রোজ শুক্রবার
সবাইকে স্বাগতম
১২-৫-২০২৩ ইং
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সবার প্রিয় কমিউনিটিতে আজকে আমি আমার একটা ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আজকে আমি যে বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখবো তা হলো ঐতিহাসিক কুমিল্লা ময়নামতি।

আমরা সকলেই কুমিল্লা ময়নামতি সম্বন্ধে জানি এটি হলো ইতিহাস নিদর্শন। কুমিল্লার বুকে ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ময়নামতি খুবই জনপ্রিয়। বই পুস্তকে জানা গেছে কুমিল্লা ময়নামতির পুরনো নাম রোহিতগিরি। কুমিল্লা ময়নামতির পুরনো এই নাম রহিত গিরি সম্পর্কে সকলেরই প্রায় অজানা।

আমরা সবাই রোহিতগিরি নামে চিনি না চিনি শুধু ঐতিহাসিক ময়নামতি। লালমাই শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন এই ময়নামতি। কুমিল্লার ময়নামতির যেসব ধ্বংস স্তুপ দেখা যায় সেগুলো সাধারণত পুরনো বুদ্ধমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ যা কাদের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে।

ওই সেই ধ্বংসস্তূপের কিছু নিদর্শন ঐখানে দেখা যায় যা পর্যটকরা দেখার জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেখানে আসে। কুমিল্লাতে খড়ন সময় প্রতিদান দিক নিদর্শনের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিদর্শন হলো শালবন বিহার উড়িষ্যা। কোটবাড়ি বোর্ডের কাছে এই লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকাটি সালবন বিহার নামে পরিচিত।

কুমিল্লা বৌদ্ধ বিহার এবং ময়নামতির চারপাশে বিশাল আকারের শালবন রয়েছে যা প্রায় কয়েকশো একর মিলে রয়েছে। শালগাজারির ঘন ঘন বন দেখতে খুব অসাধারণ লাগে সবুজের সমরহ চারদিকে। সবুজে সংরহে যে কেউ হারিয়ে যাবে এই শালবনটির মায়ায়।

কিছুসংখ্যক শালবাগান এলাকা জুড়ে বসার জন্য বেধি রয়েছে যেখানে বসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অনুভব করা যায়। তাহলে বিশাল আকারের বলে ঘুরাঘুরি করা খুবই ভালো লাগে। অপরদিকে কুমিল্লা ময়নামতি শালবন বিহারের সালবাগান পর্যটকদের জন্য সুন্দর। শালবনটি যেমন সুন্দর অপরদিকেও লুকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার রহস্য।

পর্যটকরা দিনের বেলায় সালবনের হাঁটতে হাঁটতে গভীরে চলে গেলে বখাটে ছেলেগুলো আক্রমণ করে টাকা পয়সা ফোন সব কেড়ে নেয়। আরো একটা জঘন্য পরিবেশ রয়েছে সেখানে সেটা মাদক ব্যবসায়ী এবং দেহ ব্যবসায়ী। ওরা সাধারণত সহজ সরল পর্যটকদের গোলমাল বুঝিয়ে খারাপ কাজে লিপ্ত করে।

ঘুরাঘুরি করলে কানের কাছে এসে বলবে লাগবে নাকি এই ধরনের উল্টাপাল্টা কথা। তবে আমাদের আমি আসিনি আমরা দূর থেকে দেখেছি। আমরা যদি এইসব লোকেদের আশপাশ যেতাম তাহলে হয়তো আমাদেরকেও লোভ লালসা দেখানো হতো। কুমিল্লার মেইন শহর কান্দিরপাড় পুলিশ লাইন থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর এই কুমিল্লার ময়নামতি অবস্থিত। এখানকার রাস্তাঘাট গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর আরো সুন্দর সেখানকার মনোরম পরিবেশ। কুমিল্লার বৌদ্ধবিহারের আশপাশে এলাকাগুলো সব বৌদ্ধ।

এই গ্রাম গঞ্জগুলোর সৌন্দর্য যে কাউকে মায়া আটকে রাখতে পারে। বৌদ্ধদের আচার-আচরণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘরবাড়ি সবমিলিয়ে অসাধারণ লাগে। বৌদ্ধ মেয়েগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে আমার দেখলে তাকিয়ে থাকি। আমরা যখন টিকিট কেটে বুদ্ধমন্দিরে প্রবেশ করি তখন সেখানকার পরিবেশ দেখে আমাদের বগুড়া মহাস্থানগড়ের কথা মনে পড়ে যায়। বগুড়া মহাস্থানগড়ের পরিবেশ যেমন তেমন পরিবেশ এই ঐতিহাসিক ময়নামতি।

এই ময়নামতির পাশে রয়েছে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট তাই সেখানকার ঘরবাড়ি সব উন্নত। কুমিল্লা ময়নামতির পরিবেশের সাথে আমাদের পরিবেশ হুবহু একই। চারপাশে ফুলের গন্ধে সবাইকে মুগ্ধ করছে। সেখানকার লোকজনদের ভাষা প্রায় অদ্ভুত অদ্ভুত। সেখানকার আঞ্চলিক ভাষাগুলো একেবারেই ভিন্ন যা আমাদের বুঝার মতো দিনাজপুরবাসীদের অনেক কষ্টসাধ্য হবে। সেখানকার উঁচু নিচু স্তম্ভ সুন্দর সুন্দর কারুকাজ সবমিলিয়ে অসাধারণ। আগের যুগের পুরনো স্থাপিত জিনিসগুলো আসলেই অনেক টেকসই এবং মজবুত ছিলো।

সেখানকার জাদুঘরে অনেক কিছু সংরক্ষিত রয়েছে তবে আমরা যে কুমিল্লা ময়নামতিতে যাই সেই দিন বন্ধ ছিল। সেখানে মোট তিনজন আমরা যাই তার মধ্যে আমার দুইটি বন্ধু এবং আমি। অনেক সুন্দর সেখানে আমরা ইনজয় করলাম অনেক কিছুই দেখতে পারলাম এবং উপভোগ করলাম। ময়নামতি শালবন বিহারের ধ্বংসাবশেষে কয়েকটি সংরক্ষিত জিনিস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৪০০ টি স্বর্ণ মুদ্রা, পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রৌঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে যা আমাদের কুমিল্লা ময়নামতির ঐতিহ্য বহন করে।

চট্টগ্রাম থেকে ময়নামতি বিহার যেতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘন্টা। ট্রেনে আরো সময় লাগে অল্প তাই অল্প সময়ের মধ্যে কুমিল্লা ময়নামতিতে পৌঁছানো সম্ভব। কুমিল্লা ময়নামতিতে আমরা তিনজন অনেক মজার সময় কাটাইছি। হাসি-ঠাট্টা শয়তানিতে আমরা সেখানে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় কাটাই। এখানকার স্থাপনা গুলো তাই বগুড়া মহাস্থানগড় এর মত তাই আমরা সেখানে বেশি ঘুরাঘুরি করিনি। আমরা সেখানে তিন-চার ঘন্টা অনেক মজাই করেছি অনেক পিকচার তুলেছি। আশপাশে সৌন্দর্যগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছি দেখেছি কিছু অতিথি পাখির জোড়া।

আসলে সেখানে দিনে দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটকরা আসে ঘুরতে। ঐতিহাসিক স্থান হলেও সেখানে কোন লোকজনের সমাগম নেই। কিন্তু কুমিল্লার ছোটখাটো পার্কে লোকজনের জন্য হাটাহাটি করা মুশকিল হয়ে যায়। সেখানে সৌন্দর্য এবং প্রতিমূর্তি গুলো আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। তুলে ধরেছি সেই কারণে এর মনোরম পরিবেশ এবং সৌন্দর্য। তুলে ধরেছিস এখানকার কালচার এবং আচার-আচরণ যা আমার সব নিজের চোখে দেখা। আপনারা যদি কুমিল্লার ময়নামতির ঐতিহাসিক স্থানটি ঘুরে আসতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন।

সেখানকার মনোরম পরিবেশ এবং বৌদ্ধদের আচার-আচরণ কালচার দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের ঐতিহাসিক স্থান কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার নিয়ে ছোট্ট একটি পোস্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে সকলে সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি সকলে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
ডিভাইস | রিয়ালমি ছি১৫ |
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | ঐতিহ্য |
স্থান | কুমিল্লা |
আমার নাম মোঃ পারভেজ আকতার, আমার স্টিমিট ইউজার আইডির নাম
@mdparvaj. আমি পড়ালেখার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর থানায় জমিরহাট তোকেয়াপাড়ায় বসবাস করি। আমি খেলাধুলা এবং ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Vote for @bangla.witness
কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার অনেক বিখ্যাত একটি জায়গা। আমার কখনো এই জায়গায় যাওয়া হয়নাই। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে আমি এই জায়গা সম্পর্কে অনেক ভালোভাবে ধারণা পেলাম। কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার থেকে যে এতগুলো স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া গেছে এর আগে আমি তা জানতাম না। এমন সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ভাই
অসাধারণ পোস্ট করেছেন ভাই আপনি। কুমিল্লার ঐতিহ্য বাহী স্থান নিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে অনেক অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। অসাধারণ ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান। আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক তো ঘোরাঘুরি করতেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
অনেক বছর আগে একবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার।অনেক সুন্দর একটি জায়গা। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন।লিখেছেন অনেক ভালো। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই
কুমিল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শন ময়নামতি শালবন বিহার নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি কখনও ময়নামতি শালবন বিহারে যায়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সব বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ ভাই
কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার সম্পর্কে আমি বইয়ে পড়েছি।কিন্তু বাস্তবে কখনো যাইনি।আপনি কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনার তোলা ছবি গুলো ও অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
ময়নামতি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটা কন্টেন্ট তৈরি করেছেন।পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
কুমিল্লার ময়নামতি অনেক সুন্দর একটি জায়গা আমার কখনো যাওয়া হয়নি। কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার সম্পর্কে অনেক তথয পোস্টে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ বড় ভাই