খাবার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ফুডপান্ডা অ্যাপ রিভিউ
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করব। আমরা সবাই ফুডপান্ডা অ্যাপটির সাথে পরিচিত। আজকে আমি সেই অ্যাপ নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করব । আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি,
খাবার ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র দেশীয় খাবার মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলে গিয়েছে এবং মানুষের খাবার ধরণও চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন ঘরের খাবারের চেয়ে বাইরের খাবার বেশি পছন্দ করেন খেতে। দেশীয় আইটেমগুলোর পাশাপাশি বিদেশি আইটেমগুলোতেও রয়েছে প্রচুর আগ্রহ। ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, স্পেনিশ, ইটালিয়ান খাবারের সমাহার রয়েছে বাংলাদেশে। আর এসব খাবারের যোগান দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। আমাদের দেশের প্রতিটি শহরে রয়েছে বিভিন্ন নামের এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরি রেস্টুরেন্ট। তবে অনেকে সেই সকল রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার সময় পান না কিংবা বিভিন্ন সমস্যার কারণে যেতে পারেন না। এ সকল কথা বিবেচনা করে করে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে যেটির নাম হল ফুড পান্ডা। এই ফুড পান্ডার কাজ হল রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার অর্ডারকৃত খাবারটি আপনার ঘরের দরজার সামনে এনে পৌঁছে দেওয়া। এরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার খাবার আপনার হাতে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশে ফুডপান্ডা শুরু হয়েছিল 2014 সালে। আম্বারীন রেজা বাংলাদেশে ফুডপান্ডা শুরু করেন। রাজধানী ঢাকায় ৫ জন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। বর্তমানে তাদের সেবা পরিচালনার জন্য ২৫,০০০ এরও বেশি কর্মচারী রয়েছে।আমি ফুডপান্ডা অ্যাপটির নাম অনেক দেখেছি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে। প্রথমে আমাদের রাজধানী ঢাকায় এই প্লাটফর্মটি কাজ শুরু করে।বিভিন্ন এডের মাধ্যমে এই ফুড পান্ডা সার্ভিস দেখে আমি অত্যন্ত খুশি হতাম এবং ভাবতাম আমার শহরে কবে এই সার্ভিসটি এক্টিভ হবে। তবে খুব বেশি দেরি না করে অল্প সময়ের মধ্যে ফুডপান্ডা আমার শহর দিনাজপুরে চলে আসে। এই খবরটি শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হই কিন্তু যখন সর্বপ্রথম দিনাজপুরের খাবার ডেলিভারি দেওয়া শুরু করে তখন আমি শহরের বাইরে থাকার কারণে প্রথম তাদের সেবা নিতে পারিনি। আমি মাসখানেক পরে দিনাজপুর ফেরার পর সবার আগে ফুডপান্ডা অ্যাপটি ইন্সটল করি। ফুডপান্ডা থেকে খাবার অর্ডার দেই। আমি সর্বপ্রথম সর্বপ্রথম ফুডপান্ডা দিয়ে আমার শহরের একটি নামকরা রেস্টুরেন্ট থেকে বার্গার কিনে খেয়েছিলাম। তারপর থেকে সেই জার্নি শুরু করে আমি এখনো এই অ্যাপটি ব্যবহার করেছি।
আমি যখন এই অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করেছিলাম তখন এর চার্জ খুবই কম ছিল। বর্তমানে এখানে অনেক বেশি চার্জ এড করা হয়েছে। আগে এই প্ল্যাটফর্মের কোন ফি দিতে হতো না কিন্তু এখন প্লাটফর্ম ফি দিতে হয়। এছাড়াও প্রথম বেশ কিছু মাস ডেলিভারি চার্জ দিতে হয়নি কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ডেলিভারি চার্জ প্রথমে ৫ টাকা এবং পরে ১০ টাকায় উন্নীত করা হয়। সর্বশেষ আমি গতকালকে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম সেখানে ডেলিভারি চার্জ নিয়েছে ১৭ টাকা। তবে কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্ম ফি ছিল ১০ টাকা কিন্তু তা বর্তমানে কমিয়ে এনে ৩ টাকা করা হয়েছে। শুরুর দিকে ফুডপান্ডার সার্ভিস অনেক বেশি ভাল থাকলেও৷ বর্তমানে এই সার্ভিসটি অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এখন ফুড পান্ডা সময়মতো খাবার ডেলিভারি দেয় কম। এছাড়াও এখন অনেক ডেলিভারি বয় বাসার নিচ থেকে উপরে উঠতে চায় না আপনার দরজার সামনে ফুড ডেলিভারি দিতে।
ফুডপান্ডা দিয়ে খাবার অর্ডার করে অত্যন্ত সহজ। নিচে আমি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে আপনাদের এই প্রসেসটি জানাচ্ছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হয়। প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সেখান থেকে ফুডপান্ডা অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে। অ্যাপটি ইনস্টল করার পরে, আপনাকে লগ ইন করতে হবে। লগ ইন করার জন্য আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ইমেল ঠিকানা প্রয়োজন।
