আমার এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার সমুসা বা সমুচা।
শুক্রবার,
তারিখঃ ০৪ মে ২০২৩ ইং
আসসালামু আলাইকুম,
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটি আয়োজিত একটি সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আজ আমি ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো সমুসা বা সমুচা। সমুসা ত্রিকোন বিশিষ্ট একটি জাতীয় ভাজা খাবার। সমুসা বা সমুচা বিকেলের নাস্তা হিসেবে আমরা গ্রহন করে থাকি। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ভিন্ন ভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। সামুচা সকালের নাস্তা অথবা বিকালের নাস্তা স্বরুপ হিসেবে আমরা অ্যাপায়ন করে থাকি।আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অলিতে বা গলিতে সমুসার দোকান রয়েছে। সমুসা বা সমুচা পশ্চিমবঙ্গে সিঙাড়া নামে পরিচিত।
- উপকরণসমুহঃ
১. ময়দা ২ কাপ বা পরিমাণ মতো। ২. পরিমান মতো মুরগি বা গরুর কিমা। ৩. পেঁয়াজকুচি। ৪. কাঁচা মরিচকুচি পরিমান মতো। ৫. শুকানো মরিচ গুঁড়ো পরিমান মতো। ৬. তেল। ৭. লবন। ৮. পরিমান মতো পানি*।প্রথমে আমরা স্বাদমতো লবন ও আদা বা রসুন বাঁটা দিয়ে সিদ্ধ করা কিমা তৈরি করে নিতে হবে। এরপর একটি কড়াইয়ে পরিমান মতো সয়াবিন তেল দিয়ে তারপর পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে দিব। সোনালী কালার না আসা পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে। এরপর পরিমান মতো লবন, কাঁচামরিচ বা শুকনো মরিচ দিয়ে স্বাদ মতো নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ময়দা মাখানো গুলো রুটি মতো করে ছোট ছোট অংশে করে ত্রিকোনের আকারে করে নিতে হবে। এরপর ময়দা মাখানো রুটি গুলো সমুসার মতো করে মুরগির কিমা দিয়ে তারপর সমুসার মুখ বন্ধ করে তেলে ভাঁজার জন্য দিয়ে দিব। এরপর সমুসা গুলো গরম তেলে কিছু সময় থাকার পর লালচে বর্ণের হয়ে আসলে তা নামিয়ে নিতে হবে।
সমুসা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। এই সমুসা আামদের গ্রামের হাট-বাজারে সচরাচর পাওয়া যায়। তবে আমাদের গ্রামের হাট-বাজারে দুপুরের পর দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। সমুসা এটি প্রথম দিকে মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি করা হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িকরা তারা মধ্যপ্রাচ্যে ঘুরতে গিয়েও সমুসা খেয়ে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের বাংলাদেশসহ ভারত পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যায়।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণঃ ক্যামেরা ওয়ান প্লাস ধরণ ঐতিহ্যবাহী খাবার সমুসা ক্যামেরা ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ফটোগ্রাফার @md-sajalislam অবস্থান পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদান্তে,
@md-sajalislam
সমুচা নিয়ে অনেক সুন্দরএকটা পোস্ট লিখেছেন। সমুচা আমার অনেক পছন্দের খাবার। সমুচা দেখে জিবে জল চোলে আসল। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এই খাবার আমার অনেক প্রিয়। আমাদের এলাকায় এই খাবার কে আমরা সমসা করে থাকি। আপনার তোলা পিক গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন। আপনার এলাকার খাবার নিয়ে আমাদের জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সমুসা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই,গরম গরম সমুসা খেতে খুবই ভালো লাগে,মাঝে মাঝে বাজারে গেলে গরম সমুসা পেলে কিনে খাওয়া হয় । আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো ভাই লোভ লেগে গেল। সুন্দর লিখছিল অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার সমুচা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনি সুন্দর করে সমচা বানানোর পদ্ধতিতেও আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
সামুচা বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি খুবই মুচমুচে ও সুস্বাদু হয়।ছোট বড় সকল হোটেলেই সামুচা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
সমুসা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সমুসা আমার অনেক পছন্দের খাবার। এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। সমুসা এখন ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয় বাজারে।😭
সমুচা একটি লোভনীয় খাবার ভাই। দেখে তো লোভ লেগে গেলো। শুধু পোস্ট করে গেলেন খাওয়ালেন না কখনও 😒😒 ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন। ধন্যবাদ
মুচমুচে সমুচা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। পার্বতীপুর যখন ছিলাম তখন মাঝে মাঝেই খেতাম। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে। উপস্থাপনা ছিল যথেষ্ট ভালো।শুভকামনা রইল ভাই
সমুচা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই, সমুচা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার, বাজারে গেলে মাঝে মাঝে সামুচা খাই,সামুচা খেতে অনেক সুস্বাদু, আপনি ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।