল না। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য