এরপর আপনার লোকেশন অন করতে হবে এবং আপনার বর্তমান এড্রেস বা লোকেশন সেভ করতে হবে যেখানে আপনি ফুডপান্ডার অর্ডারটি রিসিভ করতে চান । আপনি যদি আপনার সেভ করা ঠিকানার বাইরে থাকেন এবং ফুডপান্ডা থেকে খাবার অর্ডার করেন তবে শুধু লোকেন পরিবর্তন করলেই হবে এবং আপনি একসাথে বেশ কয়েকটি ঠিকানা সেভ করে রাখতে পারবেন শুধু অর্ডার করার পূর্বে ঠিকানাটি সিলেক্ট করে নিবেন।
তারপর আপনি যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবারটি অর্ডার করতে চান সার্চ বক্সে গিয়ে সেই রেস্টুরেন্টের নাম সার্চ করুন এবং অটোমেটিক ভাবে আপনার সেই রেস্টুরেন্টের সবগুলো খাবারের আইটেম, দাম সব একসাথে দেখাবে।গতকাল আমার নাচোস খেতে ইচ্ছে করছিল তাই আমি আমার শহরের সবচেয়ে ভালো যে রেস্টুরেন্টের নাচোস পাওয়া যায় সে রেস্টুরেন্টেটি সার্চ করি। জানা'স কিচেন এর নাচোস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি সেই রেস্টুরেন্টের নাম সিলেক্ট করে তাদের মেনু থেকে আমার কাঙ্খিত খাবারটি সিলেক্ট করি এবং কার্টে এড করি। তাদের একটি অফার চলছিল ১৯৯ টাকার উপরে খাবার কিনলে ৪৫ টাকা চার দিবে যদি "খাবার" নামে কুপন টি ব্যবহার করা হয়।আমি সেই কুপনটি ব্যবহার করার ফলে আমার টোটাল বিল আসে ২৫৫ টাকা এবং ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যেই ফুডপাণ্ডার লোক এসে আমার হাতে খাবার পৌঁছে দেয়।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
খাবার সরবারাহের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফুডপানডা। রংপুরে থাকাকালীন আমি সর্বপ্রথম ফুড পান্ডায় একটা পিজ্জা অর্ডার করি। তারপর একে এক আরো অনেক কিছু। অর্ডার করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই এরা খাবার পৌঁছে দেয় এবং যারা খাবার পৌঁছে দেয় তাদের ব্যবহারও অনেক ভালো। ফুডপানডা নিয়ে সুন্দর লিখেছেন আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1687048340570345472?t=-h19OBsOsKapOl6PrThkCQ&s=19
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ও সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার ডেলিভারির মাধ্যম হলো এই ফুড পান্ডা। আমিও বেশ কয়েকবার অর্ডার দিয়েছি এখান থেকে। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
ফুডপান্ডা অ্যাপ এখন খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ, সহজেই আপনাকে খবার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই অ্যাপ খুবই জনপ্রিয়। ঢাকা শহরে এর ব্যবহার বেশি হলেও এখন প্রতিটি শহরে এই অ্যাপ ব্যবহার করে খাবার অর্ডার করা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
বাংলাদেশে বর্তমানে সবথেকে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করে থাকে ফুডপাড্ডা। তবে আমি কখনো ফুডপাড্ডা থেকে খাবার অর্ডার করিনি। এদের খাবারের মান কেমন আপু? নাচোস আবার কি খাবার আপু আমি শুনিনাই এর আগে নাম।
নাচোস হলো অনথনের মত খাবার। একবার খেয়ে দেখবেন, ভালো লাগবে।
জি আপু দিনাজপুর গেলে খাবো।
ফুডপান্ডা অনেক সুন্দর একটি মাদ্ধম, অনেক ব্যাস্ত মানুষের সময় বাঁচায়, তবে এই ফুডপান্ডা গ্রাম অঞ্চলের জন্য না, এটি শহরে বেশি ব্যবহার করা হয়, তবে যদি গ্রামেও এটার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরও বেশি ভালো লাগতো, ফুডপান্ডা আ্যাপ নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন আপু, অনেক অজানা তত্ত্ব দিয়েছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
ফুড পান্ডা নিঃসন্দেহে ভালো একটি অ্যাপ। যার মাধ্যমে মানুষ এখন ঘরে বসেই সুন্দর সুন্দর লোভনীয় খাবার নিমিষেই পেয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
ঢাকা শহরে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় এই ফুড পান্ডার অ্যাপসটি। কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করলেই সাথে সাথে ফুটপান্ডাতে খাবার অর্ডার করে দেয়। বিশেষ করে যখন রাতে কাচ্চি খাওয়ার প্যারা উঠে সাথে সাথে ই আমরা বন্ধুরা মিলে ফুড পান্ডায় অর্ডার দিয়ে দেই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
ফুড পান্ডা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। ফুডপান্ডা খাবার অর্ডারের প্রসেসটিও আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আমি আসলেই অর্ডার দেওয়ার প্রসেসটি জানতাম না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
আমি শহরে থাকাকালীন দুইবার ফুডপান্ডা অ্যাপ থেকে খাবার নিয়েছিলাম। তারা খুব তাড়াতাড়ি ডেলিভারি দেয়। আমাকে অর্ডার করার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে খাবারটি দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি যখন কিনেছিলাম তখন সম্ভবত ডেলিভারি চার্জ ৮ টাকা ছিল। জানাস কিচেন রেস্টুরেন্টটি অনেক ভাল।যারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন না তারা আপনার পোষ্ট দেখতে পেলে অনেক উপকৃত হবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু