মসজিদটি তার বৃহৎ আকার এবং চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের জন্য পরিচিত, এক সময়ে হাজার হাজার উপাসক রাখার ক্ষমতা সহ। মসজিদটি 18 শতকে মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি দিনাজপুরের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আফতাব খান নামে একজন স্থানীয় মুসলিম নেতা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং বলা হয় যে মসজিদটি নিকটবর্তী কান্তজিউ মন্দিরের জাঁকজমককে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিতে একাধিক গম্বুজ এবং মিনার সহ ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্য রয়েছে এবং এটি জটিল খোদাই এবং ক্যালিগ্রাফি দ্বারা সজ্জিত।

মসজিদটি তার বৃহৎ প্রাঙ্গণ এবং সুন্দর বাগানের জন্যও পরিচিত যা দর্শনার্থীদের আরাম এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। সামগ্রিকভাবে, আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদটি দিনাজপুরে আসা যে কোনো মানুষের জন্য অবশ্যই একটি দর্শনীয় স্থান, এবং এটি বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য ঐতিহ্যের প্রমাণ।

বাইরের দিক থেকে দেখতে গেলে এই বৃহত্তর মসজিদটি অনেক সুন্দর।এই মসজিদটি রয়েছে অনেক বড় আকার তেমনি রয়েছে তার সৌন্দর্য।মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল মুসলমানদের হাতের তৈরি কারুকাজ এর সজ্জিত এর মাধ্যমে।এই মসজিদটিকে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ বলা হয় কেননা এই মসজিদটি অনেক পুরনো ছিল।পরবর্তীতে এই মসজিদটি ভাঙ্গে ফেলার পর নতুন করে আবারো তৈরি করা হয়, এক বৃহৎকার মসজিদ হিসেবে যা বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম একটি মসজিদ।এই মসজিদটি তিন থেকে চার তালা পর্যন্ত তৈরি কর। যা আমি মনে করি।

আফতাবগঞ্জ এই বৃহত্তম মসজিদটি বাইরে থেকে যেমন সৌন্দর্য,যা মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয় তেমনি এর ভিতরে রয়েছে নানা কারুকাজের সৌন্দর্য্যরে স্থাপন।ভেতরের কারুকাজ গুলো নিখুঁতভাবে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে।প্রতিবছর, অনেক দূর থেকে পর্যটকরা এই মসজিদটি দর্শন করার জন্য চলে আসে।

অনেক পর্যটকরা শুধু এই মসজিদটি দেখার জন্য অনেক দূর থেকে আসে এই আফতাবগঞ্জে।এই মসজিদটি তৈরি করতে প্রায় দুই থেকে তিন বছর সময় লেগেছে এবং সম্পূর্ণ মসজিদটি তৈরি করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগেছে।বাংলাদেশের বড় বড় দর্শনীয় স্থান থাকলেও এরকম বড় মসজিদ বাংলাদেশে এখনও দেখতে পাওয়া যায়নি যা,দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জে বৃহত্তম মসজিদটি স্থাপিত হয়েছে।

এই মসজিদটির ভিতরে রয়েছে নব্বইটি পিলার এবং বাইরে রয়েছে চারটি বড় বড় পিলার।

location:

ফুলবাড়ীতে আসার পর আপনাদেরকে সরাসরি সেখান থেকে বাস, বাইক অথবা রিক্সা অথবা ভ্যান করে যেতে হবে আফতাবগঞ্জে।আপনারা চাইলে ফুলবাড়ীতে না এসে সরাসরি আফতাবগঞ্জে যেতে পারেন।স্বপ্ন পুরী যাওয়ার মেইন রোড এর এই মসজিদটি অবস্থিত।আফতাবগঞ্জ রয়েছে একটি বাজার তার পাশে এই মসজিদটি স্থাপন করা হয়েছে।বাজারে পাশ দিয়ে স্বপ্নপুরী মেইনরোড আপনারা চাইলে সেই আফতাবগঞ্জ থেকে স্বপ্নপুরী ভ্রমণ করতে পারবেন।