প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত শিশুদের গ্রামীণ খেলার বিরবণ
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে স্টীম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতা প্রাচীণ কালের প্রচলিত গ্রামীণ খেলা সম্বন্ধে লিখুন নিয়ে লিখব। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমার লিখাটি। চলুন শুরু করি,
প্রতিটি শিশুর সুস্থ এবং স্বাভাবিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। শিশুদের মানসিক বিকাশের খেলাধুলার গুরুত্ব অনেক বেশী। একজন শিশু জন্মের পর থেকে তার নানাবিধ বিকাশ ঘটতে থাকে এবং খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। আমিও এক সময় অনেক খেলাধুলা করেছি। তবে এক যুগ আগেও যে সকল খেলা খেলতে দেখা যেত বর্তমানে সে সকল খেলা দেখা যায় না বললেই চলে। বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ শিশুরাই আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত। প্রায় প্রতিটি শিশুর হাতে থাকে স্মার্টফোন। এ দৃশ্য কেবল শহরে নয় বরং গ্রামে গ্রামে বাচ্চাদের হাতেও রয়েছে এই স্মার্টফোন। যার প্রভাবে তাদের ভবিষ্যৎ হুমকীর সম্মুখীন হবে ।
ছোটবেলায় আমি যে খেলাটি খেলেছি সেটা ছিল মাটি দিয়ে খেলা। বর্তমানে ডাক্তারেরা বলে থাকেন শিশুদের মাটি দিয়ে খেলতে দেওয়া উচিত। এতে শিশুদের ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীল কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমি মাটি দিয়ে নানা রকম হাড়ি পাতিল বানিয়ে তারপর সেগুলো রোদে শুকানোর পর সেগুলো দিয়ে খেলাধুলা করতাম। এই খেলাটি ছিল আমার অনেক বেশি প্রিয় একটি খেলা। এই খেলার জন্য খুব বেশি জিনিসপত্র প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র মাটি এবং পানি হলেই এই খেলাটি খেলা যায়। এই খেলাটির দারুণ একটি মজার খেলা তাই সকল বাচ্চাদেরই জীবনে একবার খেলা উচিত। অবশ্য বর্তমানে শহরের বাচ্চা এ মাটির পরিবর্তে "ক্লে' দিয়ে এ ধরনের খেলাটি খেলে থাকে।
এই খেলাটি খেলার জন্য বাচ্চারা শক্ত মাটির দলা ভালো করে ভেঙে নেয় এবং তাতে পানি মিশিয়ে কাদা তৈরি করে। এই খেলার মাটি তৈরি করার জন্য খুব বেশি পানি মেশানো যায় না, তাহলে মাটি দিয়ে খেলনার আকৃতি দেওয়া যায় না। নিচের ছবিতে আমি আপনাদের দেখাচ্ছও কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয়। একটি মগে প্রয়োজন মত পানি নিয়ে পাশে রাখতে হয় যেন পানির প্রয়োজন পড়া মাত্রই সেখানে পানি ব্যবহার করা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই মাটির কাঁদা শক্ত হয়ে গেলে সেখানে হালকা পানির প্রয়োজন পরে তাই পানির মগ রাখা উত্তম। তা না হলে খেলার মাঝখান থেকে উঠে দৌড়ে গিয়ে আবার পানি আনতে হবে।
তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি দিতে হবে। এখানে আমি হাতে একটি ছোট বাটির মত বানিয়েছি। আমার বড় বোনের ছেলে এবং ভাই এর ছেলে এই খেলা খেলে খুবই মজা পাচ্ছিল। তারা খুবই আগ্রহ নিয়ে মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছিল। তারা মাটি দিয়ে হাড়ি পাতিল, কড়াই, শিল-পাটা, বাটি তৈরি করছিল। এগুলো বানানোর পর তারা একটি জিনিসের উপর সেই ভেজা মাটির খেলনাগুলো রোদে শুকানোর জন্য নিয়ে যায় এবং তারা দুইদিন রোদ দেয়। অবশ্য যেদিন তাদের খেলনাগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল সেদিন তাদের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় শুকনো খেলনাগুলো দিয়ে তারা আর খেলতে পারে না। পরেরবার যখন তারা আবার ছুটি পাবে এবং গ্রামের বাড়িতে যাবে তখন আশা করি এই খেলনা গুলো দিয়ে তারা আবার খেলতে পারবে।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @pathanapsana এবং @chiabertrand কে।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
আগেকার সময়ে দেখা এইসব খেলা। তবে বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়েদের এসব খেলা রপকথার গল্প ছাড়া কিছু না। আধুনিকতার ছোয়ায় এখনকার ছেলে-মেয়েরা এসব মাটির কাঁদামাটির খেলা চোখেও দেখে না। আমরা অনেক খেলেছি মাটি দিয়ে অনেক হাঁড়ি পাতিল বানানো। আপনার পোস্ট দেখে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপু।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো৷ ছোট বেলায় এভাবে মাটি ও পানি দিয়ে কাঁদা করতাম৷ তারপর সেই কাঁদা থেকে অল্প অল্প মাটি নিয়ে গোল গোল করতাম৷ তারপর সেগুলো রোদে শুকাতাম৷ ঐ গুলি গুলো পাখি মারার জন্য ব্যবহার করতাম। বাটুল দিয়ে পাখি মারা সময় ঐ গুলি গুলো কাজে লাগাতাম৷ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।
তাই তো, আমি তো এই বাচ্চাগুলারে মেয়েদের মত হাড়ি পাতিল বানাতে বসিয়ে দিয়েছি আমার মত করে। তারাও তো বাটুল দিয়ে পাখি মারার জন্য কাদা মাটি দিয়ে গোল গোল করতে পারত! এভাবে তো ভেবে দেখি নি। ধন্যবাদ আপনাকে।
🙂
প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত শিশুদের গ্রামীণ খেলার বিরবণ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমিও ছোট বেলায় কাঁদা মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলার জিনিস বানাতাম।সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
পুরাতন স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপু। আমরাও এভাবে কত খেলা করেছি কাঁদা মাটি দিয়ে। সুন্দর সুন্দর হাঁড়ি পাতিল এবং আরো অনেক কিছু তৈরি করতাম কাঁদা দিয়ে। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
আমরাও ছোটবেলায় এভাবে কাদামাটি দিয়ে খেলেছি।কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের আর এগুলো দিয়ে খেলা দেখাই যায় না। এগুলোতে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে
ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপনি। ছোট বেলায় এরকম করে মাটি দিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি। দারুন লিখেছেন আপু ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1663079960943394817?t=14FniiFpSlSL-j3o9Md14g&s=19
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করছেন আপু, এইরকম ছোট বেলায় পানি দিয়ে কাদা করতাম।কাদা পুরো শরীরে মেখে শেষ করতাম।আপনি ছোট বেলার কথা মনে করে দিলেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ছোটবেলায় কাগজ কিংবা মাটি দিয়ে এরকম মজার জিনিস বানানোর চেষ্টা করতাম। এগুলো মধুর স্মৃতি। মাটি দিয়ে বাচ্চারা অনেক সুন্দর সুন্দর হাড়ি পাতিল তৈরি করেছে। এত সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে