সবাইকে স্বাগতম
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যে বিষয়টার ওপর আপনাদের সামনে আলোচনা করবো সেটি হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুয়ো যা সকলেরই পরিচিত। তাহলে বন্ধুরা চলুন বেশি দেরি না করে আজকের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
![1689439639575.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTZkDa3LuK6CmG2zE9fDnqMHa6qi7wSxQ2juM4MeMcm9w/1689439639575.jpg)
আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে গ্রাম বাংলার প্রত্যেকটি বাড়িতেই কম বেশি এই কুয়ো ছিল। এই কুয়ো আমাদের গ্রাম বাংলার লোকদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়েছিলো। সেই সময় আমাদের গ্রাম অঞ্চলে সাবমারসিবল পাম্প টিউবওয়েল কিংবা মটার ছিল না। সেই সময়টাতে আমাদের গ্রাম বাংলা লোকেদের একমাত্র ভরসা ছিলো ঐতিহ্যবাহী এই কুয়ো।আমরা কলের পানি তখন চোখেও দেখিনি। আমি যখন একটু বড় হলাম তারপর থেকে আমাদের এলাকায় টিউবওয়েল চালু হলো।
টিউবওয়েল গুলো সাধারণত সবুজ আর লাল রঙের ছিলো। সেই সময় নতুন নতুন টিউবওয়েল লাগানোর পর সবাই আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়েছিলো। টিউবয়েলের সেই পানি পান করার পর এলাকার লোকজনদের কলেরা দেখা দিয়েছিলো। এই রোগগুলো তখন মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছিলো। অবশেষে সবার ঘরে ঘরে এখন বৈদ্যুতিক মোটার চালিত হয়। এখনকার বাচ্চাদের কোন রকমের আইডিয়া হবে না যে আমরা কোন সময়টা পার করে এসেছি।
গ্রাম বাংলার লোকজনেরা আমরা কুয়ার পানি পান করতাম এবং গোসল করতাম। কিছু কিছু জমির কর্নারে তো এখনো কুয়ো রয়েছে যেখান থেকে পানি তুলে কৃষি জমিতে দেওয়া হয়। আমরা দড়ির মাধ্যমে বালতি নিয়ে নিচে নামিয়ে দিতাম এবং দড়ি টান মেরে আবার উপরে তুলতাম। পানি তোলা আমাদের জন্য সহজ হয়েছিলো কারণ বাঁশের অপজিট সাইডে কয়েকটি ইট বেঁধে দেওয়া থাকতো। এই ইট বেধে দেওয়ার কারণে অপজিট সাইজ একটু ভারী ছিলো তার কারণে আমরা সহজে পানি তুলেছিলাম। সেই সময় গুলো আমরা এখন মিস করি। তেমনি ডাঙ্গাপাড়া তে আমি ঘুরতে গেলাম এক বন্ধুর নানাবাড়ি।
আমি সামনের বছর তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি এখনো কুয়ো ব্যবহার করে। তারপর আমি চলে গেলাম সেই বন্ধুর নানা বাড়িতে। বন্ধু ছোট থেকে নানা বাড়িতে বড় হয়েছে আর এখনো নানা বাড়িতে রয়েছে। আমি জানি তাদের বাড়িতে কুয়ো রয়েছে, তাই আমি সেই উদ্দেশ্যে গেলাম আমার এক ছোট ভাইকে নিয়ে। তার নানা বাড়িতে গিয়ে দেখি সে বাড়িতে নাই। তারপর আমরা কুয়োর কাছে যাই। দূর থেকে বলি কেউ আসেন নাকি তখন মামী বলল কে।
বললাম মামী আমি পারভেজ, তিনি বাইরে বেরিয়ে আসলেন। আমরা বললাম কি করতেছেন ওখানে বললেন যে তোমার ভাইয়াকে গোসল করাচ্ছি। তারপর মামিকে বাইরে রেখে আমরা ভিতরে গিয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে মজা নিলাম। কুয়ো ছোট বাচ্চাদের জন্য একেবারেই বিপদজনক যদি পড়ে যায় সেই সময় উদ্ধার করা মুশকিল। মামী বললেন যে এখন যাইও না নাস্তা করে যাইও। আমরা দেরি না করে সবাইকে বলে আমরা চলে আসি সেখান থেকে।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের কুয়ো নিয়ে ছোট একটি পোস্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। সকলে সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি সকলে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। |
ডিভাইস | রিয়ালমি ছি১৫ |
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | ঐতিহ্যবাহী কুয়ো |
স্থান | পার্বতীপুর, জমির হাট |
আমার নাম মোঃ পারভেজ আকতার, আমার স্টিমিট ইউজার আইডির নাম
@mdparvaj. আমি পড়ালেখার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর থানায় জমিরহাট তকেয়াপাড়ায় বসবাস করি। আমি খেলাধুলা এবং ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Vote for @bangla.witness
পানি তোলার একমাত্র উৎস ছিল কুয়া। আগের দিনে মানুষের কুয়ার উপর নির্ভরশীল করে পানির চাহিদা পূরণ করতো। খুবই চমৎকার পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। আপনার পোস্টটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো, শুভকামনা রইল ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রাম বাংলার এক অন্যতম ঐতিহ্য হলো পানির কুয়ো। আগে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটি করে ছিল।তবে বর্তমানে ও বিলুপ্তির পথে অর্থাৎ নেই বললেই চলে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
বর্তমানে আমাদের আশে পাশে এই ধরনের পানির কুয়া দেখা যায় না। তবে প্রাচীন কালে মানুষ এই কুয়ার পানি দিয়ে সকল প্রয়োজন মিটাতো। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
কুয়োটি দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিত্যক্ত। আমাদের এলাকায় এখন শুধু একটি কুয়ো রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। কুয়ার পানি অনেক ঠান্ডা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কোন পরিত্যক্ত না এরা এখনো কুয়োর পানি পান করে। এমনি উপরের অংশ ভাঙ্গা তাই পলিথিন দিছে।
ছোটবেলায় আমাদেরও কুয়ো ছিলো। কিন্তু এখন আর গ্রামাঞ্চলে তেমন কুয়ো দেখা যায় না। আগে কুয়োই ছিলো বিশুদ্ধ পানির একমাত্র উৎস। কুয়ো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/ParvejAkter1/status/1680395157865377792?t=IFJjd0kiyHHaQIjqw8fW2A&s=19
প্রাচীন কালে পানির একমাত্র মাধ্যম ছিল কুয়ো।তখন প্রতিটি গ্রামেই কুয়ো ছিল।আমি সরাসরি কখনো কুয়ো দেখিনি।টিভি কিংবা বইয়েই দেখছি কুয়োর ছবি। কুয়োর ছবি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এটি আর এখন তেমন ব্যবহৃত হয় না।ধন্যবাদ ভাইয়া কুয়ো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ওদের টিউবওয়েল নাই, ওরা ওটাই ব্যবহার করে।
কালের গহব্বরে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার অতিপরিচিত ঐতিহ্যবাহী কুয়ো। এক সময়ের পানি খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল কুয়ো। কুয়ো আগেরকার সময়ে প্রতিটি গ্রামেই ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই কুয়ো গুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কুয়ো নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী কুয়ো নিয়ে সুন্দর লেখছেন আপনি।আগে গ্রাম অঞ্চলে পানির কুয়ো সবার বাসায় ছিল। আগের দিনে পানি খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই কুয়ো।আপনি দারুণ একটা পোস্ট করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই