গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্য নেমপো যা এখন বিলুপ্তির পথে
নেমপো নামটা অনেকে তাদের অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীকগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল নেমপোর আলো।
নেমপো হচ্ছে জ্বালানি তেলের মাধ্যমে পাত্রে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা। এর ভেতর তেল থেকে আলো জ্বালানোর জন্য কাপড়ের শলাকা ব্যবহার করা হয়। ওই শলাকায় অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আলো পাওয়া যায়।
![]() | ![]() |
---|
বর্তমানে আধুনিক সব আলো জ্বালানোর ব্যাবস্থার ফলে এই নেমপো আর দেখা যায় না। তবে আমাদের দেশের যে স্থানে এখনো বিদ্যুৎ পৌছায়নি। সে সব এলাকায় এরকম নেমপো দেখা যায়। আমাদের বাসা গ্রামের এলাকায়, এখনে এখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। আগে আমাদের বাসতেও এই নেমপো ব্যাবহার করা হত, আমাদের বাসার স্টোর রুমে এখনো এই নেমপো রয়েছে। এগুলো আমাদের সোনালী দিনের অতীতকে স্মরণ করে দেয়। আমার বাবা-মা এবং আমার দাদার কাছে গল্প শুনেছি,, তারা এই নেমপো এর আলো দিয়ে লেখা পড়া করেছে। একসময় এই নেমপো জ্বালিয়ে বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের বারান্দায় ছোট্ট শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করত।
সে সময় শহর ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ ছিলো না। আতীতে আমাদের অত্যান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু ছিলো নেমপো,,,। এটির সাথে আমাদের পূর্ব পুরুষ দের আনেক সৃতি ও এর গায়ে অনেক ঐতিহ্যের চিহ্ন রয়েছে। যারা শহরে বড় হয়েছে তারা হয়তো কোনো দিন এর নামও শোনে নি। কিন্তু তাদেরই পূর্ব পুরুষেরা এই নেমপো ব্যাবহার করে রাত্রি যাপন করেছে।
![]() | ![]() |
---|
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই নেমপো বাতি। একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আলোর জন্য ব্যবহৃত হতো নেমপো। নেমপো জ্বালিয়ে রাতে হাটবাজারে যেত গ্রামের লোকজন, রাতের আঁধারে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে একমাত্র ভরসা ছিল নেমপো। দোকানদারেরা বেচাকেনাও করতেন নেমপো আলোতে। অমাবস্যার রাতে ঘোর অন্ধকারে নেমপোর আলো জ্বালিয়ে রাস্তা চলার স্মৃতি এখনো অনেক মানুষ মনে করে। এটি ছিলো আমাদের সোনালী অতীত। আধুনিকতার ছোয়ায় নেমপোর পর আমার সঙ্গী হয় হারিকেন। তবে এগুলো বর্তমানে বিলুপ্তর পথে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd5f5C3i8g8WGg5NaFBakVZBhvDFHPT3ZiKge1UnyhGy9/3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png)
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@naeem0
নেমপো নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, নেমপো আমাদের অনেক আগের একটা ঐতিহ্য,অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ঐতিহ্য, নেমপো এখন আর কারো বাসায় দেখা যায় না, নেমপো প্রায় বিলুপ্তির পথে,এক সময় নেমপো ছাড়া আমাদের কারো বাসায় আলো আসতো না। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
লেমপো,আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় দোওয়াত বলা হতো, ছোট সময় যখন বিদ্যুৎ ছিলো না,তখনকার সময়ে এই আলো দিয়েই পড়াশোনা করতাম, অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ, আপনার মতামতের জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
নেমপো এখন বিলুপ্তি প্রায়। বর্তমান সময়ে দেখা যায়। আগে গ্রামের মানুষ নেমপো ব্যবহার করত আর এখন বিদ্যুৎ আসার পরে এখন নেমপো ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ
Thanks for your comment,,,
কুপি নিয়ে বেশ চমৎকার কিছু তথ্য আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। কুপি আগে সবার বাড়িতে দেখা যেত।এখন বিদ্যুৎ আসার পর এই কুপি আর দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনি বেশ চমৎকার একটি ঐতিহ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ। বর্তমানে এগুলো আর তেমন দেখা যায় না।
ধন্যবাদ। সব নিয়ম মেনে চলার চেস্টা করবো।
কুপি সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন। এখন তেমন এই কুপি দেখা যায় না গ্রামে। অনেকদিন পর এই জিনিসটার কথা মনে পড়ল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আমাদের আতীতের সৃতি এটি।
নেমপোকে আমরা গ্রামের ভাসায় কুপি বলে থাকি। এটি গ্রামঅঞ্চলের ঐতিহ্য। আগেকার দিনে গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা কুপি জালিয়ে রাতের বেলা বই পড়তাম। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। আমাদের গ্রামে এটাকে নেমপোই বলে। তবে এর নাম হলো কুপি বাতি।
বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। আমাদের এলাকায় সবাই দোয়াত নামে চিনে। আপনাকে পোষ্টের কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। কমিউনিটির নিয়ম কানুন মেনে চলেন।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
আমাদের এলাকায় এই নেপোকে কুপি বলে থাকে। ১০-১২ বছর আগে এই কুপির ব্যবহার গ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক ছিল। কিন্ত সময় পরিবর্তন সাথে সাথে তা হারিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর একটি পোস্ট পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ।